Ads

ব্যভিচারের বিস্তৃতি বিয়ের প্রয়োজন বিলোপ করছে কি?

।। শামস জামান ।।

যিনা বা ব্যভিচার বলতে বুঝায় বিবাহ বন্ধন ছাড়া অবৈধ পন্থায় যৌন তৃপ্তি লাভ করা। ইসলামী শরীয়াতে অবৈধ পন্থায় যৌন সম্ভোগ সম্পূর্ণ হারাম এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ইসলামের মূল লক্ষ্যসমূহের মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হল, মানুষের ইজ্জত-আবরু ও বংশের হেফাজত করা। আল্লাহ তাআলা এ উদ্দেশ্যে নারী পুরুষের মধ্যে উপযুক্ত বয়সে বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছে। কুরআনে বহুস্থানে পুরুষ ও নারীকে আপন আপন লজ্জাস্থানের হিফাযত করতে বলেছে।যিনার মাধ্যমে ইসলামের এ মহান উদ্দেশ্য বিঘ্নিত হয় বিধায় ইসলামে এটি হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং যে সব মানবিক অপরাধের কুরআনে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে এটি তন্মধ্যে গুরুতর ও অন্যতম।

ব্যভিচার একটি মহাপাপ যা অনেকগুলো অপরাধের নায়ক।

মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:“তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটি অশ্লীল কাজ ও অসৎ পন্থা।” (সূরা বনী ইসরাঈল: ৩২)

মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেন: এসো, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের প্রতি যা-কিছু হারাম করেছেন, (তোমাদেরকে) পড়ে শোনাই। তা এই যে, তোমরা তার সঙ্গে কাউকে শরীক করো না, পিতা-মাতার সঙ্গে তোমরা নিজ সন্তানদেরকে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকেও বিষয়ক দেই এবং তাদেরকেও। আর তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন কোনও রকম অশ্লীল কাজের নিকটেও যেয়ো না।(সূরা আল-আনয়াম: ১৫১)

পত্রিকা মিডিয়ায় এখন যিনা ব্যভিচারের মহোৎসব দেখছি। মুসলমান ছেলেমেয়ে চুটিয়ে প্রেম করবে, গোপনে বিয়ে করবে, এরপর লুকিয়ে বিচ্ছেদেরও সিদ্ধান্ত নেবে—কিন্তু কেউ জানতে পারবে না, সংবাদমাধ্যমে লেখা তো দূরের কথা, এমন মানসিকতা বাংলাদেশে এ সময়ের সবচেয়ে গরম টপিক। চলচিত্র,টেলিভিশন আর গানের জগতের মানুষেরা এ ক্ষেত্রে যেন কে কার আগে উদাহরন তৈরী করবে সে প্রতিয়োগিতায় । বরাবরই এরা প্রেম-বিয়ের খবর গোপন রাখার চেষ্টা করেন। কেউ তো আবার বিয়ে-শাদি করে দিব্যি সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন, সন্তানও উৎপাদন করেন,একজনের নয় একাধিকের।এত কিছুর পরও বুলি আওড়ান—এখনো তাঁরা বিয়েই করেননি। পছন্দসই পাত্র-পাত্রী পেলে তবেই বিয়ের কাজটি সেরে নেবেন। আর প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের একটা কমন কথা হচ্ছে, ‘উই আর জাস্ট ফ্রেন্ড।’ আবার অনেকে আরও বলেন, প্রেম বিয়ে? ওটা কী! ছি ছি! কাজ করেই শেষ করতে পারছি না, প্রেম-বিয়ে করার সময় কেথায়!

প্রশ্ন উঠেছে, কেন ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিয়ের প্রতি আগ্রহ কমছে এবং বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই কেন তালাক হয়ে যাচ্ছে?

বাংলাদেশের মতো সমাজে বিয়ে মানে শুধু স্বামী-স্ত্রী নয়, বিয়ে মানে একটি পরিবার, একটি বন্ধন। সেই পরিবারে আরও অনেকে থাকতে পারেন। সেই অনেকের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়, নানাজনের নানা মত বুঝে চলতে হয়। অথচ বিয়ের পর প্রায় সব ছেলে-মেয়েই চায় নিজের মতো থাকতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের মতো সমাজ ব্যবস্থায় তা হয়ে ওঠে না। তখনই তৈরি হতে থাকে ভুল বোঝাবুঝি এবং ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে।বিয়ে পরবর্তী দায়িত্ব, নিয়ম-কানুন, কিছু সমঝোতা ও শেয়ারিংকে এখন অনেক ছেলে-মেয়েই ঝামেলা মনে করে। তারা এতটাই ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হয়ে উঠেছে যে বিবাহিত জীবনের ছাড় দেওয়া তাদের কাছে অপছন্দের।

পাশ্চাত্ম ধ্যান ধারনায় বিশ্বাসী অনেক তরুণ-তরুণীই মনে করেন, জীবন চালানোর জন্য যখন স্বাধীনতা, অর্থ, সাহস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে, তখন আর শুধু শুধু কেন দায়িত্বের মধ্যে জড়ানো? শুধু শারীরিক ও মানসিক সমর্থনের জন্য সংসার পাতার কোনো মানে হয় না। জীবনসঙ্গীর মতামত নিয়ে জীবন চালানোর ব্যাপারটা ক্রমশ চাপ মনে করছেন আধুনিক তরুণ-তরুণীরা এবং তারা নিজের জগত নিয়েই সুখে থাকতে চাইছেন। সম্পর্কের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে অনেকেই খোলা মনে বেঁচে থাকাটাই ভালো মনে করছেন, যদিও তা খুব কঠিন পথ।

সামাজিক অবক্ষয়ের নতুন নাম পরকীয়া। অবাধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহজ যোগাযোগে তথাকথিত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের সম্পর্কে যোগ হয় লুকোচুরি করে শারীরিক সম্পর্ক। অতঃপর সাজানো গোছানো সংসার সম্পর্ক ভেঙে শুরু হয় নতুন স্বপ্নের জগতে যাত্রা। যে যাত্রায় ধ্বংস হয় পরিবার ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, প্রভাব পড়ে সন্তানদের ভবিষ্যৎ ভিত্তির ওপর। সূত্র জানায়, শুধু পরকীয়ার কারণে রাজধানীতে প্রতি বছর প্রায় শতাধিক নারীর মৃত্যু হয়। গৃহবধূ ছাড়াও স্বামী এবং স্বজনরাও এ হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে থাকে এ ধরনের পরকীয়ার বলিতে। এমনকি গ্রামের সাধারণ পরিবার থেকে শুরু করে শহুরে সমাজের বিত্তবান অনেক পরিবারে পরকীয়ার থাবা পড়েছে।

লেখকের আরও লেখা পড়ুন- কর্মক্ষেত্রে নারীর পদচারণা : ইসলামী মূলনীতি ও সতর্কতা

স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে পরকীয়া নামক ব্যাধি ভেঙে দেয়। সংসার ভাঙার পাশাপাশি এর কারণে অনেক হত্যাকান্ডের ঘটনাও শোনা যায়। ঘটনায় প্রকাশ, কেউ পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে হত্যা করছে স্ত্রীকে আবার কোনো ক্ষেত্রে স্ত্রী তার প্রেমিক বা ভাড়াটে লোক দিয়ে খুন করাচ্ছে তার স্বামীকে। এমন স্বামীও রয়েছে, যে পরকীয়ার কারণে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনে খুন করেছে তাদেরই আরেক সন্তানকে।এমন অরুচিকর বহু ঘটনার খবর শুনি নিত্য। সামাজিক এমন অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে সহজে যেটা সামনে আসে তা হলো, লোভ- মোহ। অপরটি হলো, আমাদের ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক শিক্ষার অভাব। যাতে থাকে বিধিনিষেধ। পারিবারিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুশাসনের দিকে নজর না দেয়াই এমন কারণ বলে মনে করা হয়।

সন্দেহ নেই,যিনা ব্যভিচারের বিস্তৃতি দু’ধরনের ক্ষত সৃষ্টি করছে।প্রথমতঃ সমাজে বৈধ ও হালাল বিবাহের প্রয়োজনীয়তাকে নাকচ করে দিচ্ছে। সহজলভ্য যৌন আচরনে যুবক যুবতী অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে এবং লজ্জাষ্কর বিবাহপূর্ব যৌনতার আস্বাদ তাদেরকে মাতাল বানিয়ে দিচ্ছে।দ্বিতীয়তঃ কেই বিয়ে করলেও সামান্য সময় পরেই পরষ্পর পরকীয়া আসক্তির অভিযোগ উঠে এবং উভয়েই অনিবার্য বিচ্ছিন্নতার পথে হাঁটতে শুরু করে। আমি বহু ভেবে বের করেছি যে বিয়ের মত পবিত্র ও হালাল জীবন কখনোই এরা পসন্দ করেনি,বিয়ের পরেও না। যিনা ব্যভিচারের আকর্ষন এদেরকে অন্ধ ও বোবা বানিয়ে দিয়েছে এবং এতটা বেপরোয়া ও বিদ্রোহী যে এর কোন নিষেধাজ্ঞা ও শাস্তিকেই এরা এখন পরোয়া করেনা।

যিনাকারীর ধরণ ও শ্রেণীভেদে ইসলামী শরীয়াত বিভিন্ন শাস্তি নির্ধারণ করে। একটু দেখি-

১) যিনাকারী যদি অবিবাহিত হয় এবং বিবাহ না করে অবৈধ সংগমে রত হয় তবে তাকে একশত বেত্রাঘাত করতে হবে। একদল মুমিন তাদের এ শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে বিধায় তারা মানব সমাজে চরম অপমানিত হবে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: “ব্যভিচারী নারী ও পুরুষ উভয়কে তোমরা একশত বেত্রাঘাত করবে; আর আল্লাহর বিধান কার্যকর করার ক্ষেত্রে তোমাদের অন্তরে যেন তাদের প্রতি দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর মুমিনদের একটি দল অবশ্যই তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।” (সূরা আন্ নূর: ২)

২)যিনাকারী যদি বিবাহিত হয় তবে তাকে জঘণ্য ও কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। তাকে প্রস্তারাঘাতে (রজম করে) হত্যা করা হবে। যাতে সে নিজ কৃতকর্মের প্রতিফল ভোগ করে এবং তার শরীরের প্রতিটি অংগ ঐরূপ কষ্ট অনুভব করে যেরূপ হারাম কাজে সে আনন্দ অনুভব করেছিল।

এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসূলের বাণী রয়েছে; তিনি বলেন: আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে ছিলেন এমতাবস্থায় একজন লোক এসে তাকে বলল, হে আল্লাহর রাসূল আমি যিনা করেছি। এটা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মুখ ফিরিয়ে নিলেন। লোকটি এভাবে চারবার বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে বললেন, তুমি কি পাগল? লোকটি বলল,না। তিনি আবার বললেন: তুমি কি বিয়ে করেছ? তিনি বললেনঃ হ্যা। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,একে নিয়ে যাও, পাথর নিক্ষেপ করে একে মৃত্যু দন্ড দাও। -(ফিকহুসসুন্নাহ ২য় খণ্ড ৩৪৬ পৃষ্ঠা, বুখারী: ৬৮১৫, মুসলিম: ১৬৯১)

তবে এ দুই ধরণের শাস্তি ইসলামী সরকারের বিচারকদের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।

যিনাকারীর পরকালীন শাস্তি বিষয়ে হাদীস শরীফে এসেছে; “যিনারাকীরা উলংগ অবস্থায় এমন এক চুলার মধ্যে থাকবে যার অগ্রভাগ হবে অত্যন্ত সংকীর্ণ আর নিম্নভাগ হবে প্রশস্ত উহার তলদেশে অগ্নি প্রজ্বলিত থাকবে তাদেরকে তাতে দগ্ধ করা হবে। তারা মাঝে মধ্যে সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় পৌছে যাবে; অত:পর আগুন যখন স্তমিত হয়ে যাবে তখন তাতে তারা আবার ফিরে যাবে। আর তাদের সাথে এই আচারণ কেয়ামত পর্যন্ত করা হবে।” (বুখারী)

যৌন সম্ভোগের এ নিকৃষ্ট পন্থা আল্লাহর নবী লুত আলাইহিস্ সালামের কওম উদ্ভাবন করে। আল্লাহ বলেন: “লুত তার সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা এমন অশ্লীল কাজ করছ যা তোমাদের পূর্বে পৃথিবীর কেউ করিনি, তোমরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের কাছে যেয়ে যৌন বাসনা পুরণ কর; তোমরা রাহাজানী কর এবং নিজেদের মজলিসে গর্হিত কর্ম কর? জওয়াবে তার সম্প্রদায় কেবল এ কথাই বলল, তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহর আযাব আন।” (সূরা আল-আনকাবুত: ২৯)

তাদের এ নিকৃষ্ট ও জঘণ্য কাজের কারণে মহান আল্লাহ তাদেরকে চার প্রকার আযাব অবতীর্ণের মাধ্যমে ধ্বংস করেদেন; সে চার প্রকার আযাব ছিল-

১। তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দেন,

২। তাদের জনপদ উচু-নিচু করেদেন,

৩। তাদের উপর স্তরে স্তরে পাথর নিক্ষেপ করেন এবং

৪। তাদের উপর বিকট শব্দ প্রেরণ করেন।

চলমান বিশ্বে ব্যভিচার ও অশ্লীলতার সমস্ত পথ উন্মুক্ত হয়ে আছে। বস্তুবাদী মানুষ যারা মনে করে এই দুনিয়াই শেষ, যতটুকু পার এখানেই আনন্দ উপভোগ করে যাও,তারা মানুষকে বিপদগামী করার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল উদ্ভাবন, নারী স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনার প্রচলনের মাধ্যমে মানব সমাজকে বিশেষত: যুবক শ্রেণীকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নিত্যনতুন পথ ও পদ্ধতির উদ্ভাবন করছে। অশ্লীল সিনেমা, নোংরা পত্র-পত্রিকা, পর্ণ ভিডিও, টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইড এসবের কারণে মানুষ যিনার প্রতি বেশী ঝুঁকে পড়ছে। ইসলাম কোন বিষয় হারাম করলে উক্ত হারাম বিষয়ের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী আনুষঙ্গিক বিষয়ও হারাম করে। অতএব আল্লাহর হারামকৃত যিনার প্রতি উদ্বুদ্ধকারী সব কিছুই হারাম। যদি কেউ যিনা ও উচ্ছৃঙ্খল যৌন আচরণে উদ্বুদ্ধকারী বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয় তবে ইসলামী বিধান মতে সে অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধী বিবেচিত হবে।

যারা অবৈধ যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থেকে নিজেদের লজ্জাস্থানকে অবৈধ ব্যবহার থেকে হেফাজত করে তাদের জন্য পরকালে জান্নাতের গ্যারান্টি রয়েছে। মহান আল্লাহ সফলকাম মুমিনদের পরিচয় প্রদান করতে যেয়ে বলেন: “আর তারা নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহকে সংযত রাখে, তাদের স্ত্রী ও তারা যাদের মালিক হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ছাড়া এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। সুতরাং কেউ এ ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা হবে সীমা লংঘণকারী। এবং যারা আমানত ও প্রতিশ্র“তি রক্ষাকারী; আর যারা নিজেদের নামাযে যতœবান থাকে। তারাই হবে উত্তরাধিকারী; উত্তরাধিকারী হবে ফেরদাউসের, যাতে তারা স্থায়ী হবে।” (সূরা আল-মুমিন: ৫-১১)

সাহাল বিন সায়াদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহবার) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চায়তা দিব।” (বুখারী ৬৪৭৪)

মহান আল্লাহ আমাদের যুবক ভাই ও যুবতী বোনদেরসহ সকল বয়সের নারী ও পুরুষকে এই হীন কাজ থেকে হেফাযত করুন। আমীন।

লেখকঃ লেখক ও প্রাক্তন এ এম ডি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড

আরও পড়ুন