Ads

চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবিস্মরণীয় অবদান

।। আলী ওসমান শেফায়েত ।।

মানব ইতিহাসের পাতায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মুসলমানদের অবদান এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মতো দেদীপ্যমান। বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁদের উদ্ভাবনী প্রজ্ঞা, গভীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং জ্ঞান আহরণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা মানব সমাজকে এক নতুন দিগন্তে উন্মোচিত করেছে। সেই অন্ধকার যুগে, যখন ইউরোপে জ্ঞানচর্চার প্রদীপ প্রায় নিভু নিভু, তখন মুসলিম বিজ্ঞানীরা গ্রিক, রোমান এবং ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির জ্ঞানকে সযত্নে ধারণ করে নিজস্ব গবেষণা ও পরীক্ষণের মাধ্যমে একে সমৃদ্ধ করেছিলেন। তাঁদের সেই অমূল্য অবদান শুধু সেই সময়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে আজও তা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।

ইসলামের সোনালী যুগে মুসলিম চিকিৎসাবিদরা কেবল প্রাচীন জ্ঞানের অনুবাদেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং, তাঁরা নিজস্ব প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন নতুন জ্ঞান ও পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছিলেন। রোগ নির্ণয়, ঔষধ প্রস্তুত প্রণালী এবং অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে তাঁরা এনেছিলেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তাঁদের রচিত জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবশ্যপাঠ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে কয়েকজন কিংবদন্তী মুসলিম চিকিৎসাবিদের অবদান বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে যাকারিয়া আল-রাজি (৮৬৫-৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি প্রাচ্যের গ্যালেন নামে সুপরিচিত। আল-রাজি কেবল একজন স্বনামধন্য চিকিৎসকই ছিলেন না, বরং একাধারে ছিলেন প্রখ্যাত দার্শনিক ও রসায়নবিদ। তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী যিনি গুটিবসন্ত (Smallpox) ও হামের (Measles) মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য নির্ণয় করেন এবং এই বিষয়ে মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর সুবিখ্যাত গ্রন্থ “কিতাব আল-মানসুরি ফি আল-তিব্ব” দশটি বিশাল খণ্ডে বিভক্ত, যা দীর্ঘকাল ধরে চিকিৎসাশাস্ত্রের এক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ছিল। আল-রাজি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, গভীর পর্যবেক্ষণ এবং বাস্তব ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তিনি অত্যন্ত মনোযোগের সাথে রোগীদের বিস্তারিত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করতেন এবং রোগের লক্ষণগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে আরও এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন আবু আলি আল-হুসাইন ইবনে সিনা (৯৮০-১০৩৭ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি পাশ্চাত্যে আভিসেনা নামে খ্যাত। যাকে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। ইবনে সিনার কালজয়ী রচনা “আল-কানুন ফি আল-তিব্ব” (The Canon of Medicine) চিকিৎসা শাস্ত্রের এক বিশাল জ্ঞানকোষ। পাঁচটি সুবিশাল খণ্ডে সমাপ্ত এই গ্রন্থটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভাগের মূল পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পড়ানো হয়েছে। এই গ্রন্থে রোগের কারণ, লক্ষণ, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ঔষধের বিস্তারিত বিবরণ অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সন্নিবেশিত রয়েছে। ইবনে সিনা কেবল রোগের তাত্ত্বিক আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং রোগের ব্যবহারিক দিক এবং ঔষধ প্রয়োগের সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলীও বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর এই অনবদ্য অবদান চিকিৎসা বিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত কাঠামোর মধ্যে স্থাপন করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই গ্রন্থে ৭৬০টিরও বেশি ঔষধের নাম তালিকাভুক্ত ছিল, যা তৎকালীন চিকিৎসা জ্ঞানের এক বিশাল ভাণ্ডার। ইবনে সিনাকে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও অনেক ঐতিহাসিক বিবেচনা করেন।

আরও পড়ুন-

জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবিস্মরণীয় অবদান

অন্যদিকে, শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদানও অনস্বীকার্য। আবু আল-কাসিম খালাফ ইবন আব্বাস আল-জাহরাবি (৯৩৬-১০১৩ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি আলবুকেসিস নামেও পরিচিত, ছিলেন একজন প্রখ্যাত শল্যবিদ। তাঁর রচিত “কিতাব আল-তাসরিফ লি-মান আজাজা আন আল-তালিফ” গ্রন্থে শল্য চিকিৎসার বিভিন্ন অত্যাধুনিক দিক, জটিল অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি এবং দুই শতাধিক সার্জারির যন্ত্রপাতির নমুনা ও এর বিস্তারিত চিত্র ও ব্যবহারিক প্রয়োগ অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আল-জাহরাভিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি অস্ত্রোপচারের সময় রেশমের সুতা ব্যবহারের প্রবর্তন করেন। এছাড়াও, তিনি দাঁত তোলা, মূত্রাশয়ের পাথর অপসারণ এবং চোখের ছানি অপারেশনের মতো জটিল শল্যচিকিৎসা পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। তাঁর উদ্ভাবিত বহু অস্ত্রোপচার সরঞ্জাম পরবর্তীতে ইউরোপীয় শল্যবিদরা তাঁদের অস্ত্রোপচারে ব্যবহার করেছেন। স্পেনের এই শ্রেষ্ঠ শল্য চিকিৎসকের অবদান শল্য চিকিৎসার ইতিহাসে এক মাইলফলক।

শুধু এই তিনজনই নন, মুসলিম বিশ্বে আরও অসংখ্য জ্ঞানী চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। আলী ইবন ঈসা আল-কাহহাল চোখের রোগের (ophthalmology) উপর একটি বিস্তারিত ও মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। ইবন আল-নাফিস রক্ত সংবহন তন্ত্রের ক্ষুদ্র সংস্করণ (pulmonary circulation) আবিষ্কার করেন, যা উইলিয়াম হার্ভের অনেক আগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। ঔষধ তৈরির ক্ষেত্রেও মুসলিম বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন ভেষজ উপাদান থেকে ঔষধ প্রস্তুত করতেন এবং ঔষধের গুণাগুণ ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করতেন।

মুসলমানদের চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল তাঁদের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালগুলো। নবম শতাব্দীতে বাগদাদে প্রথম আধুনিক হাসপাতাল স্থাপিত হয়, যা বিমারিস্তান নামে পরিচিত ছিল। এই হাসপাতালগুলো কেবল রোগীদের চিকিৎসার স্থান ছিল না, বরং এখানে চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণাও সমান তালে পরিচালিত হতো। প্রতিটি বিমারিস্তানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য আলাদা বিভাগ ছিল এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে রোগীদের তত্ত্বাবধান করতেন। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানোর জন্য নিয়মিত ক্লিনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হতো। এই হাসপাতালগুলো তৎকালীন বিশ্বে উন্নত চিকিৎসা সেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। বাগদাদ, কায়রো, দামেস্কের হাসপাতালগুলো ছিল তৎকালীন বিশ্বের চিকিৎসা সেবার আদর্শ উদাহরণ। এসব হাসপাতালে রোগের ধরন অনুযায়ী আলাদা বিভাগ ছিল এবং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থাও ছিল। দরিদ্র রোগীদের প্রতি মুসলিম চিকিৎসকদের উদারতা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

মুসলিম বিজ্ঞানীরা কেবল নতুন জ্ঞানের সৃষ্টিতেই নিজেদের নিয়োজিত রাখেননি, বরং তাঁরা পূর্ববর্তী গ্রিক ও রোমান চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মূল্যবান গ্রন্থগুলো আরবি ভাষায় অনুবাদ করে জ্ঞানচর্চার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন। হিপোক্রেটিস (Hippocrates) ও গ্যালেনের (Galen) সুবিখ্যাত রচনাবলী আরবিতে অনূদিত হওয়ার ফলে মুসলিম চিকিৎসাবিদরা তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবগত হতে পেরেছিলেন এবং এর উপর ভিত্তি করে নিজস্ব গবেষণা পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই অনুবাদ কর্ম জ্ঞান বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে পারস্য ও গ্রিক চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয়ে মুসলিম চিকিৎসাশাস্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। সাহাবী হারিস ইবনে কালদা (রা.) এবং উমাইয়া যুগে গ্রিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসা শাস্ত্র মুসলিম সমাজে বিস্তার লাভ করে। কুরআন ও হাদিসের অনুপ্রেরণা মুসলিম মনীষীদের চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করে। আব্বাসীয় যুগে এই চর্চা আরও বেগবান হয়, যেখানে অনুবাদের মাধ্যমে প্রাচীন জ্ঞানকে ধারণ করা হয় এবং মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। খলিফা আল মামুন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘বায়তুল হিকমা’ ছিল এই জ্ঞানচর্চার মূল কেন্দ্রবিন্দু।

আরও পড়ুন-

ভারতীয় বাঙালি মুসলমানদের পরিচয় সংকট ও ইসলামের আলোকিত পথ

পরবর্তীতে এই আরবি ভাষায় অনূদিত চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থগুলো ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয় এবং ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শাস্ত্রের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অর্জিত জ্ঞান ও অমূল্য অবদান পাশ্চাত্যের চিকিৎসা বিজ্ঞানকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করে এবং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-ও চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান ও মূল্যবান দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যা মুসলিম বিজ্ঞানীদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করেছে। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে, যা তাঁদের গবেষণাকে আরও উৎসাহিত করেছে। রাসূল (সা.) রোগ নিরাময়ের বিভিন্ন কার্যকরী পদ্ধতি ও ঔষধের ব্যবহার সম্পর্কে মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন।

দুঃখজনকভাবে, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতকে মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার কারণে বিজ্ঞান চর্চার সেই সোনালী ধারা কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসে। অনেক মূল্যবান গ্রন্থ ও অমূল্য আবিষ্কার কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। তবে তাঁদের রেখে যাওয়া জ্ঞান ও আবিষ্কার আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত্তি হয়ে আজও বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে।

আল-রাজি, ইবনে সিনা, আল-জাহরাবীর মতো মহান মনীষীদের অমর অবদান চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে চিরকাল অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁদের দেখানো পথ ধরেই আজকের বিশ্ব আরও উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের এই অবিস্মরণীয় অবদান মানবজাতির ইতিহাসে এক অমূল্য সম্পদ এবং এক উজ্জ্বল অধ্যায়। আমাদের সকলের উচিত চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে তাঁদের এই অসামান্য অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং তাঁদের দেখানো জ্ঞান চর্চার পথকে অনুসরণ করা।

লেখকঃ লেখক ও কলামিস্ট

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল, আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ গল্প ও কবিতা পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেইজ মহীয়সী/Mohioshi-তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হ্যাঁ, মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইল-

[email protected] ও [email protected] -এ; মনে রাখবেন, “ধন দৌলত খরচ করলে কমে যায়, কিন্তু জ্ঞান বিতরণ করলে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়”। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকেই দ্বীনি জ্ঞান দান করেন।” (সহিহ বুখারী- ৭১, ৩১১৬, ৩৬৪১, ৭৩১২, ৭৪৬০; মুসলিম- ১০৩৭; ইবনে মাজাহ- ২২১) ।

মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম; আজই আপনি যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে।  আসুন, ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি। আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমীন।

আরও পড়ুন