Ads

সখের বিয়ে

অধ্যাপিকা মৌলুদা খাতুন মলি

(এক)
গতকাল পর্যন্ত ‘হিরন’কে আমি ক্ষমা করতে পারিনি।পারি কি করে? হিরন আমার প্রিয়জনদের একজন। ওর সাথে আমার প্রথম পরিচয়টা হয়েছিল অবশ্য নাটকীয়ভাবে। ২০০৮ সালে। রাজশাহী যেতে- বাসের মধ্যে। আমার তখন (রাজশাহীতে) চল্লিশ দিনের একটা ট্রেনিং চলছিল। তারপর আলাপ চলাকালীন জানা গ্যালো- ‘ও’ আমার বাবার দিকের আত্মীয়গোছের । সম্পর্কে- ভাগ্নি হয়। মিষ্টি হাসিখুশি মেয়েটির যেমন সুন্দর চেহারা-সুরুত– তেমনি লেখাপড়ায় সেরা। অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড সে।এর কিছুদিন পর– বলা-কওয়া নেই হঠাৎ সে ধুম করে ‘প্রেম’ করে বিয়ে করলো – এক ডাব বিক্রেতাকে। নাম ‘সুমন’। শুনেই-তো লজ্জায়- দুঃখে আমার মেজাজ গ্যালো সাংঘাতিক বিগড়ে। আমি ওর বিয়ের জন্য এক ‘সোনালী ব্যাংক’ অফিসারের সাথে কথা বলছি তখন।
ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করে সুমন। হিরনের হোস্টেলের পাশেই নাকি ওর আনাগোনা ছিল বেশি। তো সেবার রোযার মাসেও হিরনকে হোস্টেলেই থাকতে হয়েছিল- সামনে ফাইনাল পরীক্ষা জন্য। প্রতিদিন ইফতারে হিরন ডাব খায়। ছোটবেলা থেকেই ডাব তার খুব পছন্দের। সুমন বেছেবেছে পুরু শাঁস দেখে ডাব দেয়। শাঁসওয়ালা ডাবের পানি খুব মিষ্টি হয়। হিরন ডাব খেয়ে সুমনের ভীষণ তারিফ করে। একদিন সারাটা বিকেল সুমনের সাথে কথা হয় হিরনের। কি এমন কথা হয়েছিল – জানিনা।কিন্তু…ব্যস! তারপর-সাত দিনের মাথায়- বাবা-মা’র অমতে বিয়ে করে সে!! কয়েক বছর আগের ঘটনা এটি। এরমধ্যে আর যোগাযোগ হয়নি ওর সাথে আমার।
আজ সকালে খালিপেটে সাহেবের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছিল। আগামী দু/একদিনের মধ্যেই ঢাকা যেতে হবে। সাহেবের ফলোআপ আছে। জাস্ট সোয়া আটটায় ডাক্তার সাহেব আলট্রাসনো করবেন। হসপিটাল থেকে বলে দিয়েছেন- প্রস্রাবের চাপসহ যেন রুগীকে নিয়ে যাই। ভালকথা। সাহেব ফজরের পর থেকে সমানে পানি খাচ্ছে।
বাসার কাছেই হসপিটাল। এরপর যথারীতি প্রস্রাবের চাপ নিয়ে হসপিটালে গেলাম। অপেক্ষা করছি আমরা। ডাক্তারকে বারবার ফোন দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ফোন রিসিভ হচ্ছেনা। মহাজ্বালা! এদিকে সাহেব আর প্রস্রাব আটকে রাখতে পারছে না। আমার দিকে কটমট করে তাকাচ্ছে সে। ভাবখানা এমন, য্যানো সব দোষ আমার। আমি শুধু-
— “প্লিজ, আর একটু অপেক্ষা কর। এখানে য্যানো সিন ক্রিয়েট করনা প্লিজ। এই তো ডাক্তার এলেন বলে”…!
ছোট বাচ্চার মত করে বুঝাচ্ছি। নানান রকমের গল্পও করছি। কিন্তু না। ন’টা বেজে গ্যালো – তবুও ডাক্তারের আসার কোনো নামগন্ধ নেই। এবার সাহেব ভীষণ অস্থির হয়ে বলল-
— ‘বাসায় চলো মলি। আজ আর আলট্রাসাউন্ড করাবোই না। পরে দ্যাখা যাবেক্ষণ “।
সাহেবের রাগ করাটা অতি স্বাভাবিক। স্বেচ্ছাচারিতারও একটা লেভেল থাকা উচিত…!! যাহোক। কি আর করা।
রুগীরা তো ডাক্তার মহাশয়ের কাছে কিছুটা জিম্মিই বলা চলে। (ব্যতিক্রম তো আছেই)।
আমি ওয়েটিং রুমে পায়চারী করছি। হঠাৎ পেছন থেকে কে একজন আমার কাঁধে একটা ভারী হাত রাখলো। চমকে ফিরে দেখি-
কালো বোরকা পরিহিতা, হাত-পায়ে কালো মোজা দিয়ে মোড়ানো এক মোটাসোটা ভদ্র মহিলা আমার কাঁধে হাত রেখে- স্থির, উৎসুক হয়ে দাঁড়িয়ে।
একেতো করোনাকালীন সময়..! তারমধ্যে হসপিটাল..! ওদিকে সাহেবের প্রস্রাব আটকে রাখার তীব্রতর কষ্ট..! এতসব অশান্তির মধ্যে– এক অপরিচিতার হাত কাঁধে .!!! ক্যামন অসহ্য-বিরক্তিকর লাগে বলুনতো??
তার মধ্যে আমি আবার বরাবরই একটু শুচিবাই প্রকৃতির। করোনাকালীন- তা বেড়ে গ্যাছে বহুগুণ। যতবার বাইরে যাচ্ছি- এসেই গরম পানি দিয়ে কাপড়-চোপড়ে গোসল করছি। বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি। আল্লাহ্‌ মাফ করুন। যদিও আল্লাহ্‌ পাকই একমাত্র ভরসা এবং হায়াত-মউতও- সম্পূর্ণ আল্লাহ্‌ পাকের হাতেই। কিন্তু তারপরও এই দুর্যোগ মুহূর্তে সবারই একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ।
এমন সময় নার্স বললেন-
— ম্যাডাম, রুগী কোথায়? তাড়াতাড়ি আনুন।স্যার (ডাক্তার) এসেছেন।
— হ্যা, আসছি।
কাঁধ থেকে হিরনের হাত সরাতে পারছি না কিছুতেই। ‘ও’ ফুঁপে ফুঁপে কাঁদছে।
ওকে নিয়ে হসপিটালের বাইরে এলাম। সুন্দর বসার জায়গা আছে। মুখোমুখি বসলাম দু’জনে। করোনা’র ভয় মনে পড়ছে না আর। হিরনের সম্মোহনী শক্তি আমাকে সবকিছু ভুলে যেতে বাধ্য করেছে। ‘ও’ কি বলে- এখন সেটা শোনাই সবথেকে বেশি জরুরি।
কোনো ভূমিকা ছাড়াই- হিরন শুরু করলো ঠিক এভাবে-
— আচ্ছা মলি খালা, বলুন তো, ‘প্রেম’ কি পাপ? হারাম? না-জায়েজ?
নাকি বৈধ..?
এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি খালামনি?
হিরনের হঠাৎ এ ধরনের অপ্রত্যাশিত প্রশ্নে আমিতো এক্কেবারে অপ্রস্তুত হয়ে আমতা আমতা করে বললাম-
— আমি কি মুফতি নাকি হিরন, যে ফতোয়া দেব? তাছাড়া তুমি ‘ইসলাম শিক্ষা’ নিয়ে পড়াশোনা করেছো– সুতরাং তুমিই এ বিষয়ে আমার চেয়ে ভাল জানবে।
— হুম। শুনুন তাহলে…।
(দুই)
আজ ‘হিরন’ আমার এতদিনের অজ্ঞতার ঠুসি পরা জ্ঞানের চোখ খুলে দিল– একটানে…!!
‘প্রেম’ এর সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণ ‘ও’ অল্পকথায় এত সুন্দরভাবে (কুরআন- হাদিসের আলোকে) বুঝিয়ে দিল যে, আমি অবাক না হয়েই পারলাম না।
তো আসুন, প্রথমে আমরা অন্তত এতটুকুন জানার চেষ্টা করি যে- আসলে প্রকৃত “প্রেম” বলতে আমরা কি বুঝি? ‘প্রেম’ সম্পর্কে আমাদের সাধারণ ধারণাই বা কি? প্রেমের বৈধতা / অবৈধতা কি, এসব নিয়ে।
(‘প্রেম’ এর টপিক নিয়ে এক্কেবারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা এটি।)
‘প্রেম’ হলো- মানুষের অন্তরের একটি বিশেষ অবস্থার নাম। যা কারো প্রতি আবেগ, গভীর অনুভূতির সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়।
আরও একটু খোলাসা করে বলি–
‘প্রেম’ হলো-
★ কারো প্রতি অন্তরের ভালবাসা, হৃদয়ের গভীর টান অনুভব করার নাম।
★ যার মুখের দিকে তাকালেই– মনে এক অনাবিল জান্নাতি সুখানুভূতি জাগে- তার নাম ‘প্রেম’।
★ ‘প্রেম’ হলো- যাকে কাছে না পেলে- কষ্টের আর সীমারেখা থাকেনা- তার নাম।
★ যার ক্ষণিক বিরহ-বিচ্ছেদে- কলিজার ভেতরে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়, মনে ভীষণ অশান্তি লাগে- তার নাম হলো-‘প্রেম’।
★ প্রেম হলো- সেই মানুষটাকে কাছে পাবার তীব্র বাসনার নাম। (ইত্যাদি)।
(তবে- আমাদের প্রকৃত ‘প্রেম’ / মহব্বত রাখতে হবে- মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি। যা ছাড়া কোনো মানুষই প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না।)
আবার, দুনিয়ায় কাউকে ভালোবাসলে তা একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালার জন্যই ভালোবাসতে হবে। মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানসহ আত্মা ও রক্তের আত্মীয়দের প্রতি ‘প্রেম’কে– মহান আল্লাহ তা’য়ালা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন।
অর্থাৎ ‘প্রেম’ও ইবাদত। যদি তা সঠিকভাবে, সঠিক পথে পরিচালিত হয়।
ইসলামে ‘প্রেম’ করা জায়েজ, বৈধ। কিন্তু সেই প্রেম হতে হবে বাবা-মা’র প্রতি সন্তানের যে প্রেম থাকে, স্বামী-স্ত্রী উভয়ের প্রতি যে প্রেম, প্রতিবেশির প্রতি প্রতিবেশির যে প্রেম থাকে, আত্মীয়স্বজনের প্রতি প্রেম, আল্লাহ্‌র সৃষ্টির প্রতি যে প্রেম থাকে- তা।
এ ধরনের প্রেমে পাপ-তো নেই-ই, বরং আছে প্রচুর সওয়াব ।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন,’সওয়াবের আশায় কোনো মুসলমান যখন তার পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করে, তখন তা (তার জন্য) সদকা হিসেবে গণ্য হয়’।সুবহানআল্লাহ!!(মুসলিম : ১২/১৪, হাদিস : ১০০২)।
কিন্তু বর্তমান জামানায় ‘প্রেম’ বলতে যা প্রচলিত হয়ে গেছে, তা নিছক একটি অবৈধ সম্পর্ক। যা সম্পূর্ণ হারাম, না-জায়েজ। এই প্রেমের সম্পর্ক মানুষকে পাপের অতল সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়। এ এক মরীচিকা। যা তাকে আল্লাহর রহমত থেকে অনেক দূরে সরে দেয়। এই মোহ তাকে দিন দিন আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরত করে শয়তানের পূজায় ব্যস্ত করে তোলে।
পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে,‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। আর যারা এরূপ করে- তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।’(সুরা- মুনাফিকুন, আয়াত : ৯)।
উক্ত আয়াতে যাদেরকে ভালোবাসা- জায়েজ ও ‘ইবাদত’- তাদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে যে, তারা যেন আমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে।
তাহলে- যে সম্পর্কগুলো স্বয়ং মহান আল্লাহ পাকই হারাম করেছেন, সেই সম্পর্ক যদি কাউকে আল্লাহর স্মরণ বা জিকির থেকে গাফেল করে দেয়, তবে তা কতটা জঘন্য হবে? তা ভেবে দেখা দরকার।
সাইকোলজিস্ট রবার্ট স্টেনবার্গ ‘ভালোবাসা’কে তিনটি উপাদানের মধ্যে ভাগ করেছেন। সেই তিনটি উপাদানের মধ্যে অন্যতম হলো—
★ আবেগ।
(যৌন অথবা রোমান্টিক আকর্ষণ)।
(জি-নিউজ)
যেই আকর্ষণ মানুষকে ব্যভিচারের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-
“আর তোমরা ব্যভিচারের ধারে-কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ”।
(সুরা- বনী ইসরাইল (ইসরা), আয়াত : ৩২)
তাই, কাউকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যেও তার সঙ্গে বিবাহ-পূর্ব ‘প্রেম’ নামে যে অবৈধ সম্পর্ক (প্রেমালাপ) রয়েছে, তা করার কোনোই অবকাশ নেই।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন,
★ চোখের ব্যভিচার হলো (বেগানা নারীকে) দেখা।
★ জিভের ব্যভিচার হলো (তার সঙ্গে) কথা বলা। (রোমান্টিক /যৌন উদ্দীপ্তমূলক কথা )।
(বুখারি, হাদিস : ৬২৪৩)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে,
★ দুই চোখের ব্যভিচার হলো, (বেগানা নারীর দিকে) তাকানো।
★ কানের ব্যভিচার- যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা।
★ মুখের ব্যভিচার- আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা।
★ হাতের ব্যভিচার- (বেগানা নারীকে খারাপ উদ্দেশ্যে) স্পর্শ করা।
★ পায়ের জিনা হলো-ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়া।
★ মনের ব্যভিচার হলো- চাওয়া ও প্রত্যাশা করা।
(মেশকাত, হাদিস : ৮৬)
“সেদিন তাদের কৃতকর্মের বিরুদ্ধে- তাদের জিহ্বা, তাদের হাত ও পা সাক্ষী দিবে”।
(সূরা আন নূর-২৪)
(তিন)
আসলে- মানুষ যখন প্রেমে পড়ে, তখন সে তার মনের মানুষকে না দেখে থাকতে পারে না। সে দূরে থাকলেও কমপক্ষে তার ছবি দেখে, অথবা তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে, তাকে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনে- স্বপ্নরাজ্যে হারিয়ে যায়।
ইসলামে এগুলো ‘হারাম’।
রাসুল (স) বলেন,
“কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক কঠোর শাস্তি নির্ধারিত থাকবে।
তারা হচ্ছে–
★ বৃদ্ধ ব্যভিচারী,
★ মিথ্যাবাদী শাসক এবং
★ অহংকারী গরীব”।
(মুসলিম ও নাসায়ী)
হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত।
রাসুল (সা) বলেছেন,
“ঈমান একটি উত্তম পোশাক। যা আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তাকেই পরিধান করান। আর কোন বান্দা যখন ব্যভিচার করে তখন তার কাছ থেকে তিনি ঈমানের পোশাক খুলে নেন। এরপর তওবা করলে তাকে পুনরায় এ পোশাক ফিরিয়ে দেয়া হয়”।
[বায়হাকী, তিরমিযি, আবু দাউদ ও হাকেম]
“ঈমান একটি উত্তম পোশাক। যা আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তাকেই পরিধান করান। আর কোন বান্দা যখন ব্যভিচার করে তখন তার কাছ থেকে তিনি ঈমানের পোশাক খুলে নেন। এরপর তওবা করলে তাকে পুনরায় এ পোশাক ফিরিয়ে দেয়া হয়”।
[বায়হাকী, তিরমিযি, আবু দাউদ ও হাকেম]
অন্য এক হাদীসে রাসুল (স) বলেন,
“হে মুসলমানগণ ! তোমরা ব্যভিচার পরিত্যাগ কর। কেননা এর ছয়টি শাস্তি রয়েছে। মন্দ পরিণতির মধ্যে তিনটি দুনিয়াতে ও তিনটি আখেরাতে প্রকাশ পাবে। যে তিনটি শাস্তি দুনিয়াতে হয় তা হচ্ছে,
★ তার চেহারার ঔজ্জ্বল্য বিনষ্ট হয়ে যাবে,
★ তার আয়ুষ্কাল সংকীর্ণ হয়ে যাবে এবং
★ তার দারিদ্রতা চিরস্থায়ী হবে।
আর যে তিনটি শাস্তি আখেরাতে প্রকাশ পাবে তা হচ্ছে,
★ “সে আল্লাহর অসন্তোষ,
★ কঠিন হিসাব ও
★ জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে”।
[বায়হাকী]
“(এই) সেই মহাগ্রন্থ আল কুরআন। এতে কোন সন্দেহ নেই। যারা আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় করে- এই কিতাব তাদের জন্যই পথপ্রদর্শক’। (বাকারা- ০২)।
তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে– পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(আল কুরআন)।
“(এই) সেই মহাগ্রন্থ আল কুরআন। এতে কোন সন্দেহ নেই। যারা আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় করে- এই কিতাব তাদের জন্যই পথপ্রদর্শক’। (বাকারা- ০২)।
তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে– পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(আল কুরআন)।
হিরনের ইসলামী জ্ঞানের প্রশংসা করে হঠাৎ মুখ ফসকে বলে ফেললাম–
— আচ্ছা হিরন, তোমার বিয়েটা তো প্রেমের ছিল, তাইনা?
‘ও’ ভ্রু কুঁচকে বিস্ময় নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো-
— নাহ! কক্ষনো না খালামনি। কে বলেছে আপনাকে?
— বলো কি!!
তবে কাজটা কিন্তু তুমি ঠিক করনি হিরন। তাই বলে ডাব বিক্রেতাকে বিয়ে..।
আমার কথায় হিরন হেসে বললো–
— কে বলল সুমন ডাব বিক্রেতা খালামনি? ‘ও’ রুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার। ডাবের ব্যবসা ছিল ওর নাটক, ছদ্মবেশ। সে এক মজার ইতিহাস…। পরে বলবো একদিন।
হিরনের কথার আগামাথা কিচ্ছু খুঁজে পাচ্ছি না য্যানো। তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে সব। ব্যস্ত হয়ে বললাম-
— তাহলে তোমার বিয়ের খবরটা?
হাসির মাত্রা বাড়িয়ে দিল হিরন। বললো-
— বিয়েটা সত্যি। আর সেসময় বিয়েটা করেছি আমি- জাস্ট সখের বশে খালামনি..!! আসলে সুমন খুবই ভাল, আদর্শবান ছেলে। বাবা- মায়ের একমাত্র সন্তান। আমাকে প্রচণ্ড ভালবাসে সে। গভীর প্রেম আমাদের মাঝে!! তবে তা বিয়ের পর থেকে– আগে নয়। বলেই ফিক করে হেসে উঠলো আরেকবার ..!!
লেখকঃ সাহিত্যিক ও  কলেজ শিক্ষক 
লেখকের প্রকাশিত লেখা-
আরও পড়ুন