তাৌহিদ নোমান
আমাদের বাংলাদেশে আসল দিকনির্দেশনা ছাড়াও ভুয়া সিন্ডিকেট দালালরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার ইনভাইটেশন লেটারসহ ভ্রমন ভিসা, সুপার ভিসা, শিক্ষার্থী পারমিট, কর্মভিসা কাউন্সেলিংসহ প্রসেস করতে দেড় থেকে ২ লাখ ও অভিবাসন ভিসা প্রসেসিং ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতায় কারন দেশী মানুষগুলোর ইংরেজী জ্ঞান দুর্বল ও সততার অভাব।
শুধু টাকা হলেই দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা আনা যায় না ।
দেশ স্বাধীনতার বিগত ৫০ বছরে ও পাকিস্তান পিরিয়ড এর ২৪ বছর শিক্ষা লাভে ১৯৫২তে লন্ডন আসা বাবার পর ১৯৮১তে পড়তে এসে আমার চোখে দেখা: বাস্তবে শিক্ষার্থী পারমিট নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের মাত্র শতকরা ৫০% পড়াশোনা শেষ করেছে বাকীরা ড্রপআউট হয়ে সারভাইভাল চাকুরী: হোটেল, রেসটুরেন্ট, গ্রোসারী, কারখানা, উবার, ডেলিভারী, সিকিউরিটি গার্ড ইত্যাদি করে আর বের হতে পারেনি তবে পরবর্তী প্রজন্মকে কষ্ট করে মানুষ করছে। নিজে প্রসেস না করে দালাল ধরে এসে শিক্ষান্গনের শিক্ষা শেষ না করে শরণার্থী ভিসার দরখাস্ত করে কাজে যোগদান করে অনেকের পড়াশোনা আর হয়না।
কানাডিয়ান সরকার অভিবাসীদের ইংরেজী জ্ঞান, সেটেলমেন্ট, আঞ্চলিক পেশাদার লাইসেন্স, ট্রেনিং ও চাকুরির জন্য বছরে ৩০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করে।আবার প্রবাসে আসার পর দেখা যায় এদের বিভিন্ন সমস্যা যেমন: ইংরেজী ভাষা, সেটেলমেন্ট, শিক্ষা, চাকুরী ও সাস্থ্য সেবা দিতে অফিস ভাড়া, ইউটিলিটি ও পেশাদার সমাজকর্মীদের সেবা দিতে আঞ্চলিক মূলধারার পাশাপাশি অনেক অফিসভিত্তিক এথনিক এনজিওগুলোর বছরে গড়ে ১০০ হাজার ডলার বা ৭০ লাখ টাকা খরচ হয়।এই এনজিওগুলোর অনেকেই সরকারী ও বেসরকারী অনুদান পায় আবার ৫৪০ হাজার কানাডিয়ান সেচছাকর্ম করে সরকার ও মক্কেলদের বছরে ৭ বিলিয়ন ডলার খরচ বাঁচায়।
আলহামদুলিল্লাহ আমরা নিজেদের অনুদানে সেচ্ছাকর্মী সেবা করে প্রতি বছর সরকার অনুদান ও মক্কেলদের ফ্রি সেবা দিতে গিয়ে এক লাখ ডলার বা মানে গত ২০ বছরে ২০ লাখ ডলার অনুদান খরচ বাঁচিয়েছি নিজেদের বাৎসরিক ২০০০ ঘন্টা, জান ও মাল দিয়ে, আলহামদুলিলাহ।
তাই শিক্ষার্থীদের বলি দয়া করে
দুনিয়ার সম্পদের বেশী লোভ না করি,
ইবলিসের ধোঁকার উপকরণ সম্পদ
মারার পাঁয়তারা এবং কোন প্রতিষ্ঠান এর ক্ষতি বা হিংসা না করে “কথা ও কাজে মিল রাখি” ও নিজের ও পরিবারের হালাল উপার্জনে পড়াশোনাসহ মানুষ হয়ে দেশ ও বিশ্ব গড়ি।
হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রজ্ঞা দিন,আমীন।
লেখক পাকিস্তান আমলে লন্ডন আসা বাবার পর বাংলাদেশ আমলে ২য় প্রজন্ম কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশী শিক্ষার্থী থেকে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সনদপ্রাপ্ত শিক্ষক ও অধ্যক্ষ ও ২৭ বছরের অভিজ্ঞ টরন্টো বোর্ডের শিক্ষক বর্তমানে
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ও বাংলাদেশী শত থেকে হাজার শিক্ষার্থীদের এডমিশন ও গাইডেনস কাউনসেলর এবং
টরন্টো শিক্ষা বোর্ডের অভিভাবক সংস্থার নির্বাহী সদস্য আলহামদুলিল্লাহ।

