আবু জাফর রাজু
ভারতে অনার্স আমাদের দেশের মতো ৪ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। তবে সিস্টেমটা একটু অন্যভাবে। ৪ বছর ধরেই যে অনার্স পড়তে হবে সেটার বাধ্যবাধকতা থাকছে না। অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর কেউ যদি ১ বছর পড়াশোনা করে চলে যায় তাহলে সে পাবে বৃত্তিমূলক সার্টিফিকেট। ২ বছর পড়াশোনার পর চলে গেলে পাবে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট। আর ৪ বছর শেষ করতে পারলে তো অনার্স ডিগ্রী’টাই পাবে। আবার মাঝপথ (১/২/৩ বছর) থেকে কেউ যদি পড়াশোনা বাদ দেয় এবং পরবর্তীতে যদি সে অাবার পড়াশোনায় ফিরতে চায় তাহলে সে শেষ যে পর্যন্ত পড়েছে তার পর থেকেই শুরু করতে পারবে। নতুন করে আর ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হওয়া লাগবে না, সো ইয়ার লসও হবে না। সুতরাং যেকোনো সমস্যায় (পারিবারিক/অন্যান্য) পড়লে সেটা কাটিয়ে উঠার জন্য ব্রেক নিয়ে সমস্যা মিটিয়ে অাবার পড়াশোনায় নির্বিঘ্নে ফেরা যাবে।
মাস্টার্সের পরে এম ফিল না করেও পি এইচ ডি করা যাবে। যেটা গবেষকদের সময় বাঁচিয়ে গবেষণা কার্যকে আরো তরান্বিত করবে।
প্রতি বছরের বদলে এবার থেকে তৃতীয়,পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে শুধু বার্ষিক পরীক্ষা দিতে হবে। বাকি শ্রেনিতে পাসের ক্ষেত্রে আভ্যন্তরীণ দক্ষতা ও বুদ্ধির বিকাশ নির্ভর হবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে কেউ চাইলে কম্পিউটার কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। যেটার মাধ্যমে দেশ আইসিটি সেক্টরে অটো এগিয়ে যাবে।
কোথাও আর সাইন্স/কমার্স/আটর্সের পার্থক্য থাকছে না, এই সিস্টেমটা পুরা উঠেই যাচ্ছে। কেউ চাইলে রসায়নের সাথে মিউজিক নিয়েও পড়তে পারবে আবার ফ্যাসন ডিজাইন নিয়েও পড়তে পারবে। মেইন কোর্স+সাইড কোর্স আকারে। ৯ম-১২ তম পর্যন্ত সেমিস্টার সিষ্টেমে পড়ানো হবে।
দীর্ঘ ৩৪ বছরের সিস্টেম পাল্টে দেওয়া হচ্ছে ভারতে অনেকটা আমেরিকার বর্তমান আঙ্গিকে। আমরাও কী পারি না মান্ধাতার আমলের সিস্টেমকে একটু বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সংস্কার করতে? সংশ্লিষ্টদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক…
লেখকঃ কলামিস্ট ও পিএইচডি গবেষক