সাদা পৃষ্ঠায় ছোঁয়াতেই কলমের নিবটা, আশ্চর্য, হয়ে গেল অবিকল মা-পাখির ঠোঁট! সদ্য ফোঁটা ছানাদের প্রাণান্ত হায়ের ভিতর গুঁজে দিচ্ছে মন্ত্রপূত অনশ্বর দানা। এক সমুদ্র জল তার অতি ক্ষুদ্র বুকে, তাই ঘুরে ঘুরে অতিকায় ঢেউ তোলে অক্ষরের তীক্ষধার নিরক্ষ মণ্ডলে; বড়ো বেশি অপত্য স্নেহে, ভালোবেসে সদানন্দ মুনি সৃজ্যমান বনের গহীনে আঁকে নতুন মোহর। দুহাত গুটিয়ে বসে দেখি, পৃষ্ঠাজুড়ে ছানাদের প্রসাধিত ডানার প্রস্তুতি। ওড়ার পরম সুখ যে পেয়েছে বুক ঘষে তৃণের কুটিরে, তাকে তুমি হেঁচকা টানে নামাবে কোথায়? সুৃতো বাঁধা ঘুড়ি নই, উড়ি না নাটাইবাজ হাতের কসরতে। মাটির গভীরে যাও খুঁড়ে খুঁড়ে, দেখো বুক চিড়ে, পাথরের পরতে পরতে খুঁজে পাবে অপার্থিব জলের স্পন্দন। পেতে পারো হরপ্পার সুগঠিত ইটও।