মানসুরা শরীফ
পৃথিবী টা বলদে গেছে
ঘুরে গেছে একশত পয়তাল্লিশে
অবাক ধরায় নির্বাক সব
সময়ের সুরে বেসুরো তাল।
অধুনিক হতে হতে, হাতের মুঠোয়
শৈশব -কৈশোর, বার্ধক্য বন্দী
বৃদ্ধাশ্রমের ছয়*তিন ফুটের বিছানায়
প্রযুক্তির ছোট ছোট বাক্সে
কারারুদ্ধ আজ সুকান্তের আঠারো।
নীল আসমান মলিন হলো ধুপ ছায়ায়
জমিনের বুকে সবুজ অস্তিত্বহীন
স্বাগতম অবাক পৃথিবীতে
অনাগত মানব শিশুর
কৃত্রিম শ্বাসে বাঁচার।
আমাদের বেলা অস্তগামী
পশ্চিম দিগন্তে লালিমার আভা
সাঝেঁর মায়া সন্ধ্যা তারা
নিকষ কালো রাত্রি গভীর
সুবহে সাদিকের বার্তা নিয়ে
মিনারে মিনারে সুর তোলে মুয়াজ্জিন।
ভোরের অরুণোদয়ে শিশির স্নাত
পথগুলো সব ধুলোয় মলিন
পেট্রো- যানের শব্দে মিশে যায়
পাখিদের কলরব,
উৎকন্ঠা, উদ্বেগে রচিত
আরেকটি দিনের সূত্রপাত।
প্রতিযোগিতার ভারে নুয়ে পরে
কচিকাঁচার স্বপ্ন ডালি
আমাদের দিনের দুরান্তপনা
এ প্রজন্মে,”কিছু হবে না” জানি
ঋতুরাও বদলে গেছে
ছোট হতে হতে দুয়ে’তে
এসে আঁটকে আছে
অবাক পৃথিবী চেয়ে রয়..
আমাদের তেজীয়ান কণ্ঠ স্বর
আর বিপ্লবী যৌবন
এক বিঘাত ছোট -বড় স্ক্রিনে
ভেসে যাওয়া সময়ের আবর্তন
মেঠোপথ সেকেলে বড্ড
পিচঢালা কংক্রিটের বুকে
নতুন স্বপ্ন এখন দিবালোকে রচে
নিয়ন আলোর শহর জুড়ে।
অবাক পৃথিবী চেয়ে রয়
বিবর্তনের গোলকধাঁধায়
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম
কেমন করে বদলে যায়।
বদল হওয়া চিরন্তন
সব বদলে কি ই জীবন
খোয়াবের ঘরে বালির আস্তরণ
ধ্বসে পড়ার আতঙ্ক।
সময়ের বাক্সে বন্দী করে
ছুটে চলা নিরন্তর।
আমাদের অনুজ
কতটা থাকবে ভালো
অবাক পৃথিবী তুমি বলো
নীলিমাহীন আসমান
আর সবুজ বিনা জমিন।
লেখক- শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।