যে আমারে অশেষ করেছে চিরদিন,
চাঁদ তারা নক্ষত্রের নিচে
যদিও জানতেনা তুমি কোথায় আছি আমি আর কতটা দূর
তার স্বচ্ছ আকাশে আমি বহুদিন নিঃশব্দ নক্ষত্র হয়ে
বহুকাল ছিলাম সবথেকে দূরত্বের গ্রহের পাশে ।
তারপর মেঘে ভেসে ভেসে জলরাশি রুপে,
এই পৃথিবীর ধান কাটা মাঠে শাপলার বিলে বৃষ্টি হয়ে ঝরেছি কত শতবার।
তুমি এলে সেই জলছায়ায় ঘোরলাগা চোখে।
একবার দেখে নিয়ে, দেখেছি তোমার গহীন মরুময় প্রাণ,
জল খুঁজে খুঁজে তুমি এই বিষন্ন শ্রাবণে,
সন্ধ্যার আধারে আছো থমকে দাঁড়ায়ে
কদম ফুটেছে বুঝি বরোষার নিমন্ত্রণে।
এই ভরা জলের শ্রাবণে তুমি এলে কারকাছে?
আমি অভিভূত আমি বিমোহিত
পৃথিবীর সব শুদ্ধতম স্নিগ্ধ চোখ তার
যেন ঐ একজোড়া মায়াময় চোখের ভেতর।
আমি কেবল হারাতে এসেছি নিজেকে হারিয়ে,
জীবনের গভীর থেকে গভীরতম সময়ের
সুরঙ্গ পথে আমি ঘেটে দেখেছি
দেখেছি সেইসব ঝলমলে দিন
তাপদাহে পোড়ানো ক্লান্ত সূর্যের রং
কি অসাধারণ গোধূলির রঙে সন্ধ্যা নিয়ে রাতের হৃদয়ে।
সেই হীম হীম শীতল হৃদয়খানি দিয়েছো কি চিরে?
যে আমারে অশেষ করেছে পূর্ণতায় চিরকাল
আমি আকূল প্রাণে ফিরে ফিরে যাই
সেই অনন্তের সুদীর্ঘতম শতাব্দীর পথে
যে আমারে ডেকে নেয় সহসা তার আলোকিত প্রাণে।
রত্না আফরোজ- কবি