মাহদী হাসানঃ
মাগো—
তোমার ছেলে জ্বালায় পোড়ায় একটুও না রাগো!
আকাশ সমান ধৈর্য তুমি কেমন করে ধরো
পাও না ব্যথা! সহ্য তুমি কেমন করে করো!
প্রজাপতির ডানায় চড়ে পালিয়ে যেতাম বনে,
হন্যে হয়ে খুঁজতে তুমি কাঁদতে মনে মনে।
আমি তখন পাতার ফাঁকে চুপটি করে দেখি,
মাগো তোমার চোখের কোণায় অশ্রু গড়ায় সে কী!
সহ্য আমার আর হতো না আসতো চোখে পানি,
কত্তো ভালোবাসো মাগো— তাতো আমি জানি।
মাগো—
অসুখ হলে ঘুম ভুলে যাও মাথার পাশে জাগো।
পাশে থেকে দাও সারিয়ে গভীর বুকের ক্ষত,
আদর সোহাগ কেউ করে না মাগো তোমার মতো।
খাওয়ার ভয়ে মুখ লুকাতাম তোমার আঁচল তলে,
সময় হলে খাইয়ে দিতে কত্তো নানান ছলে।
ঘুম পাড়াতে ছন্দ ছড়ায় রূপকথা আর গানে,
এক নিমিষেই বুঝতে তুমি কাঁদছি কী এর মানে!
সন্ধ্যা যখন নামতো মাগো ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে,
ঝোপের ভেতর ভূতরা বুঝি ওত পেতে সব থাকে!
আদর করে বলতে তুমি ভয় পেও না খোকা,
এসব শোনার নেইযে সময় আমি তো একরোখা।
কান্না ছাড়া ফুটতো না মুখ বুঝতে তুমি সবই,
মাগো তুমি প্রজ্ঞাবতী, মহাকালের কবি।
লেখকঃ কবি ও ছড়াকার।