দুপুরের রৌদ্রে স্নাঁত
অবসাদে অবচ্ছন্ন আমি;
যাচ্ছিলাম এক নর্দমার পাশ দিয়ে ।
হঠাৎ আমার কানে ধ্বনিত হলো
নবজাতকের কঁচি কণ্ঠের
মিনতি মাখা কান্নার আওয়াজ ।
আমি দাঁড়ালাম ক্ষণকয়েক ।
বিস্ময়াচ্ছন্ন দৃষ্টি ছুড়লাম এদিক সেদিক ।
এ কী শুনছি!
নর্দমায়… শিশু?
নাকি কোন প্রেতাত্মার অপলাপ?
বুকের ভিতরে ছোট্ট হৃদপিণ্ডের
বদলে যাওয়া স্পন্দন,
আমাতে অন্যরকম অনুভূতি জাগালো ।
কাঁপা পায়ে এগিয়ে গেলাম নর্দমার দিকে ।
হায় !… এ কী?
ন্যাকড়ায় জড়ানো ফুঁটফুঁটে,
সদ্যজাত মানবশিশু ।
তার গায়ে এখনও লেগে আছে
প্রসূতির কাঁচা রক্ত ।
হঠাৎ একটা কুকুর জিহ্বা বের করে
এগিয়ে গেল তার দিকে ।
অন্যরকম শঙ্কায় বাড়তে লাগলো
আমার হৃদস্পন্দন ।
হয়তো সে এখনই আগ্রাসন চালাবে
নবজাতকের দেহ চর্বণের ।
কিন্তু…না;
তেমন কিছুই সে করলো না !!!
শুধু প্রসূতির অপবিত্র,
পঁচা রক্তের দাগ মুছে দিল
তার ক্ষুধার্ত জিহ্বায়,
পরম মমতায় ।
শিশুটির কোমল ত্বকে এঁকে দিল
এক অতুলনীয় স্পর্শ;
যাতে ছিল বুক ভরা অব্যক্ত স্নেহ,
প্রেম ও ভালোবাসা ।
শারমিন আকতার
কবি,সাহিত্যিক,কলামিস্টও চিফ এডমিন মহীয়সী।