রত্না আফরোজ
এখানে এই মহাকালের মঞ্চে আমি
শত সহস্র কাল দাড়িয়ে আছি
হে মহান মহিমার স্রষ্টা তুমি কোথায়?
জন্ম জন্মান্তর খুঁজে চলেছি তোমায়
রহস্য ঘেরা প্রাচীরে অজস্র আড়াল করে
লুকিয়েছো কোথা!
আমি তোমায় অনন্তকাল ধরে খুঁজে যাই।
মহাকাশ থেকে মহা সমুদ্র,
পাতাল পুরির ধূলিকণা থেকে
লক্ষ কোটি গ্রহ নক্ষত্র মাঝে
পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে আরেক প্রান্তে
বহু পথ খুঁজে কতো বন বনান্তর
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড চষে বেড়িয়েছি প্রভু
কতো পাপ হিংসা হিংস্রতায় ভেসে গেছি
তোমাকে পাইনি বলে
তোমাকে পাইনি তাই
অহমিকার চরম নিষ্ঠুরতায় পাপের আনন্দে ডুবেছি শত দিন মাস শত বছর
হে মহা পরাক্রম প্রভু শুদ্ধতায় ভরে দাও স্বচ্ছতায় ভরো অন্তর।
কোথায় কোন্ জানা অজানায় তোমাকে পাই!
তুমি সর্বত্র সর্বময় অথচ কোথাও নাই।
কতটা দূর আর কতো দূর তেমার গন্তব্য?
সু_বিশাল হীম চূড়া, কতো পর্বত শৃঙ্গ ঘুরে বেড়িয়েছি
জীব অজীবে খুঁজেছি তোমায়।
অতি তুচ্ছ কীট পতঙ্গে সকল সৃষ্টিতে অন্তরীক্ষে ঈষান বায়ু অবিরাম মেঘের বৃষ্টিতে
হে মহান চির অবিনশ্বর প্রভু
তবে কেন তোমায় যায়না দেখা কভু।
এই যে এত বৈচিত্রময়তা, বন বনাঞ্চল
এক সতন্ত্র জীবন ধারা
শাশ্বতকাল ধরে মহাজগৎ জুড়ে তোমারই
লীলাময় খেলায়
অলৌকিক মায়াজাল পেতেছো
কি অপূর্ব সৌন্দর্যের বিভূষিত ভূবন মেলায়।
জানি এ জগৎ জাহান হবে ধূলিসাৎ ফেনায় ভরবে একদিন।
সে মহা প্রলয় সংকটে কে তুলবে অতল গহীন গহবর হতে!
সে অপার মহিমার ছায়া খুজে চলেছি জন্ম জন্মান্তর
আদি থেকে অনাদিকাল পৃথিবীর সকল প্রান্তর
অতৃপ্ত প্রাণ খুঁজে চলে নিরন্তর।
পার্থিব অন্বেষণে বড় ক্লান্ত আমি
পাগলা বাউল আমি
গৃহ হীন পথিক অথচ পথ নেই জানা।
নৈরাশ্যের এক সূচিভেদ্য অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হই বার বার
হে মহান প্রভু দূর করো এই নিদারুন অন্ধকার।
একটুকরো আলো দাও
চন্দ্র সূর্যের মত জগৎ আলোয় উদ্ভাসিত করো আমায়
আজ গভীর মনস্তাপে আকুল প্রাণে খুঁজি তোমায়।
তুমি কোথায় হে মহান প্রভু তুমি কোথায়!?
রত্না আফরোজ কবি।
১৭/১১/১৯।