Ads

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এবনে গোলাম সামাদ

আসাদ পারভেজ

জ্ঞানের বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এক অসাধারণ গুণি ব্যক্তিত্ব প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদ। দেশের অধিকাংশ সামাজিকমাধ্যম এবং সুধীজনের আলোচনায় তাঁর কর্মময় জীবনের ইতিকথা বারবার আলোচিত হচ্ছে। সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী জ্ঞানের এক বাতিঘর। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে তিনি আর্দশিক সত্য উপস্থাপনে অবিচল। এমন একজন গুণিজন সম্পর্কে লিখাটা দুর্সাধ্যের ব্যাপার। তারপরও তার জ্ঞানের গভীরতাকে মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা-আবেগ এবং ভালোবাসার আসনে বসিয়ে লিখতে বসলাম।

২৯ ডিসেম্বর, ১৯২৯ সালে রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন এই মহিমান্বিত মানুষটি। উপন্যাসিক, গীতিকার ও সুরকার মৌলভি মো: ইয়াসিন ও নসিরন নেসার নয় সন্তানের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। অবশ্য পিতা ইয়াসিনের আয়ের মূল উৎস ছিলো স্টেশন মাস্টারের চাকরি। ব্যক্তি জীবনে তিনি ৪ ছেলে ও ২ মেয়ের পিতা। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এবনে গোলামের শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। তবে ১৯৪৮ সালে বিষ্ণুপুর শিক্ষা সংঘ, চব্বিশ পরগনা পশ্চিমবঙ্গ থেকে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট পরীক্ষা দেন যা তখনকার মাধ্যমিক সমমান পাশ ছিলো। ১৯৪৯-৫০ সালে আইএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) পাস করেন রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত তেজগাঁও এগ্রিকালচার ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৫৩ সালে কৃষিবিদ্যায় গ্র্যাজুয়েট সম্পূর্ণ করেন। এরপরেই শিক্ষাপাগল মানুষটি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। ১৯৫৫ সালে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘প্ল্যান্ট প্যাথলজির’ উপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা অর্জন করেন। এবং ১৯৬৩ সালে ফরাসির পুয়াতিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীবাণুতত্ত্বের উপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

মহাজ্ঞানী এবনে গোলাম ১৯৬৪ সালের ১১ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা পেশায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। অবশ্য তারপূর্বে ঢাকায় জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ১৯৫৬ সাল থেকে তিন বছর কর্মজীবনে ব্যস্ত ছিলেন। স্বাধীনতার প্রশ্নে ১৯৭১ সালে কলকাতায় অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের মুখপাত্র হিসেবে সুপরিচিত ‘জয়বাংলা’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৯৭২ সালে দেশের মাটিতে ফিরে এসে আবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি ১৯৯৫ সালে অধ্যাপক হিসেবে চাকরি জীবনের ইতি টানেন। সত্যিকারার্থে সমাজহিতোষী মানুষটি জ্ঞানের তরী এখনও বেয়ে যাচ্ছেন।

বরেণ্য এই শিক্ষাবিদের বয়স ৯২ চলছে। এখন চূড়ান্ত বিশ্রামে থাকার কথা। এমন বয়সে অধিকাংশ মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। অথচ তিনি প্রতিষ্ঠান হয়ে বটবৃক্ষের ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন এই জাতিকে। মহান রবের কাছে শুকরিয়া তিনি আমাদের জন্য সুস্থ রেখেছেন প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদকে। তাঁর ছাত্র এবং কর্মজীবন কেটেছে উদ্ভিদবিদ্যার পাঠচক্রে। অথচ তিনি আলো ছড়িয়েছেন জ্ঞানের সকল শাখা-প্রশাখায়। তিনিই প্রথম লেখক, যিনি ইসলামি শিল্পকলার ওপর প্রথম মাতৃভাষায় বই লিখেন যা আবার ১৯৭০-এর দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য ছিল।

বহু ইনস্টিটিউটের একটি নাম এবনে গোলাম সামাদ। যিনি একজন বিজ্ঞ পণ্ডিত, দার্শনিক, বহুমাত্রিক লেখক এবং কলামিস্ট। নানা বিষয়ে মননশীল ও গুরুগম্ভীর ভাষায় রয়েছে তাঁর লেখনী। সুধি সমাজের এই গুণিজন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও চিন্তাক্ষেত্রের সকল অঙ্গনেই কলমশক্তি চালিয়েছেন। তিনি রাজনীতি-অর্থনীতি, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, ইতিহাস-বিজ্ঞানসহ জ্ঞানের প্রতিটি সেক্টরে অধ্যায়ন ও গবেষণা পরবর্তী লিখেছেন। বিপরীত স্রোতে যখন অনেকেই কলম ধরতে সাহস দেখাতে পারেননি, তখন এই মানুষটি অসীম সাহসিকতার মধ্য দিয়ে মানব ইতিহাসের নানা সেক্টরে জ্ঞানের পদচিহ্ন বসিয়েছেন।

মহান এই মানুষটি কলাম লেখক হিসেবে দেশের মাটিতে সমাধিক পরিচিত। সাধারণত কলামিস্টরা সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে লিখে থাকেন। তাই এসকল লেখার স্থায়ীত্ব অনেক ক্ষেত্রেই দীর্ঘায়িত হয় না। তবে কোনো কোনো কলামিস্টের লিখনি কালের প্রয়োজনে স্থায়ীত্ব পেয়ে যায়। ভাষাবিদ ও বিশিষ্ট শিক্ষক এবনে গোলাম সামাদ তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা এমনভাবে বুনে দেন, যা সমকালীন থেকে চিরকালে রূপ নেয়। রাজনীতি ও সমাজনীতি নিয়ে পাণ্ডিত্য ফুটিয়ে তুলতে তিনি অধিকতর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি নয়াদিগন্ত, ইনকিলাব এবং আমার দেশ-এর মতো জনবহুল পত্রিকায় দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিত কলাম লিখে যাচ্ছেন। তাঁর লেখার বিষয়বস্তু ও অন্তর্নিহীতভাব সহজেই মানুষ অনুধাবন করতে পারে। কেননা তিনি জ্ঞানলব্ধ বিষয়কে বোধগম্য করেই সহজে উপস্থাপন করেন। অনায়াসে পাঠককে বিস্মিত হতে হয় তাঁর প্রতিটি লেখার পরতে পরতে।

মুক্তচিন্তার নির্মোহ বাণী তাঁর লেখায় নিখুঁতভাবে বারবার ফুটে উঠেছে। একজন মানুষ ব্যক্তিজীবনে কোনো না কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শকে লালন করতেই পারেন। কিন্তু একজন লেখক তখনই স্বার্থক হোন, যখন তাঁর লেখায় কোনো রাজনৈতিক আদর্শের ছাপ থাকে না। এইদিক থেকে শিক্ষাগুরু প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদ ছিলেন দেশমাতৃকার আইকন। তাঁর প্রবন্ধগুলোর বিশেষ ক্ষমতা ছিলো রাজনৈতিক আনুগত্যের চরম অভাব। এবনে গোলামের রচনাগুলোর দিকে তাকালেই আমরা তা অনুধাবন করতে পারিÑ

পরিলেখ থেকে প্রকাশিত তাঁর লেখা ‘আমার স্বদেশ ভাবনা’ বইটি পড়লেই অনুধাবন করা যায় তিনি কতটা নৈর্ব্যক্তিক, নির্মোহ, বস্তুনিষ্ট এবং ব্যবহারিক বৈজ্ঞানিক মানসের উৎস থেকে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষামূলক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বইটিতে তিনি বিশুদ্ধ যুক্তি দিয়ে সত্য-মিথ্যার আলোচনায় অগাধ জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন। স্বাধীন দেশের অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সত্যিকারার্থে কি কি বিষয়ে সচেতন ও সর্তক হতে হবে তা পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি রঙ মাখানো চামচামিকে অবজ্ঞা করে তথ্য ও সত্যের উপস্থানই করেছেন বারবার। একজন লেখককে যে রাজনীতির ঊর্ধে অবস্থান করতে হয়, সে বিষয়টি তিনি ‘আমাদের রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা এবং আরাকান সংকট’ বইতে ক্লিয়ার করেছেন। তিনি রাজনীতির সামাজিকরণ, মানুষে মানুষে অন্তরঙ্গকরণ এবং উদার গণতন্ত্রের স্বপ্ন বুনতেন।

মুক্তিকামী এই মানুষটি দেশের স্বাধীনতা ও জাতিসত্ত্বা নিয়ে অসাধারণ গবেষণা করেছেন। তাঁর লেখা ‘আত্মপরিচয়ের সন্ধানে’ বইটির প্রতিটি পাতা যেন কালের এক স্বাক্ষী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে ভারতের যে অসৎ উদ্দেশ্য ছিল, তা তিনি পরিষ্কার করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ভারতের সাথে তাজউদ্দিনের অবৈধ চুক্তি যে শেখ মুজিব প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাও তিনি অবলীলায় তুলে ধরেছেন।

প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদ সহজ-সরল শব্দগুচ্ছের মধ্য দিয়ে পাঠকের মনজগতকে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছেন। মানুষের চিন্তা শক্তিতে গভীর অবলোকন ও উপলব্ধি তিনি তৈরি করিয়ে দিতেন। তিনি আওয়ামী লীগের শিখিয়ে নেওয়া বুলির বাইরে গিয়ে বলতে পেরেছেন যে, আজকের বাংলাদেশ বাঙ্গালি মুসলমানের সংগ্রামের ফলÑ যা তিনি ‘বাংলাদেশ : সমাজ সংস্কৃতি রাজনীতি প্রতিক্রিয়া’ বইতে দেখিয়েছেন। একইভাবে তিনি ‘বায়ান্ন থেকে একাত্তর’ বইয়ে সিমলা চুক্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের সত্য উন্মোচিত করেছেন।

নানা প্রতিভায় বিকশিত জাতির অন্যতম সন্তান এবনে গোলাম সামাদের ইতিহাস জ্ঞান পাঠকের জন্য এক আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা: যেমন অনেকেরই জানা নেই, ভারতের জাতীয় সঙ্গীত একটি নয়, দুটি এবং রবী ঠাকুর হিন্দু নয়, ব্রাহ্ম সম্প্রদায়ভুক্ত। তিনি বাংলাদেশের বাম বুদ্ধিজীবিদের ভুল তথ্যগুলোকে খন্ডানোর মাধ্যমে সত্যকে অবধারিত করেছেন। তিনি ইংরেজি ভাষার গুণের কথা যেমন বলেছেন, তেমনি বাংলা একাডেমির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন। তিনি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার অপরিপক্বতার বিষয়ে সমালোচনা করেছেন। একই সাথে রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান যে ধর্মের ভিত্তিতে হয়নি তাও তোলে ধরেছেন। অপরদিকে দেওবন্দের একাংশের যে সম্পৃক্ততা ছিলো পাকিস্তান সৃষ্টিতে তাও বলতে কার্পণ্য করেননি।

বিজ্ঞ এই মানুষটি ইসলামের উপর বিশদ গবেষণা করেছেন। তিনি উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদ ও আজাদী আন্দোলনের রূপ রেখার পাঠ উন্মোচিত করেছেন। তিনি অজানা তথ্যকে সামনে এনেছেন। কিন্তু কোনো কিছুকেই অতিরঞ্জিত করেননি। তবে বিজ্ঞানের ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে সবসময় তিনি লিখিত বিষয়কে বস্তনিষ্ট বিচার-বিশ্লেষনের মাধ্যমে সাজানোর চেষ্টা করেছেন। অপরদিকে তিনি সমগ্র বাংলা ভাষা-ভাষির মানুষ কেনো একই ছাতার নিচে আসতে পারেনি, তাও গবেষণায় রেখেছেন।
সত্যসন্ধানী আলোর সাধক প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদ যার মধ্যে সৎ সাহসের সকল উপাদান ছিলো। তিনি গোলাম আযমের ভাষা আন্দোলনে অবদানের কথা স্মরণ, দেশের যে কোনো নাগরিকের লিখিত রচনা জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ এবং বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, এমন সত্য প্রকাশে নির্ভীক এক নাবিক।

তিনি কতটা গভীর ইতিহাস সচেতন ছিলেন, তা কল্পনাও করা যায় না। ইসলামী শিল্পকলা, বাংলাদেশের আদিবাসী এবং জাতি ও উপজাতি, নৃতত্ত্বের প্রথম পাঠ, বাংলাদেশের মানুষ ও ঐতিহ্য, প্রাথমিক জীবাণুতত্ত্ব, বাংলাদেশে ইসলাম ও ঐতিহ্য, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব, বর্তমান বিশ্ব ও মার্কসবাদসহ তাঁর লেখা অসংখ্য বই পাঠক সমাজে সমাদৃত।

জ্ঞানের বিজ্ঞ বাতিঘর এই মানুষটি জীবনের অধিকাংশ সময় দেশের শেষপ্রান্তের শহর রাজশাহীতে কাটাচ্ছেন। অথচ কি আশ্চর্যের বিষয় যে, তিনি শতসিদ্ধ বাস্তবতায় সমগ্র বিশ্বকে লালন করে যাচ্ছেন জ্ঞান বিতরণের অনুশীলনে। প্রচারণার আড়ালে থাকা মানুষটি সাধারণ মানুষের সাথে অবাধে মিশতে ভালোবাসেন। এতে করে দেশ, জাতি ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের সংকটময় সময়গুলোতে তিনি কলম সৈনিক হিসেবে প্রকৃত যোদ্ধার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাঁর চিন্তার নির্ভীক উপস্থাপন জালিমের বিরুদ্ধে আমজনতার কথা বলে। সত্যিকারার্থে তিনি জাতিকে সবসময় বুদ্ধিভিত্তিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি ক্লিয়ার করেছেন এই জাতির অস্তিত্বের প্রকৃত রহস্য। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে আমাদের জাতিসত্তা গঠন ও স্বাতন্ত্র্যবোধ তৈরিতে ইসলামের অনস্বীকার্য অবদান গেঁথে রয়েছে।

প্রাজ্ঞ ও বুদ্ধিদীপ্ত প্রফেসর এবনে গোলাম সামাদ এর দেশপ্রেম থেকে উদ্ধৃত রাজনৈতিক দর্শন ও রাষ্ট্রচিন্তক ভাবনা, বিচার-বিশ্লেষণের দর্শন জাতির আগামী প্রজন্মের খাঁটি সম্পদ। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের কথা যেমন বলেছেন, তেমনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব সংকটের বস্তুনিষ্ট ইতিহাস তোলে ধরেছেন। উদ্ভিদের রোগতত্ত্বের গবেষণা করতে গিয়ে নৃতত্ত্বের বই লিখেছেন। রংতুলি হাতে নিয়ে শিল্পী হওয়ার বাসনায় প্রথম জীবন কাটিয়েছেন। কিন্তু এক ক্যানভাসের মাথায় বিকশিত না হলেও সর্বক্ষেত্রে পেয়েছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য।

দেশ সেরা এই বরেণ্য পণ্ডিত আজ অসুস্থ। দুর্বল জমিনে তিনি মুজাহিদের মতো দায়িত্ব পালন করেন। হে বিশ্বভ্রমাণ্ডের মহামহিম, তুমি জ্ঞানের সাগর পণ্ডিত ও শিক্ষগুরু তথা তোমার প্রিয় বান্দার প্রতি রহম করো।

লেখক: গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক

আরও পড়ুন-

কে এই ইব্রাহিম রাইসি?

আরও পড়ুন