রত্না আফরোজঃ
জানি তুমি আর কখনো খুঁজবেনা আমায়
মনের অলিগলি পৃথিবীর আর কোনো পথে।
রাখবে না চোখ কূলভাঙা কোনো নদীর তীরে।
ভোরের কুয়াশায় হাঁটবোনা তুমি আর আমি,
ভিজবেনা পা হেমন্তের ভেজা ঘাসে
গোধূলির রঙে ভেসে আমিও আসবো না নিস্তব্ধ সন্ধ্যার বাতাসে।
বেলা শেষে ক্লান্ত পাখিরা ফিরে যায় নীড়ে,
কোনো স্বপ্ন নীড়ে ফিরবোনা আমি কোনো শুভক্ষণে।
পথে যেতে যেতে জীবনের ক্রান্তি কালে,
বিষাদে যদি কভু কষ্ট জাগে মনে
আমি নিঃশেষ হবো নিরবে ঐ নীলিমার নীলে
মেঘেঢাকা আকাশের কোলে উপরিভাগে
যদি কেঁদে ওঠে মন কোনো ঘন বরষার রাতে
সে রাতে ভেজাবো চোখ ভিজবো আমি,
সেই জলাদ্র ভেজা রাতে।
কতকাল ঘুমহীন ক্লান্ত আমি, খুঁজবেনা কেউ আমায় ঘুমজড়ানো ঘুম ঘুম চোখে।
যে আলো জ্বলে জ্বলে নিঃশব্দে নেমে আসে আঁধারের ভীড়ে,
সে আঁধারে ডুবে যাবো আমি নির্জনতার গহবরে।
নিশার মত যদি মনে জাগে ঘোর বরিষণ
নিবিড় নিকষ ঘনকালো আঁধারে,
জ্বালবোনা আলো স্মৃতি জাগা ভাঙা প্রাণে।
ভেঙে যায় যদি মন যাক ভেঙে
কাঁদবোনা একাকী শব্দহীন নির্জনে।
জানি ভুলে যাবে পুরনো সেই প্রিয় স্থান,
যেখানে দেখা হতো তোমার আমার আসা যাওয়ার রাধাচূড়া কৃঞ্চচূড়ার ছায়া তলের সেইপথে।
শেষ হবে সেই হৃদয়ের গল্প আমাদের ইতিহাস এই চাঁদ তারা নক্ষত্রের নীচে।
আমাকে খুঁজবেনা তুমি আর আষাঢ়ের জলে ভেজাপথে,
যদি আবার কখনও জোছনার জোয়ার আসে
মেঘভেঙে শরতের রাতে
আমি স্থির জেগে রবো অন্ধকারে চোখ রেখে
ভোরের সোনালী রোদে খুঁজবোনা আমিও
সেই দুর্দান্ত ঝকঝকে উচ্ছল দিন।
কেবল শূন্যতায় একাহবো সব ব্যার্থতার মাঝ পথে
দুঃসহ জ্বালায় জ্বলবো আমি রোদ জ্বলা দিন যেমন
তুমি থেকো প্রাণবন্ত চিরদিন জীবনের সব বসন্ত মাসে
সব জোছনায় ভেসে যাক জীবন তোমার সব পূর্ণিমা রাতে।
সেই প্রহরে জানি খুঁজবেনা তুমি আর আমায়
মায়া ভরা স্যাঁতস্যাঁতে চোখে
পৃথিবীর কোনো মায়াবী পথে।
লেখকঃ কবি।