১৭ অক্টোবর ২০২০
আবুবকর সালেহ
কী এক যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই কচিকাঁচা শৈশবে
বাবার হাতে ছিল নির্ভরতার আঙুল
সেই আঙুল ধরেই বেরিয়ে পড়া
একে একে মুখোমুখি হয়েছে অগণিত
কার্তিকের কোলাহল, বৈশাখী ঝড় আর
চামড়া ঝলসানো রৌদ্র দুপুর।
রাখা হয়নি পাটিগণিতের হিসেব
কোনো পঞ্জিকায় লিখে রাখিনি
দিনরাত্রির আসা যাওয়া
কখন যেন পেরিয়ে এসেছি চির চেনা গ্রাম
ঝকঝকে সকালের স্কুল
ধুলিমাখা বিকেল।
ছুটেছি আমি এক ক্লান্তিহীন পরিব্রাজক
ছিলো না সুসংবাদের কোনো সুশীতল ছায়া
কর্কশ মাটির স্পর্শে খুঁজেছি জানাশোনা ঘ্রাণ
মাথার ওপরে দেখেছি অচেনা রোদের
তীব্র শাসন।
আমি মুখ তুলে বলেছি বাবা আমরা থামবো কবে
বাবা বলেছে, এই আর একটু দূরেই
মুড়ি বাতাসা খাবি? আমাদের মলিন পোশাক আর
শুকনো মুখ
কেবলিহাতছানি দিয়ে ডাকে ঝাঁপখোলা দোকানের
পৌষালী আয়োজন।
বাবারা টেনে হিঁচড়ে অনেকদূর যায়
তারপর এক অচেনা প্রহরে এসে থামে
সব চঞ্চলতা। ইতিহাস ফিরে আসে আরও একবার
আবার শুরু হয় ছুটে চলা
বৃদ্ধ পথের পিঠে আরও কত নতুন সওয়ার।
কোথায় গন্তব্য?
জানা হয়নি সেই ঠিকানার পরিচয়
কখনও তিনটি কখনও চারটি অধ্যায়ও অপর্যাপ্ত ঠেকে
সমাপ্ত হয় না যেন সেই ব্যাকুলতার
নির্জন তেপান্তর।
সবি পড়ে থাকে অনাদর অবহেলায়
অভিযোগ অভিমান
সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা অব্যক্ত যত
অপারগতার বিবরণ।
আবুবকর সালেহ, কবি ও সাহিত্যিক