বিপাশা হাবিব আরজু
কষ্টের আবরণে ছেদ পড়লেই মনে পড়ে
একদিন আমি ছিলাম।
তন্দ্রাবিলীন করা ভাগাড়ের কবর
কথা বলে ওঠে,
বিস্মৃত হয়না কিছুই!
ধমনিতে বয়ে যায় একই স্রোত
তবুও হয় রক্ত ভাগাভাগি!
শেয়ালের মাংস বিষাক্ত জেনেও
দাম উচ্চে।
আমি কেবল কবিতা পড়ি,
কবিতা পড়ি।
হৃৎস্পন্দনের আর্তি জানিয়ে দেয়
ক্ষুধার সাথে পাকস্থলীর আত্নীয়তা!
গণিকাবৃত্তীর দায়ে রমনী প্রাণ
কতবার আত্মহত্যা করে!
ঘাসফড়িংয়ের বিখণ্ডিত দেহে
কেবলই পিঁপড়ের দল।
এক চিলতে সস্তিও আসেনা উড়ে।
জারজের কপালে শুধুই ভাঁজ।
রেগে যাচ্ছত সুহৃদ!
আমার এলোমেলো প্যাচালে?
আমিও ভাবি,আমিত মহৎ কেউ নই
স্বার্থপর সংসারী মানুষ একজন।
তবে কি নিজেকে আড়াল করতেই
এতসব ভাবা?
বৃত্তের বেড়াজালে আটক যে জীবন
হুমড়ি খেয়ে পড়ে অযাচিত মন!
আমার আর দেয়াল কাটা হয়না।
আমিত সেই বালিকা বধুর
সাদা-কমলা স্বপ্নের মতোই
একমুঠো প্রশান্তি ওড়াই
সন্ধ্যার বাতাসে।
কবি,সাহিত্যিক,এডমিন ও সহ-সম্পাদক