.
আমার এই uploaded পোস্টটি তাহাদের জন্য এক মহাঔষধ,যাঁহারা বেস্টসেলার লেখকের পদবী ক্রয় করতে চান,,,তবে সমরেশ,শীর্ষেন্দু,শওকত ওসমান,আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস প্রমুখদের যাঁরা idol মানেন,,,,তাঁদের জন্য এই গাইডলাইন পথভ্রষ্টতার কানাওলা হবে এবং এন্টিবাইটিক্যাল মেডিকেশন হিসাবে কোনই কাজে আসবে না…!!
/
বেস্টসেলার লেখকের পদবী ক্রয়ের procedure…..!!
চারফর্মার একটা বই ৩০০ কপি ছাপতে সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা লাগে মাত্র।।
এক্ষেত্রে লেখক ও প্রকাশক আপোষে একটি আই ওয়াশ করে থাকে অপেক্ষাকৃত দুর্বলমতি পাঠকের,,,!!!!
তা হলো ধার্য মূল্যেটা লেখক প্রকাশককে সরাসরি পরিশোধ না করে,,একটু শেন ওয়ার্ণের স্পিন বোলিংয়ের মতো ঘুরিয়ে করে থাকে।
১…
লেখক প্রথমে তিনশত বইয়ের অর্ডার করে থাকেন প্রকাশককে,,!!
২…
লেখক বইয়ের মুদ্রণ মূল্য পরিশোধ করেন অনলাইন বুক মার্কেটিং কোম্পানী বইপড়ি.কম এর নিকট ভায়া হয়ে..মানে উনার রচিত সকল বই উনিই ক্রয় করলেন।।
৩…
বই ছেপে প্রকাশক সমস্ত বই বিক্রয় করে দেন বইপড়ি ডট.কম এর নিকট,,,,যেহেতু পূর্বেই booked & ordered হয়ে রয়েছে…!!
৪…
তখন লেখক তার অর্ডারকৃত বই বুঝে নিয়ে থাকেন বইপড়ি.কম থেকে,,!!!
৫….
প্রকাশক টাকা পেয়ে যাবেন বইপড়ি.কম থেকে,,,যে টাকা লেখক পরিশোধ করেছেন উনার রচিত সমস্ত বই বইপড়ি.কম থেকে পূর্বেই ক্রয় করে…!!!
সেক্ষেত্রে প্রকাশক,,লেখক,,বইপড়ি.কম এই তিনে মিলে একটা সিন্ডিকেট করতে হবে শুধু….so easy & smooth way to be a best seller writer…..!!!!
.
এই সেই চক্কর যেই চক্করের ঘুর্ণিপাকে যে কোন নিরক্ষরও বিক্রিত বইয়ের হিসাবে বেস্টসেলার খেতাবে ভূষিত হবার মহাসুযোগ হাসিল করে কামিয়াব হতে পারেন।।
/
গত পরশু একজন virtual লেখিকা,যিনি virtual ফ্রেন্ড লিস্টে আমারও একজন virtual প্রিয়মুখ ও সুপরিচিত,,,তিনি তাঁর স্বীয় টাইমলাইন থেকে একটি স্ট্যাটাস upload করেছেন;যেই স্ট্যাটাসে তিনটি statements রয়েছে নিম্নরুপ—-
১…
সেরা লেখক উপাধি দিয়ে সাহিত্য গ্রুপগুলির কি উপকার হচ্ছে?
২…
যারা লেখালেখি করে তাদের ক্ষতি করছে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে।
৩….
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বাগধারার কার্যকর প্রয়োগ ঘটাচ্ছে মূলত।
যেহেতু আমি full time লেখালিখি নিয়েই থাকি এবং গদ্য/পদ্য/প্রবন্ধ রচনার পাশাপাশি সমকালীন বিভিন্ন বিশ্রী/কুশ্রী ও unexpected topic/issue কে প্রতিপাদ্য করে অনলাইন পত্রপত্রিকাতে নিয়মিতভাবেই কলাম লিখি,সেহেতু উনার স্ট্যাটাসটা চোখে পড়ামাত্রই আমি স্থির সিদ্ধান্তে আসি যে,,,সমকালীন unexpected ও অবাঞ্চিত এই topic/issue টাতে আমারও দু/চার কথা লিখা ও বলা উচিৎ এবং সত্যিকারের সাহিত্য-হিতাকাঙ্খীদের সকলকেই এই বিষয়টা নিয়ৈ চিন্তা-ভাবনা করে একটা সুদৃঢ় অবস্থানে অবস্থান নিয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা উচিৎ।।
একজন সাহিত্যিক হিসাবে সাহিত্য সেক্টরে আমি স্বল্পকালীন সময় পায়চারী করে সর্বমোট তিনরকম মানসিকতাসম্পন্ন লোকের ( সাহিত্যিক..???? ) সান্নিধ্য,,সাক্ষাৎ,,মোলাকাত,,দর্শণ লাভ করেছি।যথাঃ
১…
লিখালিখি যাঁদের hobby/passion।।
এসব লোকের নিকট সাহিত্য রচনা করা হলো hobby…কারো কারো passion…এদের প্রধান পরিচয় হলো,,উনারা বেশ সমৃদ্ধ ও ঋদ্ধ পাঠক।
নিখাঁদ সাহিত্য-ক্ষুধা,,সাহিত্য-তৃষ্ণা এবং নিজস্ব ভালোলাগা থেকে উনারা লিখালিখি করে থাকেন।
উনারা বেশ মার্জিত ও চাপা স্বভাবের ভদ্রজন হয়ে থাকেন।এমনকি উনারা যে লিখালিখি করে থাকেন ফুরসৎ পেলেই,,,সে কথাটাও উনার/উনাদের অনেক ঘনিষ্ঠজনের নিকট অজ্ঞাত থাকে।।
২…
লিখালিখি যাঁদের profession/জীবিকা।।
এখন যাঁদের কথা বলব,,,উনারাও বেশ ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ পাঠক এবং উনাদের সিংহভাগই financially solvent… উনারা মারাত্মক রকমের সাহিত্যপ্রেমী এবং সাহিত্য রচনার মাধ্যমে উনারা সাহিত্যাঙ্গনের শ্রীবৃদ্ধি করতে চান,,,নিজস্ব রচিত-সাহিত্য দ্বারা আপামর পাঠকের হৃদাঙ্গনে বসতি গড়তে চান,,বাকী যে কদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সাহিত্য রচনা করেই বেঁচে থাকতে চান এবং এই শৈল্পিক কর্মটাকে তিনি জীবন যাপনের জন্য পেশা করতে চান মনেপ্রানে।
এনারা খুবই ব্যক্তিত্বসম্মন্ন এবং সর্বদা হৈ হুল্লোড় থেকে দূরত্ব বজায় রেখে নিভৃতচারী হয়ে সাহিত্যকে ধ্যান,মন,প্রাণ,,জান জ্ঞান করে সময় পাওয়ামাত্রই নিজস্ব সাহিত্যকর্ম এবং উনার দ্য most favorite লেখকদের রচিত সাহিত্যসমগ্রে ডুবে থাকেন।পাশাপাশি দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের রচনা পাঠ করেন এবং তাঁদের রচনার সান্নিধ্যে থেকে নিজস্ব skill & creativity বৃদ্ধি করার স্বপ্নে বিভোর থাকেন।
এই ক্যাটাগরির সাহিত্যিক/লেখক থেকেই ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে কালক্রমে শরৎ,,জীবনানন্দ,শমরেশ,,শীর্ষেন্দু প্রমুখদের মত সাহিত্যিক বের হয়ে আসেন।
যদিও বর্তমানের digital & virtual দুনিয়ায় পূর্বপরিকল্কনা করে সাহিত্যি রচনাকে পেশা হিসাবে নেয়া একটা চরম দুঃসাহসী কাজ,,কিন্ত ৫০ বছর আগেও পূর্ব preparation নিয়ে কেউ কেউ সাহিত্যকেই একমাত্র পেশা হিসাবে গ্রহন করে সফলও হয়েছেন।
উদাহরণ দেওয়ার কোন প্রয়োজন মনে করিনা,,,কারন আমার এই article টা যাঁরা পড়বেন এবং যাঁদের উদ্দেশ্যে এই article টা লিখা হচ্ছে উনারা সকলেই এসকল সফল ও পেশাদার সাহিত্যিকদের ব্যাপারে পরিপূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল।ঊপরোল্লিখিত দুইরকম মানসিকতাসম্পন্ন সাহিত্যানুরাগীদের কল্যানেই এখনো মূলতঃ সাহিত্য রচনা ও পাঠ এই দু’টোই টিকে রয়েছে।
৩…..
লিখালিখি যাদের show down এর মাধ্যম।
তবে এই তিন নম্বর পয়েন্টে আমি যাঁদের mention করছি,,,উনারা সাহিত্য অনুরাগী ও লেখক পরিচয়ের মুখোশে সাহিত্য ও সাহিত্যাঙ্গন ধূলিস্মাৎ করে ফেলার মত ভাইরাস,,ব্যাকটেরিয়া ও covid-19 এর মতো মারাত্মক ক্ষতিকারী জীবানু।
এদেরকে বয়কট করে এবং পাত্তা না দিলেই এরা এমনিতেই নির্মূল হয়ে যাবে।
এরা কেহই ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ পাঠক নন,,লেখক হিসাবেও উনারা কোন categoryless..!!
ব্যক্তিগত উৎসাহ ও কৌতুহলবশতঃ আমি এমন ধরণের অনেক তথাকথিত লেখকের সাথে স্বেচ্ছায় যেচে অনেক আলাপারিতা করে বুঝতে পেরেছি এদের জানার ভান্ডার একেবারেই খালি এবং এরা যে দু/চার কলম লিখে থাকেন সেই লেখাতে ২/৪ শত জনের অনুকরণ থাকে।
এদের জ্ঞানের ভান্ডার খালি বলতে বুঝিয়েছি;এরা শুধু বাংলা সাহিত্য নয়,,বরং কোন সাহিত্যেরই minimum basic টাও এদের নেই।
এরা বাংলায় সাহিত্য রচনা করে google translator এর technological support নিয়ে তাদের রচিত সাহিত্যকর্ম নানান ভাষায় অনুবাদও করতে পারে অথবা কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারলেও,,,যদি বাংলা সাহিত্যের পাঁচটা masterpiece গ্রন্থের নামোল্লেখ করতে বলা হয়,,,নির্বাকতাই তখন তাদের একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়..!!!
এদের অনেকেই বিষাদ সিন্ধুর ব্যাপারে কিছুই জানে না,দৈবাৎ গ্রন্থটির নাম জানলেও ;তারপরে বাকী সবকিছুই অজ্ঞাত,,,!!!
যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বিনা আজ কবিতা লিখা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়,,সেই অমিত্রাক্ষর ছন্দ আসলে কি এবং কিভাবে বাংলা ভাষায় এটা এলো,,কোথা হতে এলো কে আনলো,,,,এসবকিছু জানতে চাইলে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া বিকল্প কোন গত্যন্তর ওদের থাকে না,,,!!!
নজরুলের শ্রেষ্ঠতম অমরকীর্তির দু/এক টা নমুনা অথবা গ্রন্থের নামও জানে না,,,২/৪ টা পংক্তি মুখস্থ বলতে পারা তো অনেক দূরের কথা,,,!!!!
বাংলাভাষায় গদ্য রচিত হয়েছে সর্বপ্রথম কার হাতে,,,কবিগুরুর গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের মূল theme/প্রতিপাদ্য কি,,,রক্তকরবীর নন্দিনী,,চিত্রাঙ্গদা শ্রুতিকাব্যের পটভূমি কিংবা শেষের কবিতা কি কাব্যগ্রন্থ নাকি উপন্যাস…..প্রভৃতি মামুলী সব সর্বজনজ্ঞাত বিষয়গুলোর ব্যাপারেও এদের বিন্দুসম ধারনা নেই।তবে এদের অনেকেরই একাধিক কাব্যগ্রন্থ/উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে,,,দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অদৃশ্য ও অশরীরী,,,মানে virtual সাহিত্য গ্রুপ থেকে রঙ্গিন কাগজে আল্পনা করা show case বোঝাই সম্মাননা ও সার্টিফিকেট হাসিল করেছে,,,,নিজের কবিতা নিজেই আবৃত্তি করে ভিডিও করেছে অথবা অন্যকে দিয়ে আবৃত্তি করিয়ে নিজের অর্থে ভিডিও করে fb/youtube এ আপলোড করেছে এবং মওকা পেলেই সামনের জনের কাছে জাহির করে যে,,, উনার কবিতায় এতশত/অতশত view হয়েছে…etc.. etc….!!!
এরা সকল উৎসব অনুষ্ঠানে জমকালো সাজে উপস্থিত হয়ে নায়িকা ও মডেলসুলভ ছবি এবং দৈবাৎ কোন সেলিব্রিটির সামনা হলে,,উনার সঙ্গে ছবি তুলে,,,fb-তে ইমেজের প্লাবন বইয়ে দেন।।
এখন আবার শ্রদ্ধেয় হিল্লোল জাহান কর্তৃক আপলোডেট স্ট্যাটাসটির রেষ ধরে মূল ও প্রধান issue তে আসা যাক।
উনি প্রথমেই কৌতুহলবশতঃ virtually & publicly যে প্রশ্নটা করেছেন সেটা হলো,,,,
প্রশ্নঃ
virtual গ্রুপকর্তৃক দৈনিক/সাপ্তাহিক/পাক্ষিক/মাসিক ভিত্তিতে যে সেরা লেখক নির্বাচন করে আ্ল্পপনা করা কাগজ/সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় তাতে উক্ত গ্রুপের কি লাভ..?
উত্তরঃ
এতে উক্ত গ্রুপের লাভ হলো একজন গ্রাহক পেল ঐ গ্রুপ।
কারন এরকম গ্রুপগুলোর মূল লক্ষ্য,টার্গেট,উদ্দেশ্য হলো বারো মাসে তেরটা পার্বনের দোহাই দিয়ে চৌদ্দটা সংকলন মুদ্রণ ও প্রকাশ করা এবং ঐ মুদ্রিত সংকলনে যাঁদের যাঁদের লেখা স্থানপ্রাপ্ত হয়,,,তাদের সকলকেই বইমুদ্রণের পূর্বেই ১০/১৫/২০ কপি কি তারও বেশি বইয়ের মুদ্রিত মূল্য অগ্রিম প্রদান করে নিজের বই নিজেকেই ক্রয় করতে হয়।
এতে করে গ্রুপের এডমিন ও সাঙ্গপাঙ্গদের কৈ মাছের তৈল দিয়ে কৈ মাছ ভেজে সারাবছরই উদরপূর্তির জন্য আর কোন চিন্তা বা কাজ করতে হয় না।
বিষয়টা আপনাদের calculation & analysis করে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি।।
যেমনঃ
কমপক্ষে চারফর্মার একটা বই ৩০০ কপি প্রকাশ করতে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার এবং সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা প্রকাশককে দিতে হবে ( টাকাটা কমবেশী হয় বইয়ের পৃষ্ঠার quality ও অলংকরণের উপর )।।
চার ফর্মার একটি বইয়ে সর্বমোট ৬৪টা পৃষ্ঠা থাকে এবং কবিতা বা গদ্য যাই হোক না কেন বইয়ের প্রথম ৯/১০ পৃষ্ঠায় লেখকের কোন লেখা থাকেনা,,কারন এই পৃষ্ঠাগুলোতে শিরোনাম,সূচীপত্র,,ভূমিকা,,মুখবন্ধ প্রভৃতি বিষয়গুলো মুদ্রিত হয়ে থাকে।।
সুতরাং ৬৪ পৃষ্ঠার বইয়ে সর্বোচ্চ ৫৪/৫৫ পৃষ্ঠায় সাহিত্য content মুদ্রিত হয়ে থাকে।
এই ৫৫ পৃষ্ঠায় কম করে হলেও ৫৫টি কবিতা মুদ্রিত হবে ( পাঠক যেন সহজেই গোমরটা বুঝতে পারেন তাই উদাহরণ হিসাবে কবিতা উল্লেখিত হলো )।।
এই ৫৫ টা কবিতা ৫৫ জন কর্তৃক রচিত।
আবার যদি একজনের ৫ টা করে কবিতা স্থান পায়,,তবে ১১জন লেখিয়ে কর্তৃক রচিত হবে সংকলন গ্রন্থটি।
আমরা মাঝামাঝি একটা সংখ্যা গ্রহন করি উদাহরন হিসাবে।
মনে করুন,,
ঐ সংকলন গ্রন্থে মোট ২৫ জন নতুন লেখিয়ের কবিতা স্থানপ্রাপ্ত হয়েছে এবং চারফর্মার বইটির গায়ের মূল্য ২৫০ টাকা এবং কমিশন বাদে বইটি পাঠক ক্রয় করবে ২০০টাকায়।
এবং বইটির ৩০০ কপির উৎপাদন খরচ ২০হাজার টাকা।
এখন,,,
যেহেতু ২৫ জন নবাগত নাম ও পদক/পদবী পিয়াসী লেখিয়ে শর্তানুরারে প্রত্যেকেই ১০ কপি স্বীয় বই অগ্রিম অর্থপ্রদান সাপেক্ষে ক্রয় করবে এবং তারা এই ক্রয়কৃত বইগুলো ক্রয় করার পর আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-পরিজনকে খুবই উৎফুল্লচিত্তে সৌজন্য কপি/উপহার হিসাবে প্রদান করে থাকে এবং তাদের দৃষ্টিতে সে কবি হিসাবে বিবেচিত ও পরিচিত হয়।
এতটুকু প্রাপ্তিতেই নতুন ঐ লেখিয়ের স্বর্গপ্রাপ্তি হয়ে যায়,,,,!!!!
কারন তার রচিত কবিতার বই মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়েছে এবং নামের পাশে কবি পদবী যুক্ত হয়েছে…!!!
এখন আসেন ধূর্ত সংকলক সাহেবের লাভের অংকটা হিসাব করি।
১….
৩০০ কপি বইয়ের উৎপাদান খরচ মোট ২০,০০০ টাকা।
২….
বইয়ে ২৫ জন কবির প্রত্যেকে ১০ কপি বইয়ের অগ্রিম ক্রয়মূল্য বাবদ সংকলক সাহেবের হাতে নগদ ক্যাশ দিয়েছে ২,০০০ টাকা।
যেহেতু বইটিতে ২৫ জন লেখিয়ের কবিতা স্থানপ্রাপ্ত হয়েছে,সুতরাং ২৫ জন লেখিয়ে সর্বমোট ঐ ধূর্ত এডমিন ওরফে সংকলক সাহেবকে দিয়েছে ৫০,০০০ টাকা।
৩…
বই লেখক তার হাতে বই পাবার অনেক আগেই ধূর্ত সংকলক ৫০,০০০ টাকা পেয়ে গেলেন।।
তারপর বইমুদ্রণ সম্পন্ন হলে ঐ ধূর্ত এডমিন ওরফে সংকলক সাহেব ২০,০০০ টাকা প্রকাশককে প্রদান করে ৩০০ কপি বই সংগ্রহ করে ২৫ জন লেখিয়েকে ১০টি করে সর্বমোট ২৫০ টি বই সরবরাহ করার পরেও ধূর্ত সংকলকের প্রথম মূদ্রণেই নেট প্রোফিট হলো….
ক)
নগদ ৩০ঁ,০০০ টাকা।
খ)
নগদ ৫০টি বই যার বিক্রয়মূল্য ১০,০০০ টাকা।
গ)
গ্রন্থটির মালিকানা স্বত্ব।
/
লেখিকা হিল্লোহ জাহান-কর্তৃক তিনটি statement এর মধ্যে ১ম ও ৩য় টির একেবারে খুল্লাম খুল্লা জবাব এখন পাওয়া হয়েছে বলে মনে করি।
তবে ২নম্বর পয়েন্টে উনি মর্মাহত চিত্তে সাহিত্যপ্রীতি থেকে যে উদ্বেগ ও আশংকা প্রকাশ করেছেন সাহিত্য অন্তঃপ্রাণ ও সাহিত্য পিয়াসী একজন লেখকের পক্ষ হয়ে,,,তাতে আমি বিনীত দ্বিমত পোষণ করি।কারণ,,,
উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে,,,দুইরকম মানসিকতাসম্পন্ন সাহিত্যানুরাগীদের কল্যানেই এখনো মূলতঃ সাহিত্য রচনা ও পাঠ এই দু’টোই টিকে রয়েছে,,,,যাঁদের নিকট এটা passion এবং profession….!!
এই দুই সম্প্রদায়ের লোকই ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ সাহিত্য পিয়াসী ও সাহিত্য বোদ্ধা।।
এনারা কেহই বেস্টসেলার রাইটার,,,পদক/পদবী,,সম্মাননা স্মারক তথা আল্পনা করা A4 পেপারর ধোরাই পরোয়া করে এবং এই গোমড়ের INS & OUT তাদের নখদর্পণে তো বটেই বরং এরকম তথাকথিত সাহিত্যিকদের ছোঁয়াচে রোগী ভেবে পাত্তা না দিয়ে বরং ভাইরাস ভেবে এড়িয়ে চলে।।