Ads

অমানুষ

।। রাধা রানী বিশ্বাস ।।

অকৃত্রিম রূপের অনন্য সুন্দর স্রষ্টার সৃষ্ট
এই পৃথিবীতে অগণিত বহু প্রাণী আছে।
কোন প্রাণীর নামের পূর্বে “অ” বর্ণটি
কখনো যুক্ত হয় নাই।
কিন্তু মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হলেও
মানুষ কথাটির আগে “অ” বর্ণটি তার আচরণগত
বদঅভ্যেসের কারণে যুক্ত হয়েছে।
অর্থাৎ অমানুষ!
অমানুষের আবার জাত কি?
সে হলো জাত ধর্ম বিবর্জিত এক প্রাণী।।
যদি অমানুষকে সংজ্ঞায়িত করা হয় তাহলে
অমানুষ হলো মনুষ্যত্বহীন আস্ত একটা মাংস পিণ্ড।
বিবেকহীন একটা বাসনা,
মমত্বহীন পরিত্যক্ত একটা মন,
নির্লজ্জ একটা ভাবনা।
যার ধ্যান জ্ঞান সব কিছুতে বিকলাঙ্গ ধারণার
অবচেতন ধ্বংসাত্মক লালসার উল্লাস বিরাজ করে।
প্রতিনিয়ত সর্বনাশের আর্বতে ঘূর্নায়মান,
যার গতিপথ আক্রমনাত্মক ধ্বংসের নেশাকে
অনুসরণ করে মাতালের মতো।।
অন্যদিকে মানুষ নামের মানুষটির মনুষ্যত্ব,
শিকলে আবদ্ধ সোনার খাঁচায়,
বন্দি পাখির মতো ছটফটায়।
বিবেকের তাড়ণায় তাল গাছের উঁচু
মাথাটার মতো, সমস্ত ঝড় ঝাপটা সামলে,
তার সামর্থ্য আর জ্ঞান এর মহিমার আলোর
বিচ্ছুরণ চারিদিকে ঘোর অন্ধকারকে প্রতিনিয়ত
কালি ভোরের আকাশের বুক হতে রঙা রবির
মতো আলোকিত করতে অবিচল।
সমস্ত গ্লানি মুছে দিয়ে এখনো এই পৃথিবীকে
শুদ্ধাচারের শুদ্ধতায় অবগাহন করার
প্রশান্তিকে বাঁচিয়ে রেখেছে
উদ্যমতা আর গতিশীলতায়।।
একটা সময় পরে, অমানুষগুলো
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে।
আর সেখান থেকেই ঠকে যাওয়া মানুষগুলো,
বেঁচে থাকার ভালো থাকার প্রাণশক্তি ফিরে পায়।
ভেঙে যাওয়া মনোবলকে সঞ্চালন করে।
যেনো পরিত্যক্ত ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে
জেগে উঠা অঙ্কুরিত পল্লবের মতো….
জেগে উঠা পল্লবের মতো…..।।
তারিখ -১৯/৭/২২ইং
আরও পড়ুন