রফিকুল্লাহ্ কালবীঃ
গড়ের মাঠের কিনার দিয়ে
পদ্মা নদীর বাঁকে
ধীরেন মাঝির কাছে আমার
মনটা পড়ে থাকে।
সকাল বেলার শিশির গুলো
লেপটে থাকে ঘাসে
পদ্ম পাতায় মনটা আমার
ঝিলের জলে ভাসে।
ঝোপের মাঝে টুনটুনি আর
দোয়েলে দেয় শিস্
খুঁজতে বাসা পায়ের তলায়
বিঁধলো কাঁটা ইস্।
দোপের পাড়ার কুকুর গুলো
আমায় ডেকে কয়
ধূলোর ভেতর খেলতে হবে
আর কি দেরি সয়?
রাখাল বালক বলে আমায়
মোষের পিঠে চড়্
আমার এ মন কেমন করে
তোরা হিসাব কর্!
দুপুর বেলা দামাল যখন
নদীর ঘোলা জল
সবাই মিলে খুঁজবো তখন
ওটার কতো তল।
ধানের মাঠে সবুজ বাতাস
দোলন খেলে যায়
প্রাণটা আমার বিভোর হয়ে
ঘুমিয়ে যেতে চায়।
মিষ্টি বিলায় বন বাদাড়ের
নাম না জানা ফলে
ওরাও আমায় পিরিত করে
পিয়ার তলে তলে।
লেখকঃ কবি ও ছড়াকার।