রত্নম অর্জুনঃ
আমার এক স্টুডেন্ট আছে যার ভেতর একজন ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী লুকিয়ে আছে বলে আমার বিশ্বাস। তার ক্রিয়েটিভ কাজকর্ম দেখেই এই বিশ্বাস জন্মেছে।
আজ সে আমাকে প্রশ্ন করে বসলো ” স্যার, পড়াশুনার বাইরে একটা প্রশ্ন করা যাবে? ”
আমি বললাম —- ” কেন নয়? তবে তোমার আমাকে করা অধিকাংশ প্রশ্নই আমার মাথার উপর দিয়ে যায়। তাও আমি চেষ্টা করব উত্তর দিতে। বল, কি জানতে চাও? ”
সে বলল ” প্যারাডক্স কি? ”
আমি এতদিনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। কারণ সে যেই বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করেছে আর একটু পরেই যেসব প্রশ্ন সে করতে যাচ্ছে তা আমার খুব ভালোমতই জানা । একসময় আমিও কৌতূহলের বশে এইসব বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছি ।
আমি তাকে একের পর পর প্যারাডক্স, টাইম মেশিন, নভিকফস সেল্ফ রেসিস্টেন্সি থিওরি, প্যারালাল ইউনিভার্স সহ সমস্ত কৌতুহলের অবসান ঘটালাম। আলোচনা করতে গিয়ে যা বুঝলাম সে এইসব বিষয় নিয়ে আমার চেয়েও স্পষ্ট ধারণা রাখে, যা একজন ক্লাস নাইনের স্টুডেন্ট এর মাথায় দূরে থাক, ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের মাথাও ঢুকেনা।
আমার ছাত্র ভীষণ ক্রিয়েটিভ । তার ইচ্ছা সে ভবিষ্যতে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হবে। আমি মনে করি সে তার চেয়েও উঁচু জায়গায় যাবে যদি এই স্পৃহা টিকে থাকে।
বাংলাদেশেও কিন্তু আইনস্টাইন জন্মে, শুধু শিক্ষাব্যবস্থা আর সমাজব্যবস্থার দরুণ জন্মের পরেই তাদের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যু শারীরিক মৃত্যু না, মেধার মৃত্যু বললেও ভুল হবে। বলতে হবে অপমৃত্যু!!

লেখকঃ মেডিকেল ছাত্র, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ