-
একদিন শূন্য কুটিরের উঠোনে দাঁড়িয়ে
একাকিত্বের অনুভবে জোছনার
অন্তরে খুঁজেছি আলোকিত চাঁদ।
আজ আমার ভাঙা চালায় আলোর ফোয়ারা
ঢেউ খেলে মাধবীলতার গন্ধে ভেসে,
মন আমার ডুবে থাকে বন্ধ ঘরের দুয়ারে।
কে ডাকে দূর হতে প্রিয় নাম ধরে।
গুমোট প্রাণের পরিত্যাক্ত বাতায়নে
স্মৃতির অসংখ্য ঝুল কেবল ডানা ঝাপটায়,
মুক্তির স্বাধ নিবে বলে ব্যাকুল আকুল হয়ে ছুটে চলে সুদূর অতীতের দিকে।
তাই উড়িয়ে দিলাম সীমাহীন দিগন্তে বিষাদের সব নীলকন্ঠ পাখি।
আমার সাড়া আঙিনা জুড়ে তীর তীর করে বয়ে চলে দখিনা লু হাওয়া।
আমি অনাদিকাল অপেক্ষায় ছিলাম
বয়ে চলা দীর্ঘতম সময়ের কাছে
প্রিয় সেই প্রণয়ীর কাছে
একটি সুখ নিদ্রার রাত্রি চেয়ে।
হায় সুখের সেই পায়রা গুলোর ওড়াউড়ি রিক্ত প্রাণের প্রাঙ্গণে,
হাজার রাতের স্বপ্ন নিয়ে হাতছানিতে ডেকে যায় দূর হতে
সুখের মতো ব্যাথা জাগানিয়া সেই তুমি
ফিরে এলে সপ্তর্ষী নক্ষত্রের ভীড়ে।
অথচ আমি শুকতারা হয়ে জ্বলজ্বল করে
জ্বলে থাকি দূর আকাশের কখনও পশ্চিমে কখনও পুবাকাশে।
তুমি কি দেখনি আমায় হৃদয় গহীনে?
খুঁজেছো কি কখনও আমায় ঐ অনন্তনীলাভে ?
আমি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড চষে বেড়িয়েছি তোমার খোঁজে জানো না তুমি, জানবেনা কোনো দিন, আমার সকল নির্জনতার নিস্তব্ধতায়
হৃদয় গহনে, যখন জানালা খুলি শুধু তোমারই বিচরণ তুমিই থাকো চিরদিন।
আমিও হেঁটেছি ফের, অবিকল ছায়া হয়ে নিঃশব্দ চরনে।
তুমিও কখনো জানতে পারোনি জানবেনা কোনোদিন।
যে মালতি ঝরে গেছে নিরবে বহুদিন আগে
ব্যাথা নিয়ে সৌরভে, আজ ভ্রমরের গুঞ্জনের মতো সে বিহ্বল স্নিগ্ধ বাতাসে।
মন আমার ভেসে যায় অনাগত সুখের প্লাবনে।
নৈঃশব্দ্য বলে যাবে আমাদের অলিখিত গল্প
পৃথিবীর মায়াবী অবিনাশী অনুপম কাব্যে।রত্না আফরোজ- কবি