।। মহীয়সী।।
দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আল্-আকসা তুফান অভিযানের এক বছর পূর্ণ হয়েছে ৭ অক্টোবর। দখলকৃত অঞ্চলের মুক্তির জন্য হামাসের দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে সেই অভিযান। হামাস পরিচালিত নজিরবিহীন সামরিক অভিযানের পর আমেরিকার দেওয়া অস্ত্র দিয়ে একের পর এক গণহত্যা চালিয়েছে তেল আবিবের দখলদার ও ঔপনিবেশিক সরকার। গাজায় ইসরাইল-আমেরিকার যুদ্ধ ও গণহত্যায় এখনও পর্যন্ত ৪২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে— যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই যুদ্ধে ২০ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তবে এই গণহত্যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয়নি। কয়েক দশক আগে থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানো শুরু হয়েছে এবং আল-আকসা তুফান অভিযান হল সেই দীর্ঘ নির্যাতন ও অত্যাচারের একটি বৈধ জবাব। ইতিহাসবিদরা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা ইতিহাসে নিহিত রয়েছে। তাদের জমি দখল, তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করা, তাদের অধিকার অস্বীকার করা এবং তাদের ওপর ব্যাপক জাতিগত নিধন চালিয়ে এসেছে ইসরাইল।
ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারি ও নির্যাতনের মূলে রয়েছে ১৯১৭ সালের বালফোর ঘোষণা। সেই সময় ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী আর্থার বালফোর ব্রিটিশ-যায়নিস্ট সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা ওয়াল্টার রথসচাইল্ডকে একটি চিঠি লেখেন। ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা ছিল সেই চিঠিতে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে চাপ প্রয়োগ করে অবৈধ ভাবে ফিলিস্তিনি অঞ্চল বাজেয়াপ্ত করেছিল ব্রিটিশরা এবং সেই অঞ্চল যায়নবাদী দখলদারদের হাতে তুলে দেওয়ার পর শুরু হয়েছিল আরবদের বিদ্রোহ। ১৯৩৯-এর শেষভাগে ব্রিটেন ও যায়নবাদী দলগুলি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ ধর্মযুদ্ধ শুরু করে। ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের গ্রাম ধ্বংস করে দেওয়া হয় এবং তাদের নিজেদের ভূমি পরিত্যাগে বাধ্য করা হয়।
নাকবা: মহাবিপর্যয়
১৯৪৭ সালে রাষ্ট্রসংঘ ‘রেসোলিউশন ১৮১’ পাস করে। এতে ফিলিস্তিনি ও ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়। এরপর শুরু হয় ‘নাকবা’ বা ‘মহাবিপর্যয়’। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে বদলে যায় মধ্যপ্রাচ্যের মাণচিত্র। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে ইহুদিদের জন্য নতুন এক রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। আর এতে সহায়তা করে ব্রিটেন। নতুন রাষ্ট্রটির নাম রাখা হয় ইসরাইল। ইহুদিদের মতে, নতুন রাষ্ট্র গঠন করে তারা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত ভূমিতে ফিরে এসেছেন। এই ভূমি তাদের। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরদিন থেকেই স্থানীয় আরব অধিবাসীদের ওপর নেমে আসে মহাবিপর্যয়। ইহুদি সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সেনারা ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য হত্যা-লুট-অগ্নিসংযোগ শুরু করে। প্রাণভয়ে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি বাড়িঘর-সম্পত্তি ছেড়ে পালাতে থাকেন। প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ ফিলিস্তিনি জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ায় গিয়ে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নেন। ফিলিস্তিনিদের বহু শহর ও গ্রাম ইসরাইলের লাগানো আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় এবং এতে নিহত হন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ইতিহাস বলছে, হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের ৮০ শতাংশেরও বেশি ভূমি কব্জা করে নেয় যায়নবাদী বাহিনী। ১৯৪৮ সালে ১৫ মে নতুন যায়নবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পায়। জানা গেছে, ১৯৪৮ সালে গ্রীষ্মে যায়নবাদী বাহিনী ফিলিস্তিনের ৫৩০টি গ্রাম-শহরে হামলা চালিয়ে ১৫ হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালায়। হামলার শিকার হওয়া লক্ষ লক্ষ মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বংশধররা আজ ৬টি মহাদেশে বসবাস করছেন যাদের কোনওরকম ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে যায়নবাদী সরকার। ইতিহাসের পাতা উল্টে জানা যায়, সেই ভয়াবহ সময়ে যায়নবাদী সন্ত্রাসীরা ৩৪টি গণহত্যা ও নির্বিচারে সহিংসতা চালিয়েছে ফিলিস্তিনজুড়ে।
দেইর ইয়াসিন গণহত্যা
১৯৪৮ সালের এপ্রিল মাসে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর আরও এক গণহত্যা চালিয়েছিল যানয়বাদী বাহিনী। উদ্দেশ্য ছিল, জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে দখল করা এলাকায় একটি অবৈধ রাষ্ট্র স্থাপন করা। সেই ঘটনায় শতাধিক ফিলিস্তিনি শিশু, নারী ও বৃদ্ধকে তাদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছিল যায়নবাদী উগ্রপন্থী দল ইরগুন ও লেহি যাদের সমর্থক ছিল হাগানাহ। জেরুসালেমের পার্শ্ববর্তী দেইর ইয়াসিন গ্রামে হামলার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল যায়নবাদী তাণ্ডব। যায়নবাদী দলগুলি হ্যান্ড গ্রেনেড ও মেশিন গান নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ঘরে ঘরে ঢুকে এক একটি পরিবারকে হত্যা করে। যারা প্রাণ বাঁচিয়ে পালায় তাদেরও খুঁজে বের করে হত্যা করা হয়। ইসরাইলি হামলা থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি মায়েদের সামনে তাদের সন্তানদের হত্যা, ধর্ষণ ও কখনও কখনও বর্বরতার সব মাত্রা পেরিয়ে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হতো। জেরুসালেমে নিযুক্ত ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ রেড ক্রসের প্রধান প্রতিনিধির তৈরি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দেইর ইয়াসিন গ্রামের বাসিন্দাদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছিল ‘খুনি’ বাহিনী। ইরগুন বাহিনীর অফিসার ইয়েহুদা লাপিদত বলেছিলেন, গণহত্যা চালিয়ে আরবদের মনোবল ধ্বংস করা ও ফিলিস্তিনে আতঙ্ক তৈরি করাই তার উদ্দেশ্য ছিল।
আরও পড়ুন-
আবু-শুশা গণহত্যা
দেইর ইয়াসিন গণহত্যার এক মাস পরেই আবু-শুশা গ্রামে ভয়াবহ গণহত্যার শিকার হন ৭০জন ফিলিস্তিনি। রামলে অঞ্চলের এই গ্রামটি যায়নবাদী সন্ত্রাসী দল গিভাতি ব্রিগেডের একাধিক হামলার শিকার হয়। ফিলিস্তিনিরা বুক চিতিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও অবশষে দখলদাররা সেই গ্রাম কব্জা করে নেয়। এসময় অনেক ফিলিস্তিনিকে বন্দি করে ধর্ষণ করে যায়নবাদী বাহিনীর সদস্যরা। আবু-শুশা গ্রাম ইসরাইলিদের দখলে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর গ্রামের সব বাসিন্দাদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া হয়। একই দিনে রামলের আরব কর্তৃপক্ষ রেড ক্রসের হস্তক্ষেপ দাবি করে জানায়, ইহুদিরা আবু-শুশায় বর্বর কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। ১৯৯৫ সালে একটি গণকবর থেকে ৫২ জন ফিলিস্তিনির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
তান্তুরা গণহত্যা
আবু-শুশা গণহত্যার পরপরই আরও এক ভয়াবহ গণহত্যা রেকর্ড করা হয়েছিল। ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল তান্তুরায় ২০০ ফিলিস্তিনি গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। প্রায় ১,৫০০ জনসংখ্যার জেলেদের শহরে যায়নবাদী আলেক্সান্দ্রনি ব্রিগেড আক্রমণ চালায়। সরঞ্জাম ও প্রস্তুতির অভাবে তান্তুরার বাসিন্দারা কোনও প্রতিরোধ দেখাতে পারেননি। বাধ্য হয়ে দখলদারদের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরও তাদের হত্যা করা হয়েছিল। এই গণহত্যার ঘটনাকে কয়েক দশক ধরে অস্বীকার করে গেছে ইসরাইল সরকার। সম্প্রতি একটি বিচ রিসর্টের তলায় ৩টি গণকবরের খোঁজ মেলে।
লিড্ডা গণহত্যা
১৯৪৮ সালের জুলাইয়ে ইসরাইল চালিত আরেক নৃশংস গণহত্যার সাক্ষী ছিল বিশ্ব। যায়নবাদীরা ফিলিস্তিনের লিড্ডা শহরের সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। শহরবাসী প্রথমত শক্তিশালী প্রতিরোধ করলেও গোলাগুলির অভাবে যানয়বাদীদের কাছে হার মানে। শহরে যায়নবাদী সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে ও যেকাউকে দেখা মাত্র গুলি করে হত্যা করে। শহরের অন্তত ৪০০ মানুষ গণহত্যার শিকার হন। গ্রেট মস্ক ও দাহমাশ মসজিদে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদেরও গুলি করে মারা হয়। প্রাক্তন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেন গুরিয়নের নির্দেশে কিছু ফিলিস্তিনিকে নির্বাসিত করা হয় এবং তারাও রামাল্লায় যাওয়ার পথে তৃষ্ণা, পানিশূন্যতা ও ক্লান্তিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সালিহা এবং আল-দাওয়াইমা গণহত্যা
১৯৪৮ সালের ২৯ অক্টোবর ফিলিস্তিনি টাউন সালিহা ও গ্রাম আল-দাওয়াইমায় যায়নবাদী অপরাধীরা বর্বর গণহত্যা চালায়। ফিলিস্তিনিদের একটি মসজিদ বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দেয় যায়নবাদীরা। মসজিদে আশ্রয় নেওয়া অন্তত ১৫০ মানুষ বিস্ফোরণে নিহত হন। আল-দাওয়াইমা গ্রামের ২০জন সশস্ত্র ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের চেষ্টা করেও পেরে ওঠেননি। ঘটনার পর গ্রামের মসজিদে বহু ফিলিস্তিনির লাশ মেলে— যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন বয়স্ক। এলাকার রাস্তা-ঘাটে পুরুষ, নারী ও শিশুদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আল-দাওয়াইমায় গণনা করে দেখা যায়, মোট ৪৫৫জন ফিলিস্তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন যাদের মধ্যে ২৮০জনই পুরুষ।
আরও পড়ুন-
নাকবা পরবর্তী গণহত্যা
ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা শুধু নাকবা সময়কালের মধ্যে সীমিত ছিল না। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে আরও হাজার হাজার মানুষকে গণহারে খুন করেছে ইহুদি বাহিনী। ১৯৫৩ সালের অক্টোবরের কিবিয়া গণহত্যা, ১৯৫৬ সালের অক্টোবরে কাফর কাসিম গণহত্যা, ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে খান ইউনিস গণহত্যা, ১৯৮২ সালের সেপ্টেম্বরে সাবরা এবং শাতিলা গণহত্যা, ১৯৯০ সালের অক্টোবরে আল্-আকসা গণহত্যা, ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইব্রাহিমি মসজিদ গণহত্যা ও ২০০২ সালের এপ্রিলে জেনন রিফিউজি ক্যাম্প গণহত্যা। এই তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হয়েছে। গণহত্যায় অভিযুক্তরা আজ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হয়নি, বরং তাদের উপহারস্বরূপ রাজনৈতিক পদ দেওয়া হয়েছে। ডেভিড বেন গুরিয়ন, মেনাচেম বেগিন এবং ইতজাক শামির যারা হাগানাহ, ইরগুন এবং লেহি নামক সন্ত্রাসী দলগুলিকে একসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদেরই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে। দেইর ইয়াসিন গণহত্যায় অভিযুক্ত ইয়েহুদা ফেদের নামক ব্যক্তিকে অধিকৃত জেরুসালেমে লিকুদ ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়েছে এবং ২০০১ সালে তাকে ‘জেরুসালেম নোটেবল সিটিজেন’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ইসরাইল। তান্তুরা গণহত্যার খলনায়ক আমিতজুর কোহেনও গণহত্যায় তার ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘১৯৪৮ সালে ঠিক কতজন আরব নাগরিককে হত্যা করেছি তা মনে নেই। আমি কখনই সেই সংখ্যা গণনা করিনি। আমি একজন হত্যাকারী ছিলাম এবং আমি কাউকে বন্দি বানাতাম না। আমার কাছে একটি মেশিন গান ছিল যাতে ২৫০টি বুলেট ছিল।’ এমন ভয়াবহ অপরাধকে প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেওয়ার পরও কোহেনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ইসরাইলি সরকার। গত বছর ইসরাইলের বিনইয়ামিনা সেটেলমেন্টে নিজের বাড়িতে কোহেনের দেহাবসান নয়।
গণহত্যা চলছেই
নাকবা থেকে আজ পর্যন্ত পরিস্থিতির একটুও বদল হয়নি। যায়নবাদীরা গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের ফিলিস্তিনিদের জন্য একই নীতি অব্যাহত রেখেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে একাধিক গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইলি শাসকরা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হসপিটাল গণহত্যা, দ্য গ্রিক চার্চ গণহত্যা, জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্প গণহত্যা, শাদিয়া আবু গাজালা ßুñল গণহত্যা, দ্য ফ্লাওয়ার গণহত্যা, আল-শিফা হসপিটাল গণহত্যা, আল-নাসের হসপিটাল গণহত্যা, ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন গণহত্যা, রাফাহ টেন্ট গণহত্যা, নুসেইরাত রিফিউজি ক্যাম্প গণহত্যা, আল-মাওয়াসি গণহত্যা এবং দেইর-আল বালাহ গণহত্যা। সুতরাং, এই গণহত্যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়নি, আসলে তা হয়েছিল ১৯৪৮ সালে, যখন যায়নবাদীরা আমেরিকা, ব্রিটেন এবং পশ্চিমাদের সামরিক-আর্থিক সহায়তায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এক ‘জেনোসাইডাল ওয়ার’ শুরু করেছিল।
সূত্রঃ পূবের কলম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
…………………………………………………………………………………………………………………………
মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা, গল্প ও কবিতা পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে- [email protected] ও [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে । আসুন ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন