Ads

কানাডা প্রবাসীর বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষার উন্নয়ন ও দাওয়াহর কাজ

তৌহিদ নোমান

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَٰلِحًا وَقَالَ إِنَّنِى مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ
“কথায় ঐ ব্যক্তি থেকে কে বেশি উত্তম যে (মানুষকে) আল্লাহর দিকে আহবান করে, আর সৎ কাজ করে এবং বলে, ‘আমি (আল্লাহর প্রতি) অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত’।” কুরআন ৪১:৩৩

ইসলামের ৫ রোকনের পর আরো ৩টি উত্তম কাজ হচ্ছে: আমর বিন মারুফ, নাহি আনিল মুনকার বা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ এবং হিজরতের মাধ্যমে দাওয়াত এর কাজ।

হিজরত হচ্ছে ৯ প্রকার, তার মধ্যে এক প্রকার হলো মাতৃভূমি ও জীবিত রক্তের, নিকাহর আত্মীয় স্বজনদের হিজরতে সাক্ষাত ও মৃতদের কবর জিয়ারতসহ দ্বীনের ভাইবোনদের উপর দাওয়াত এর কাজ করা ।

আল্লাহ হিজরত সম্পর্কে বলেন,
সূরা আল বাক্বারাহ:১৯৫
“*আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে*
তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না।
আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর।
আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।”

সূরা আল ইমরান:১৯৫
“………সে সমস্ত লোক যারা হিজরত করেছে, তাদেরকে নিজেদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের প্রতি উৎপীড়ন করা হয়েছে আমার পথে এবং যারা লড়াই করেছে ও মৃত্যুবরণ করেছে, অবশ্যই আমি তাদের উপর থেকে অকল্যাণকে অপসারিত করব। এবং তাদেরকে প্রবিষ্ট করব জান্নাতে যার তলদেশে নহর সমূহ প্রবাহিত। এই হলো বিনিময় আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর আল্লাহর নিকট রয়েছে উত্তম বিনিময়।”

১৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২ দিনে ২০০০০ কিলোমিটার সফর ও ১৬ থেকে ২৩ এক সপ্তাহ দেশের হোটেলে কোয়ারানটাইন লকডাউন ও করোনা পরীক্ষা রেজাল্ট নেগেটিভ মানে পাশ করে ২৩শে ফেব্রুয়ারী কাকরাইল মার্কাজ এ আল্লাহ পৌছান আলহামদুলিলাহ।

বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা লকডাউন চলাকালীন অধিকাংশ দেশগুলোতে যখন ধর্ম প্রচারের কাজ বন্ধ তখন দাওয়াহ তাবলীগ সদর দফতর বাংলাদেশের কাকরাইল মার্কাজ থেকে সারা দেশে দাওয়াহ তবলীগের কাজ চলছে আলহামদুলিল্লাহ।

এই মারকাজ ও বাংলাদেশী বাৎসরিক বিশ্ব ইজতেমা থেকে থেকে বিশ্বের ২২০ দেশের সুন্নি মুসলিমরা ধর্ম প্রচারের দাওয়াত নিয়ে আসে ও বাংলাদেশে ধর্ম প্রচারের কাজ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে যায় আলহামদুলিলাহ।

যদিও ইউরোপ, আমেরিকা মহাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনাতে আক্রান্ত ও মারা যায় কিন্তু ইবাদত ও ধর্ম প্রচার বা দাওয়াহর কারণে করোনা পরিস্থিতি আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশে অনেক ভালো। হে আল্লাহ বিশ্বব্যাপী মহামারী নির্মূল করুন, আমীন।

কানাডা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা উভয় দেশে আমরা কালেমা সহ ১.৬ কোটি মুসলমান, তবে খুব কম মুমিন এবং মুত্তাকিন মানে ইমান এবং ইয়াকিন বা দৃঢ়বিশ্বাস। সুতরাং আমি প্রতি বছর আমার জন্মভূমিতে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি ঘুরে দেখি যেখানে আমাদের দাওয়াহ কাজ করার জন্য দুই আমেরিকা মহাদেশের ১০ গুন ১৬+ কোটি মুসলমানের মধ্যে কালেমাসহ মুসলমানদের মুমিন ও মুত্তাকিন হিসাবে গড়ে তোলা দরকার মানে শক্তিশালী ইমান এবং ইয়াকিনসহ আল্লাহওয়ালা ও আল্লাহওয়ালী বানানোর কাজ করার বিরাট ময়দান বাংলাদেশে।

ফেব্রুয়ারী ২৩, ২৪, ২৫ ঢাকার কাকরাইল মার্কাজ থেকে দাওয়াহ তবলীগ এর বর্ণনা:
কাকরাইল মার্কাজ থেকে বুধবার ২৪শে ফেব্রুয়ারী মারকাজের দৈনিক মাশোআরা বা কাজের পরামর্শ:

দাওয়াত তাবলীগ ঢাকা শহরের উলামায়ে কেরাম, তালিব ও আবেদদের মধ্যে ৫০০ জন ঢাকার এই কাকরাইল মার্কাজী মসজিদ শুরার পরামর্শে যোগদান করেন।আপাতত করোনার সময় ও প্রতি দিন ১৫ জনের ৫০ থেকে ৬০ দল বা তবলীগ জামাত ইসলামের দাওয়াহর কাজে সারা দেশের ৬ লক্ষ মসজিদ ভিত্তিক এবং ৫০ হাজার মাদ্রাসা ভিত্তিক ৬৪টি জেলায় মোবাইল মাদ্রাসার মত জামাত তৈরি করে ধর্ম প্রচার, শিক্ষা ও দাওয়াত এর কাজ করে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।

ঢাকা শহর তবলিগ শুরু মজলিশের দৈনিক পরামর্শের পরে ২৫০ জন ঢাকা সিটি শীর্ষ দেওবন্ড কারিকুলাম কওমী মাদ্রাসা বাংলাদেশী ওলামাদের বৈঠক হয়।

২০২১ সালের করোনার কারনে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা এবার হয় নাই। ঢাকা শহরে ৭টি শবগুজারি মসজিদ পয়েন্ট রয়েছে এবং প্রতি দিনের তাশকিলে গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি ৩ দিন, ১০ দিন, ৪০দিন ও চার মাসের জামাত প্রস্তুত হয়ে হিজরতে বের হয়।

ঢাকা বিভাগের বা দেশের রাজধানী ঢাকা শহরে মোট ২০০০ টি  কাওমী মাদ্রাসা রয়েছে এবং ২০০ টি মাস্টার্স লেভেল দাওরা হাদিস মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রতি বছর রমজানের ছুটিতে জামাতে বের হয়।

সারা বিশ্বে, আমাদের দেশে ও ঢাকা শহরে মুসলিম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা ৩ দিন, ১০ দিন, ৪০ দিন এবং ৪ মাসের জামাতের ও কওমী মাদ্রাসার পাশ করা নুতন উলেমারা ১ বছরের জন্য প্রস্তুত হয়ে তবলীগ জামাতের হিজরতে বের হন।

জাতীয় চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার এবং শিক্ষকদের বাৎসরিক জমায়েত কাকরাইল বা টঙ্গীতে হয় প্রতি ২ থেকে ৩ মাস পরপর। নতুন চিল্লা তৈরি করতে, মুসলিম শিক্ষার্থী ও প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা ৩ চিল্লা বা ৪ মাসের জামাত এবং কাওমী মাদ্রাসার উলামাদের বা নবীন স্নাতকদের দ্বারা ১ বছরের জামাত প্রস্তুত করা হয়।

২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে জাতীয়ভাবে গড়ে দেশে ১৫০০টি চার মাসের জামাত বর্তমানে বাংলাদেশে চলছে। এই সংখ্যা গত ২০২০ বছরের জানুয়ারী ১০,১১,১২ ইজতেমার সময় ছিলো ৫০০০ কিন্তু করোনার পরে এর কাজটা ধীর গতিতে চলে। গত বছর বিশ্ব ইজতমায় মোট ৭৫ লক্ষ লোক ৩ দিনের জন্য ট্ন্গীর ময়দানে সমবেত হয়েছিল আলহামদুলিলাহ।

উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের সাথে বাংলাদেশী ৪ কোটি মুসলিম শিক্ষার্থী এবং যুবক রয়েছে যাদের ভ্রাম্যমান দাওয়াহ তাবলিগ মিশন, কাকরাইল মারকাজ ও মসজিদ, মাদ্রাসার মাধ্যমে বেসিক ইসলামিক শিক্ষা ও সাহাবাদের ৬ বৈশিষ্ট্য কলেমা, নামাজ, ইশম জিকির, ইকরামুল মসলিমিন, সহী নিয়ত ও ধর্ম প্রচার শেখানো হয়।

আমাদের পরবর্তী সফর ফেব্রুয়ারী ২৬, ২৭, ২৮ সিলেটের কাজের বর্ণনা:
আমরা আমেরিকা ও কানাডার বিদেশী মেহমান দেশী ২৮ জন অভিজ্ঞ, উচ্চশিক্ষিত পেশাদার বিচারক, সচিব, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে দাওয়াত এর কাজে ৩ দিনের জন্য সিলেট বিভাগীয় সিলেট জেলা, হবিগঞ্জ জেলা ও মাধবপুর উপজেলার ভিতর কাজ করি।

সিলেট জেলায় ৭০০ টি মোট কাওমী মাদ্রাসা রয়েছে এবং ৭০ টি মাস্টার্স লেভেল দাওরা হাদিস মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রতি বছর রমজানের ছুটিতে জামাতে বের হয়।

মার্চ ১ থেকে ৭ তারিখ দাদা, দাদী, নানা নানী, বাবা, মা ও তাদের পূর্বপুরুষদের কবর জিয়ারত ও জীবিত আত্তীয়বর্গের সাথে সিলেট, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম সফর শেষে আবার কাকরাইল থেকে ১৪ জনের(১৪ জেলার তরুন, বৃদ্ধ, ছাত্র, শিক্ষক, চাকুরিজীবী, কৃষিজীবী, জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী) জামাত নিয়ে আমীর হিসেবে তবলীগ চিল্লার জামাতবদ্দ করেন আলহামদুলিলাহ।

ধর্ম প্রচারকারী জামাতটার রুট পড়েছে চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তির থানার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১০০টি গ্রামে। গড়ে এই ৪টা ইউনিয়নের প্রতি ইউনিয়নে ২৫ গ্রাম ও ৫০টি মসজিদ, ৭টি নুরানী শিশু, নাজেরা ও হাফেজী মাদ্রাসা, ১|২টি কিতাবূল কওমী মাদ্রাসা ও ১টি ফাজিল লেভেল আঁলিয়া মাদ্রাসা, ১টি স্নাতক কলেজ, ৩টি হাই স্কুল, ৯টি প্রাথমিক স্কুল, পল্লী উন্নয়ন হাসপাতাল, বিদ্যুত, আদালত, পুলিশ ফাঁড়ি, তথ্য কেন্দ্র, গ্রাম বাজার ও প্রশাসনিক অফিস আছে। আমাদের তবলীগ ামাতটা এগুলোর প্রায় সব জায়গায় গিয়েছে ও ইউনিয়নের উন্নয়ন ও দাওয়াত তবলীগে জামাত বের করতে কাজ করেছে আলহামদুলিলাহ।

এই ইউনিয়নগুলোর মসজিদের ইমাম, কওমী মাদ্রাসার মুহতামীম, আঁলিয়া মাদ্রাসার ও কলেজ বা স্কুলগুলোর আরবী ও ইসলামিক স্টাডিজ বা ইসলামিক ইতিহাস শিক্ষকের মাঝে ৫% ও মাস্টার্স লেভেল আলেম বা কামিল বা মুফতি পাইনি।

গ্রামের অর্ধ শিক্ষিত মসজিদের ইমাম ও ইসলামিক শিক্ষান্গনের শিক্ষকরা মুসল্লি, শিক্ষার্থী, কমিটি ও কমিউনিটি বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মাজার পুজা, কুসংস্কার, বিদাত করে পিছনের যাচ্ছে মানে ইসলামিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে দিচ্ছে না।

দেশে ইসলামিক আমল ও ইলম শিক্ষার জন্য ৬ লক্ষ মসজিদ সাথে মকতব ও ৫০০০০+ আঁলিয়া ও কওমী মাদ্রাসা এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক অনুষদ থাকলেও ইসলামী শিক্ষা দান ও লাভে আমাদের মা, বোন, বউ, ও মেয়েদের চাক্ষুষ দেখলাম যে তারা অনেক পিছনে। এর একটি প্রমান সারা দেশে মাত্র কওমী মহিলা আলিমা বানানোর মাস্টার্স লেভেল উচ্চশিক্ষার মাদ্রাসা আছে ২৫০-৩০০ মাত্র।

তাই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এই ৪০ দিনের ধর্ম প্রচারের মিশনে কর্মরত অবস্থায় হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলায় ১০টি কিতাব বিভাগের বা স্নাতক লেভেল পর্যন্ত মহিলা মাদ্রাসা পরিদর্শনে শুরা কমিটি ও মুহতামীমের সাথে পরামর্শে উন্নয়নের প্রকল্প শুরু করেছি আলহামদুলিলাহ।

বাংলাদেশে আগামী ১০ বছরে ৯টি বিভাগের ৬৪ জেলার ৪৯৭ থানার যেই থানায় নেই সেখানে ১টি করে উচচশিক্ষার জন্য উচ্চতর স্নাতক আলিমা বা দাওরা হাদিস লেভেল মডেল কওমী মহিলা মাদ্রাসা প্রকল্পের বার্ষিক উন্নয়ন কাজ চলবে আমাদের, ইনশাললাহ।

এর পাশাপাশি প্রজেক্ট:
আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক তৈরী করতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ও ইংরেজী মাধ্যমে অনলাইনে ইসলামিক ডিপ্লোমা ও
ইসলামিক স্টাডিজ, ইসলামিক অর্থনীতি, ইসলামিক বেন্কিং, ইসলামিক মনোবিজ্ঞানে, আই টি বিষয়ে IELTS ইংরেজী টেস্ট পরীক্ষা কোচিংসহ স্নাতক ও উচ্চতর স্নাতক ডিগ্রির জন্য প্রথম বাংলাদেশী লার্নিং সেন্টার মার্চ ১৪, ২০২১ খোলা হয়েছে আলহামদুলিলাহ।
যোগাযোগ:
পেরাডাইস আই টি ইনস্টিটিউট,
বাংলাদেশের বাংলাদেশী লার্নিং সেন্টার,
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
+8801401493338
+16479919990
উচচশিক্ষার জন্য ৪৯৭ থানার মিশকাত বা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহিলা মাদ্রাসাগুলির পরিচালকদের আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ও ইংরেজী মাধ্যমে অনলাইনে ডিগ্রি নিতে সাহায্য করা হবে

বর্তমানে আগামী রমজান উপলক্ষে দেশী ও বিদেশী ১০ দিন, ২০ দিন, চিল্লা ও চার মাসের জামাত বের করার লক্ষ্যে আমাদের বিদেশী মেহমানসহ দেশী তবলীগ জামাতটা কাজ করছে আলহামদুলিলাহ।

নিজেদের আত্মশুদ্ধি, রুহের খোরাক বৃদ্ধি ও জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার মূল্যায়নে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটি ছাত্র, শিক্ষক বা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানর সংখ্যা নয়। বছরে কত দিন বা কত ঘন্টা ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়া হয় -সেটিও নয়। পিএইচডি বা সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে কতজন বের হলো সেটিও মাপকাঠি নয়। বরং গুরুত্বপূর্ণ হলো, কতজন জ্ঞানবান ও চরিত্রবান মানুষ সৃষ্টি হলো, জাতির মেরুদন্ড কতটা মজবুত হলো, মানবিক, অর্থনৈতিক বা সামরিক দিক দিয়ে জাতি কতটা সামনে এগুলো –সে বিষয়গুলি।

এক্ষেত্রে ব্যর্থতা বাড়লে নিছক ছাত্র, শিক্ষক ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাওয়াতে দেশের কল্যাণ বাড়ে না। শিক্ষালয়েই নির্মিত হয় দেশবাসীর চরিত্র এবং জাতির মেরুদন্ড। এখানে থেকেই জাতি পায় বেঁচে থাকার শক্তি। নির্মিত হয় জাতির মন, মনন ও সংস্কৃতি। নিছক ক্ষেতে-খামারে ও কল-কারখানায় উৎপাদন বাড়ালে জাতি বাঁচে না, সে লক্ষ্যে জ্ঞানদানের আয়োজনও বাড়াতে হয়।

ধর্মীয় শিক্ষার উন্নয়নে দাওয়াহ তবলীগ ভ্রাম্যমান মাদ্রাসা আমাদের দেশে ও বিদেশে ধর্ম প্রচারের কাজ সব সময় করে যাচ্ছে বিগত ১৯২৭ সাল থেকে।

মোট ৪৫ বছর দেশের বাইরে থেকে ও ১ থেকে ২০ এর ভিতর বিশ্বমানের একাডেমিক ও ধর্মীয় বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষালাভ ও শিক্ষার্থীদের প্রবাসে উচ্চশিক্ষাদান এবং একাডেমিক ও ধর্মীয় বিশ্বমানের শিক্ষান্গনের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিগত ২০১২ সাল থেকে ৯ বছরে বছরে দেশে কানাডিয়ান আন্তর্জাতিক হাই স্কুল, বাংলাদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্হার গ্রাম বাংলাদেশী ৮০+ স্কুল ও নিজ শেকড় থেকে ৪৫০০ ইউনিয়ন লেভেলে ইসলামী উচচশিক্ষার জন্য মহিয়সী মহিলা আলীমার কারখানা তৈরির জন্য দেশের ৫০০০০+ নুরানী বা শিশু মাদ্রাসা নয় বরং ২৫০ কিতাব বিভাগের মহিলাদের মাদ্রাসা চতুর্থ শ্রেনী থেকে স্নাতক বা মিশকাত ও দাওরা হাদিস বা উচ্চতর স্নাতক মাদ্রাসা উন্নয়নে আসলাম দেখি ভুমিদস্সুরা আমাদের পৈতৃক ২০০ ডিসিমাল জমি দখল করে আছে। আমার উপর জানের হুমকি, ৫ বছর ধরে হয়রানি, হামলা, মামলা, হুমকি, ধামকি, জমির বেড়া, সবজি, গাছ, মাছ, ফসল চুরি ও ভান্গচুর করে যাচ্ছে।

আল্লাহর সাহায্যে মজলুমের মত হিজরতে আল্লাহর ঘর ও রাস্তায় থেকে বাবা দাদার ওয়ারিশ হিসেবে বাবার ওয়াসিয়াত করার জমি দখলে ও মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম ও একাডেমিক ও ধর্মীয় বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গনের উন্নয়নে আঞ্চলিক এলাকার অঙ্গীকার ভঙ্গকারী, জুলুমকারী, জাহেল ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজ, মুনাফিক, মাজার পুজারী, বিদাতী, কাফের, মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছি নিজের জান, মাল, মেধা দিয়ে আলহামদুলিলাহ।

হে আললাহ, দয়া করে আমাদের সবাইকে হৃদয় জুড়ে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্নীতিবাজ ও জালেমদের ক্ষমা করুন ও সবার মঙ্গল করুন আর মুনাফিক ভূমিদস্যু, জুলুমবাজ, তেলবাজ ও দুর্নীতিবাজরা তওবা করে ক্ষান্ত হয় এবং পরবর্তী প্রজন্মের বংশধরদের আপনার আনুগত্যশীল করে সঠিক দিকনির্দেশনা ও বুদ্ধি দিন ও হেফাজত করুন, আমীন।

১২ লক্ষ প্রবাসী মজলুমের পক্ষে দুর্নীতিবাজদের সাথে যুদ্ধ বা জিহাদ করতে বাকী জীবন বা আমরন আল্লাহর রাস্তায় মজলুম, মুসাফির, মুহাজির মুজাহিদ মেহমান হয়ে থাকা ছাড়া আমার আর উপায় নেই। সূত্র: An-Nahl 16:41
وَٱلَّذِينَ هَاجَرُوا۟ فِى ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مَا ظُلِمُوا۟ لَنُبَوِّئَنَّهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا حَسَنَةًۖ وَلَأَجْرُ ٱلْءَاخِرَةِ أَكْبَرُۚ لَوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ
যারা অত্যাচারিত হওয়ার পরও আল্লাহর পথে হিজরাত করেছে, আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই এ দুনিয়াতে উত্তম আবাস দান করব, আর আখেরাতের পুরস্কার তো অবশ্যই সবচেয়ে বড়। হায়, তারা যদি জানত!
দয়া করে বাবা, মার ও দেশের যোগ্য মুমিন সন্তান হিসেবে পড়ি, শেয়ার করি, গবেষণা সূত্র ও থিওরী নয় আসুন কাজ দিয়ে প্রমান করি ও সবাই মিলে হৃদয় জুড়ে দোয়া ও কাজ করি।

আল্লাহ আমার / আমাদের স্থানীয় এবং বিশ্বব্যাপী দাওয়াহ তাবলিগ মিশনারি প্রচেষ্টাকে ক্ষমা ও কবুল করুন, আমিন। জাজাকাল্লাহ খায়রান কাসিরান।

লেখক: তৌহিদ নোমান, অবসরপ্রাপ্ত কানাডিয়ান সরকারী অধ্যক্ষ ও বর্তমানে আন্তর্জাতিক ইসলামিক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক বিজ্ঞানে
মাস্টার্স লিডিং ডক্টরেট গবেষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক পরামর্শ কমিটির নির্বাহী পেনেলিষ্ট ও দিকনির্দেশনা কারী, টরন্টো শিক্ষা বোর্ড, কানাডা

আরও পড়ুন