আজ এই ক্লান্ত আমি কোন একদিন
আশাহত হবো জানতাম
জানতাম এই দুরন্ত আমি
কোন এক যুদ্ধে পরাজিত হবো।
আমি আর ভাবতে চাই না, তবুও ভাবায়
ভবিষ্য পৃথিবীর ভাগ্যলিপি।
আমাদের নৈসর্গিক অস্থিরতা যেন
কিশোরী পতিতার পাপ চুম্বিত
ওষ্ঠের কম্পনের মত।
কোন একদিন তাও স্থবির হবে
অবিশ্রান্ত ক্লান্তির বিষণ্ণ – অবসাদে।
প্রতিদিন দিগন্ত চুমে রক্তিম রেখা টেনে
অস্তমিত সূর্য পূর্বাভাস দেয়
আমাদের অনিবার্য ধ্বংসের।
দিনের আলো সরে যায় অজানায়
প্রিয়জনের মত – নতুন প্রভাতের আশায়।
হয়তো তখনও ভাবিনি আমরা আশাহত হবো
অথবা জানতাম।
তবুও প্রতিনিয়ত বিবর্ণ আশার ললাটে চুম্বন করি
আমাদের ব্যবহার্য – ক্লান্ত চায়ের কাপের মত।
নির্মম অত্যাচারে একান্ত ক্লান্ত
আমাদের চারিপাশের নিশ্বাস বাতাস।
হয়তো পৃথিবী বদলে যাবে একদিন
হয়তো হারিয়ে যাবো মহা ধ্বংসের আঁধারে
এখানে রবেনা মানুষের অস্তিত্ব আর।
কোন একদিন এখানে এই গ্রহে আবার
অন্যকারো আবাস হবে –
আবাস হবে সাগরের তলদেশে –
অবশেষে মহাপ্রলয়ের অযুত কিংবা
লক্ষ বছর পরে।
একদিন তারাও ইতিহাস লিখবে
এই গ্রহে কোন একদিন মানুষ নামের
এক প্রকার প্রাণীর বসবাস ছিল।
তারা অনেকটাই হিংস্র আর
নিজেদের মধ্যে কলহ – ধ্বংসে মত্ত ছিল।
এখানে সাগর ছিল, আকাশ ছিল –
বাতাসের অক্সিজেনে মধুর গন্ধ ছিল।
হয়তো তখন আমাদের অস্তিত্বের কথা ভুলে যাবে
আমাদের চিরচেনা এই পৃথিবী।
হয়তো নিখাদ পরাজয়ে হয়েযাবো অবিনশ্বর
মহাকালের কাছে অস্তিত্বের লড়াইয়ে
তখন আমি আর আশাহত হবোনা।
বানেশ্বর, রাজশাহী।