এমদাদুল হক হীমু
সময়ের সব জঞ্জাল কুড়িয়ে নিয়ে নোংরা হাতে, আমি কী করে তোমার কোমল গা ছুঁয়ে বসে থাকি?
কী করে জীবনের যত প্রতিবাদ প্রতিশোধের দহন বুকে, তোমার শীতল বুকে আগুন জ্বালি?
যখন আমি বুঁদ হতে চাই তোমার চুলের সুবাসে,
তখন বারুদের গন্ধ, মানুষের চামড়া পোড়া গন্ধ নাকে লাগে।
আমার কামোম্মত্ততা নিস্তেজ হয়ে পড়ে,
আমার চোখের কোণে নারীর নয়নের নোনাজল ঝরে।
আমার ভিতরে দুরন্ত বিপ্লবী ছুটতে শুরু করে, আমি উন্মাদ হয়ে যাই, কোনো বাঁধন আমায় আটকাতে পারে না।
আমি তোমায় ছুঁতে চেয়েও ছুঁতে পারি না। আমি তথা কথিত সভ্য মানুষের মত প্রতারক হতে পারি না। আমি কোমলতার ছোঁয়া থেকে শামুকের মত গুটিয়ে নেই নিজেকে।
আমি বুকে পাষাণ প্রাচীর গড়ি। প্রাচীরের দেয়াল কেটে বুকের গভীরে জ্বলে থাকা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে হাতুড়ি চালাই। অতঃপর তরতর করে নির্জাতন নিপীড়নে অমসৃণ উপত্যকায় ছুটে যাই উতপ্ত গলিত লাভা হয়ে।
আমি দূরে সরে যাই, কাঠিন্যে আর কোমলে বনিবনা হয়নি কখনো তাই।
এমদাদুল হক হীমু – কবি।