সালমা সাহলি
প্যালিস্টানি জননী, কোন ঈমানে এমন ধৈর্যে শৈর্যে হলে বীরাঙ্গনা;
বাবা, ভাই, স্বামী, সন্তান হারিয়ে একাকী লড়ছো আজও সাহায্যহীনা!
আরাকানি ভগ্নী, গলাকাটা পিতৃ ভ্রাতার গোসল বিহীন না হওয়া কবর,
পোড়া ঘর, ভিটেহীন, সম্ভ্রম খোয়া জীবম্মৃত উজানে ভেসে হলে বেখবর!
কাশ্মীরি কন্যা, কেমন করে স্বর্গ সফেদ কষ্ট মেশাও ঝিলাম জলে?,
হাজার পিতা ভ্রাতার শব ভাসালে হিম হৃদয়ে স্বপ্ন ভেঙে পলে পলে!
কেমন করে চেপে রাখো বুকের ভেতর উথলে উঠা কষ্ট ফোঁড়ন
কেমন করে ঘৃণা মুছে সহে যাও সব চোখের জলের রক্ত ক্ষরণ?
আজ কি তবে মানুষ নামে ইতর ওরা? বিবর্তন সূত্রে বিবেক হীন?
বুঝে না কি হিংসা -বিদ্ধেষ পুষে মনে সয়তান পুজোয় ধর্ম বিলীন?
পশু-বিষ্ঠা, মূত্র থেকে আজ তুচ্ছ বুঝি সৎ নিরীহ বিশ্বাসীদের রক্ত
পুজার্ঘ্যের তলে লুকিয়ে ছোরা, লুটছে ধর্ম, কাড়ছে জীবন-জমি-তক্ত।
এমন করেই বুঝি মানব খুনে কুরবানী হয় শুভ্র স্বাধীন মানবতার?
দেখছে মানুষ চোখ লুকিয়ে, অসাড় জিহবা, লজ্জ্বা হয় না আর!
—এসো তবে, আমরা ক’জন খুব গোপনে কষ্ট তুলে ক্ষত-জ্বালায়
ভোরনিশিতে সিজদায় লুটে, রবের কাছে নালিশ ঢালি চোখের নালায়…
এবং এসো, অসহায় এই আমরা ক’জন খুঁজে দেখি ভুলটা কোথায়,
বিভ্রম মোহ ভেঙ্গে ফেলে কুরআন মেলে শুদ্ধ করি সত্য আলো আত্মস্থতায়।
রচনা কাল–২৬ আগষ্ট ২০১৯
কবিঃ কবি ও সাহিত্যিক, প্রবাসী বাংলাদেশী, যুক্তরাষ্ট্র