আরণ্যকে শবনম
কুয়াশার অন্ধকারে নগ্ন সভ্যতার উৎকট বর্বরতম প্রকাশ,
আমার বোনের বিদ্রোহী শরীরের সাথে সে কি নির্মম পাশবিকতা!
আমার বিক্ষিপ্ত নিউরন সেলগুলো ঘৃনায়,অতৃপ্ত যন্ত্রনায় বারুদগন্ধী হয়ে ওঠে!
পিশাচের ক্ষুধার নিভৃত কোন হাবিয়ার আগুনে হবে ছারখার!
আমার সহপাঠীর শেষ নিশ্বাসে যতো ক্ষোভ,নিরুত্তাপ অভিমান,
বাতাসে বাতাসে ছড়ায় চিৎকার নিরাপত্তাহীনতার নগরে হয় ভ্রান্তির উৎসব!
আমার সহোদরার বুকে জড়িয়ে রাখা বই,চাবির রিং,ইনহেলার সবুজ ঘাসে কেমন নিশ্চুপ হয়ে ধিক্কার জানায় শতো।
অন্ধকারের অনাবিলতা ছিঁড়ে আজ বুঝিয়ে দিয়ে গেছে,
দেখো কতো হায়েনা,বর্বর তোমার চারপাশে!
দেখো,তুমি, তোমরা কতো নিরাপত্তাহীন!
কতো শ্বাপদসঙ্কুল তোমার পথ, কতো কালো থাবা তোমার পথ করে আছে বন্ধুর!
এমন সভ্যসমাজের হোক বলাৎকার,হোক ফাঁসির কাষ্ঠে ফাঁসি।
আমার ক্যাম্পাস ফেরা নতুন কিশলয়, তোমাদের আজ আবার রুদ্ধ হবার দিন!
অন্ধকারে ঢাকা এই শহর,নগর, সভ্যতা তোমার সম্ভ্রমকে আগলে রাখতে জানে না!
তোমার সম্মান ধূূূূলোয় গড়াগড়ি খেতে দেখে অসুস্থ মনের তিয়াস মেটায়!
দৃষ্টান্ত ছাপিয়ে স্মৃতিবিদ্ধ করা বিচার সেও বহুদূর,
শত ধর্ষিত স্বপ্নেরা আজ উপরে ফেলুক সব আবিলতা,
নতুন আলোয় বাঁচুক এই দেশের যতো ধর্ষিত স্বপ্নকথা!
আরণ্যকে শবনম কবি ও সাহিত্যিক।