Ads

ভাষা আন্দোলন- চেতনাদীপ্ত বাঙালির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নন্দিত সোপান

আবদুর রহিম রবিন

“মোদের গর্ব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা”। বাংলা বাঙালির কেবল মাতৃভাষাই নয়, বস্তুত বাংলা বাঙালির মৌলিক স্বত্তা- জাতিগত মূল্যবোধের নিরেট ভিত্তি। বাংলাকে ঘিরেই বাঙালির আবির্ভাব, বাঙালির যত ইতিহাস, উত্থান অভ্যুত্থান, মর্যাদাশীল অবস্থান সব কিছুই বাংলাকে ঘিরে। মাতৃভাষার জন্য স্বৈরাচার শাসকের গুলিতে দেশপ্রেমী সংশপ্তক ছাত্রসেনাদের lপ্রান দেয়ার ইতিহাস এ পৃথিবীতে বাঙালি জাতি ছাড়া আর কারোই নেই। রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতের মত শহীদদের রক্তে রঞ্জিত বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারীর সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা এখন আর শোকের মিছিলে জাতিগত স্মরণে সমবেত হওয়ার জন্য নয়। বায়ান্নকে ঘিরে আমাদের সব শোক হাহাকার কান্নাকে ছাপিয়ে সময়ের পরিক্রমায় বিশ্বজনীন সভ্যতা ও বিবেকে শানিত হয়ে দিবসটি আজ বিশ্বমানবতার কাছে মর্যাদার সাথে সমাদৃত।

শহীদ ভাষা সৈনিকদের রক্তে রঞ্জিত আলোকধারা আজ বিশ্বময় উচ্ছ্বসিত। বাঙালির ভাষা আন্দোলনের হৃদয় বিদারক স্মৃতিবিজড়িত একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর কেবল বাংলাদেশেরই নয়, সারা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। তাই সেদিনের সে মহান শহীদেরা কেবল মাত্র বাঙালির জন্যই প্রান উৎসগর্ করেনি, বরংচ আপেক্ষিকভাবে সারাবিশ্বের জন্যই নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন বললে অত্যুক্তি হবেনা। একুশের যে চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে দেশপ্রেমী বাঙালিরা রক্ত দিয়ে, প্রাণ দিয়ে মাতৃভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, আজ তাঁদের সেই আত্মত্যাগ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সমাদৃত।

একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে বাঙালীর মহান বিজয় এবং পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বাংলার ভাষা আন্দোলন ছিল তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। একুশে ফেব্রুয়ারীতে ভাষা আন্দোলন চূড়ান্তরুপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ বপিত হয়েছিল বহু আগে থেকেই। মৌলিক অধিকার হিসেবে বাংলা ভাষাকে তৎকালিন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবীর চূড়ান্ত বহি:প্রকাশ ঘটে বায়ান্নের সেই রক্তভেজা একুশে ফেব্রুয়ারিতে। মাতৃভাষা বাংলাকে নিয়ে ভাষা আন্দোলন, বিশেষ করে বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারির দু:খজনক ঘটনা ছিল একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তখন মাতৃভাষার দাবীতে রফিক, সালাম, বরকত সহ আরও শহীদদের আত্মদানের পর থেকে বাংলার আপামর জনতার মাঝে তাদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেই যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে ওঠে, তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠিত হয় একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ।

ভাষা আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল সুদূরপ্রসারী । বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের ৪৬ বছর পর দুই বাঙালী নাগরিক রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম গৌরবোজ্জ্বল সেই ভাষা আন্দোলনের ঘটনাকে বিশ্ব মানবতার সামনে তুলে ধরেন । এই দুই প্রবাসী বাঙালি অধিবাসী ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনার আবেদন জানান। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশ সমূহে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।

২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাবটি উথ্থাপন করে এবং সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস হয়। এখন বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রীয় ভাবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হচ্ছে। আর এ মর্যাদা বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অনন্য এক নন্দিত সোপান।

বাংলা ভাষা তথা ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ন্যুনতম ইতিহাস জানা ও সম্যক ধারণা প্রতিটি শিক্ষীত সচেতন বাঙালিরই থাকা উচিৎ। এ আলোকে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত কিছু ইতিহাস পাঠক সমক্ষে একটু তুলে না ধরলেই নয়। গোড়াপত্তন থেকেই বাঙালি স্বাধীনচেতা উদার জাতি হলেও ব্রিটিশ শাসনামলে বাঙালি ছিল শোষিত ও নিপীড়িত। উর্দু ভাষা মূলত: ইন্দো-ইরানীয় ভাষা গোষ্ঠির সদস্য হলেও ব্রিটিশ শাসনামলে অবিভক্ত ভারতবর্ষে তা দঃ এশিয়ায় বেশ বিকশিত হয় এবং এক পর্যায়ে তা ভারতীয় মুসলমানদের ইসলামী সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালিন ভারতীয় সম্ভ্রান্ত মুসলিমদের নিকট ভাষাটি বেশ সমাদৃত ছিল।

১৯৪৭ ও ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশশাসিত ভারতীয় উপমহাদেশটি ভারত, বার্মা(বর্তমানে মায়ানমার), সিংহল(বর্তমানে শ্রীলংকা)এবং পাকিস্তান এই চারটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়। ১৯৪৭ সালে মূলত ধর্মকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হয়। মুসলমান অধুষ্যিত এলাকা নিয়ে পাকিস্তান ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনপদ সমন্বয়ে ভারত গঠিত হয়। পাকিস্তানের দুটি পৃথক ভূখন্ড ছিল- পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান। ধর্মীয় দিক থেকে সমজাতীয় হলেও সাংস্কৃতিক, ভৌগলিক ও ভাষাগত দিক থেকে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অনেক মৌলিক পার্থক্য ছিল। তখন বাংলাদেশ নামের কোন দেশ ছিলনা। সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের ভূখন্ড থেকেই বাংলাদেশের জন্ম। নবগঠিত তৎকালিন পাকিস্তানের লোক সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৯০ লক্ষ। তন্মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের ৪ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ ছিল বাংলাভাষী এবং পশ্চিম পাকিস্তানের ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ ছিল উর্দুভাষী যা বাংলাভাষী মানুষের অর্ধেক প্রায়। অথচ ভারত বিভক্তি হতে না হতেই, সংখ্যাগরিষ্ট পূর্ব পাকিস্তানিদের কাধেঁ জোয়াল রেখে তাদেরকে শোষন করার সুবিধার্থে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক শাষকেরা বাংলা ভাষাকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হল। আর এ কারণেই ১৯৪৭ সালের শিক্ষা সম্মেলনে ঘোষনাপত্রের মাধ্যমে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে নির্ধারণ করা এবং প্রচারমাধ্যম ও বিদ্যালয়ে কেবলমাত্র উর্দু ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়। বাংলাকে সরকারের অনুমোদিত বিষয়তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় এবং মুদ্রা ও ডাক টিকেট থেকে বাংলা অক্ষর বিলুপ্ত করা হয়।বিষয়টি পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষীত মহলে বেশ নাড়া দেয় এবং বাংলাভাষী ব্যাপক জনগোষ্ঠি সরকারের এমন অযাচিত নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠলেও পাকিস্তান সরকার তা অগ্রাহ্য করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রদের বিশাল সমাবেশে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দানের আনুষ্ঠানিক দাবি উথ্থাপন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের স্থপতি ও গর্ভনর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ রেসকোর্স ময়দানে তার ভাষনে উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষনা করেন। পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাভাষী সাধারণ মানুষেরা পাকিস্তান সরকারের এ আকস্মিক ও অনায্য সিদ্ধান্তকে মানতে পারেনা এবং এতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও বিরুপ প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হয় এবং বাংলা ভাষার সমমর্যাদার দাবিতে আন্দোলন দ্রুত দানা বাধতে থাকে। ১৯৫২ সালে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ১৩৫৮ সালের ৮ ফাল্গুন। ভাষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে রুখে দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসুম শিক্ষার্থীদের উপর পাকিস্তানি সামরিক শাসকের পুলিশ কর্তৃক গুলি চালানোর মত বর্বোরচিত ঘটনা যুগ যুগান্তরের পরেও গোটা বিশ্বমানবতা ও সভ্যতাকে থমকে দেয়। সে সময়ভাষার দাবিতে চলমান আপোষহীন আন্দোলনকে প্রতিহত করতে পুলিশ কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের স্বিদ্ধান্ত নেয়। সকাল ৯টা থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে জড়ো হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে পুরাতন কলাভবনের আমতলায় ঐতিহাসিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মীরা মিলে পুলিশের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিল করে। মিছিলটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কাছাকাছি এলে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অযুহাতে পুলিশ মিছিলে গুলি বর্ষণ করে। রফিক, জব্বর, সালাম, বরকত, অহিউল্লাহ নামের এক কিশোর সহ আরও অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে । শহীদের পবিত্র রক্তে রঞ্জিত হয়ে ওঠে রাজপথ। মূলত: সেখান থেকেই যাত্রা শুরু। ২১ ফেব্রুয়ারির এই মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়, বিক্ষোভ আর মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠে সারা দেশ। বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কর্মস্থল ত্যাগ করে ছাত্রদের মিছিলে যোগ দেন। শহীদদের জানাজা শেষে বেলা ১১টার দিকে ৩০ হাজার লোকের একটি বিশাল কার্জন হলের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে পুলিশ একপর্যায়ে তাদের উপর গুলি বর্ষণ করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা তাদের ছাত্র হোস্টেলের বার নম্বর শেডের পূর্ব প্রান্তে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করে। ১০ ফুট উচু আর ৬ ফুট চওড়া শহীদ মিনারটির নকশা অংকন করেছিলেন বদিউল আলম।

২৪ তারিখ ভোরের মধ্যেই শহীদমিনার তৈরীর কাজ শেষ হলে শহীদ শফিউরের পিতা অনানুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রথম শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে। পরের বছর ছাত্ররা শান্তিপূর্ণভাবে ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের উদ্দেশ্যে প্রশাসনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। অবশেষে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেবার পর ১৯৫৭ সালে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়। ১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ বরকতের মা উক্ত মিনারটি উদ্বোধন করেন। শোকের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তানের জনমানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের সৃষ্টি করে। অপ্রতিরোধ্য গণতোপের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার একসময় নতি স্বীকারে বাধ্য হয়।

ভাষায় মানুষের শ্রেষ্টত্ব, ভাষায় মানুষের পূর্ণতা। ভাষাহীন মানুষ নির্জীব। একুশের প্রভাত ফেরিতে খালি পায়ে হেটে আসা আপামর জনতার ঢল ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করে। লাখো মানুষের কণ্ঠে কণ্ঠে আজও তাই দীপ্ত সেই গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি!” বাঙালির মায়ের ভাষাকে অকার্যকর করে পশ্চিম পাকিস্তানের বর্বর সামরিক শাষক কর্তৃক বাঙালির উন্নয়নের পথকে অবরুদ্ধ করে দেয়ার হীন কূটকৌশল পূর্ণ হয়নি । উপরন্তু সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে গিয়ে পূর্বপাকিস্তানের ভূখন্ডকেই চিরতরে হারাতে হয়েছে এবং ৫০ বছর না পেরোতেই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বের গ্রহণ করা হয় যা বাংলা, বাঙ্গালি ও বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার স্থলে সমাসিন করেছে। এমন একটি গৌরবোজ্জ্বল মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে বাংলা ভাষার উপর আমাদের আরও যত্মশীল হতে হবে। বাংলা ভাষার প্রাঞ্জলতা ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বময় আমাদের সৌহার্দে মাধুর্যে।

লেখকঃ সাহিত্যিক ও কলামিস্ট

 

 

আরও পড়ুন