Ads

আপনার সন্তানকে বন্ধু বানান

(এটি একাদশ তম পর্ব, বন্ধু দয়া করে পড়ুন)
— নুরে আলম মুকতা
জীবনের বাঁক কোন দিকে গিয়ে থিতু হয় তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানে না। তখন আমার চোখে দৈনিক নব অভিযান, আবু বকর ভাই আর ইস্কাটনের অফিসে একঝাঁক কপোত কপোতি এক টেবিলে বসে সারি বেঁধে বিদেশী ফিচার অনুবাদ করার কাজ। একান্ত পারিবারিক চাপে কলেজে যোগদান করতেই হলো। আমি হয়ে গেলাম শিক্ষক। বিয়ে করিনি না হয়নি কোনটি বলবো?  হয়নি বলাই শ্রেয় মনে হয়। শুধু নারীর ক্ষেত্রে বিয়ে হয়নি আমি আমার জীবনে এ শব্দটি প্রতিবাদ করে চলেছি। করতেই থাকবো। যুক্তি তর্ক চলতে পারে। পরে এ বিষয়ে তর্ক করি এখন চলুন যাই জীবনের গল্প করি। একটি ল্যাট্রিন তখন আমাদের কলেজে। ১৯৯২ খৃষ্টাব্দ। ছোট্ট পরিসর ৬২ জন ছাত্র ছাত্রী। ইন্টারমিডিয়েট মানবিক আর বিজ্ঞান বিভাগ। এখন অনেক ল্যাট্রিন টয়লেট বাথ। কমপক্ষে ৩০,৩২ টি তো হবেই। বেশি হতে পারে। কম হবে না। মেয়েদের জন্য চমৎকার ব্যবস্থা। সরকারি নির্দেশে হাইজিনিক প্যাডের ব্যবস্থাও আছে। মাঝে মাঝে চুরি হয়ে যায়। যিনি আয়ার দায়িত্বে ছিলেন তিনিই আছেন। আমি পরম শ্রদ্ধায় বুবু বলে ডাকি। একদিন আমার প্রাকৃতিক ডাক পড়লে টয়লেটটির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে গেলাম। দ্রুত হেঁটে ফিরে এলাম বুবুর কাছে। আস্তে করে বললাম, বুবু দয়া করে টয়লেট থেকে ঘুরে আসুন তো। কেহ যেন না জানে। আপনি যেভাবে হোক ম্যানেজ করবেন। আমি অনুরোধের সুরে বললাম। তিনি আমার দিকে একপলক চেয়ে ক্ষীপ্র গতিতে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর বকবক করতে করতে এসে বললেন, স্যার যান এবার। আমি একটু হাসি দিয়ে চলে গেলাম। বসতে তো পারি নি। আসলে কি হয়েছিলো প্রিয় বন্ধু আঁচ করতে পারছেন মনে হয় ?
প্রাকৃতিক বিষয় চেপে রাখার কোন যুক্তি নেই। মা দের আগে থেকেই মানসিক ভাবে প্রস্তুত করুন। আমাদের মায়ের মতো লুকিয়ে রাখবেন না। আমাদের দেশে ভয়ানক রকম ছড়িয়ে যাচ্ছে জরায়ু সংক্রান্ত রোগ। আল্লাহর দেয়া মা দের এ বিস্ময়কর সন্তান ধারনের পাত্রটি  ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়া আর ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে। এটি সরাসরি প্রজন্মের সাথে যুক্ত। আমরা সবাই চাই একটি সুন্দর স্বাস্থ্যবান প্রজন্ম। সন্তান ধারন তো আর বাবারা করবেন না। মা দের ধারন করতে হয়। যোনী আর জরায়ু আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টির একটি। মহা আশ্চর্য হতে হবে আমাদের এ সৃষ্টি আলোচনা করলেই।
প্রাকৃতিক বিষয় চেপে রাখার কোন যুক্তি নেই। মা দের আগে থেকেই মানসিক ভাবে প্রস্তুত করুন। আমাদের মায়ের মতো লুকিয়ে রাখবেন না। আমাদের দেশে ভয়ানক রকম ছড়িয়ে যাচ্ছে জরায়ু সংক্রান্ত রোগ। আল্লাহর দেয়া মা দের এ বিস্ময়কর সন্তান ধারনের পাত্রটি  ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়া আর ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে। এটি সরাসরি প্রজন্মের সাথে যুক্ত। আমরা সবাই চাই একটি সুন্দর স্বাস্থ্যবান প্রজন্ম। সন্তান ধারন তো আর বাবারা করবেন না। মা দের ধারন করতে হয়। যোনী আর জরায়ু আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টির একটি। মহা আশ্চর্য হতে হবে আমাদের এ সৃষ্টি আলোচনা করলেই।
আমাদের ছেলেমেয়েদের অনেকেই জানে না মা দের মূত্র পথ, মূত্র নালী ও যোনীপথ আলাদা। আমি আমার শ্রেনী কার্যক্রমে এগুলো পড়ানোর সময় মহান আল্লাহর মহা সৃষ্টির তারিফ আর শুকরিয়া করে শুরু করি। সামনে আনি আমার বাবা আর মাকে। মাঝখানে আমার জন্ম রহস্য আমার সীমাবদ্ধতার মধ্যে আলোচনা করি। ছবি এঁকে দিই আমার বাবার শুক্রাণু আর মায়ের ডিম্বানুর। মা দের ঋতুস্রাব  না হলে তো ডিম্বানু নিঃসৃত হবে না। তাহলে আমাদের সচেতন হতে হবে অনেক আগে থেকেই। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা না জানলে বিপদ হতে পারে। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যোনী,জরায়ু,ডিম্বনালী ও ডিম্বাশয়। এজন্য আমাদের ধর্মীয় অনুশাষন আর স্বাস্থ্য সচেতনতা বিশাল ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে আমার প্রাণ প্রিয় কন্যা সন্তান কে। বেঁচে যেতে পারে একটি পরিবার। জরায়ু ও জরায়ু সংক্রান্ত রোগ তো দুরের বিষয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের দেশের ৯৫% মা বাবারা কন্যা সন্তানদের পর্যাপ্ত আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে বলেন না। সরকারি সরবরাহকৃত এ্যান্টি টিটেনাস ভ্যাকসিন নিতেও উদ্বুদ্ধ করেন না। এজন্য ভয়ানক হারে বেড়ে চলেছে জরায়ু সংক্রান্ত রোগ। একটি জাতির জন্য এটি অশনী সংকেত । প্রিয় বন্ধু আমি মিনতি করি মা কে বাঁচান, নিজে বিশাল পূন্যের কাজ করুন। মায়েরা শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হলে সমৃদ্ধ হতে পারে একটি জাতি।
(চলমান)
লেখকঃ সাহিত্যিক,শিক্ষক ও সহ-সম্পাদক,মহিয়সী।
আরও পড়ুন