মানসুরা শরীফ
তাদের সাথে আমার দেখা হয়েছে
কোন এক গোধুলি রাঙা সাঝঁ-বেলায়
রক্তিম আবীর মাখা সূর্যের বিদায়
আর একগুচ্ছ কামিনীর শুভ্রতায়।
মেঠোপথের আইল ছুয়ে যাওয়া ধুলোমলিন
ঘাষের ডগায় কিংবদন্তির পদচিহ্ন আঁকা
সন্ধ্যা তারা ভরা আসমান, ঝলমলে রাত
তবুও আঁধার রাত্রি শেষে নামছে হঠাৎ।
নব্য ভোরের অরুণোদয়ে ভাঙেনি জনপদের ঘুম
তারা আওয়াজ দিয়েই চলছে,তবুও এশহর নিশ্চুপ
মাথার ওপর দ্বিপ্রহে, তপ্ত রবি তেজ্বদীপ্ত
পড়ছে ঝড়ে বিন্দু বিন্দু রক্তমাখা তজ্বদি।
কর্ণকুহুরে বাজে বিজাতীয় সুর
আজাদীর স্লোগান জোয়ারে
ভেসে যায় দূর- বহুদূর,
ছেয়ে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার।
বাঁচার আকুতি আজ নিস্ফল আর্তনাদ
তাদের কাফেলা নিশান দৃষ্টি অগোচরে
গাফেলের চাদরের অন্তরালে
সময়ের তালে সোনালি যুগের অবসান।
ফের যদি আসে ফিরে শান্তি বার্তা –
বাহকের দল, চাবুকের আঘাতের
চিহ্ন মিটাবে, মুছে দিয়ে আর্তনাদ
অলীক স্বপ্নের আলপনা মগজে তোমাদের।
দিয়েছো দু’হাতে ঠেলে,নিজেদের অধিকার
ডুবে ছিলে বেখেয়ালি ভাবনায়
এসব এখন দিচ্ছো তারই খেসাতর
পড়ছে খসে লালসায় গড়া শখের আমিরাত।
তাদের সাথে আমার ক্ষণিকের দেখা
সে পাঠাশালায় এটাই শেখা
তুমি,তোমার এবং আমরা সবাই কিংবদন্তি
আওয়াজ তোলার হিম্মত আর
একঝাঁক কণ্ঠে উষ্মা ছড়িয়ে দেওয়াই বাকি।
লেখক- শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।