Ads

ইসলামি চেতনায় কাব্যে কবি কাজী নজরুল ইসলাম

।। ফারহানা শরমীন জেনী ।। 

ভোর হলো দোর খোল

খুকুমণি ওঠোরে

ঐ ডাকে জুঁই শাখে

ফুল খুকি ছোটরে।

খুলি হাল তুলি পাল

ঐ তরী চললো

এইবার এইবার

খুকু চোখ খুললো…..

এই ছড়ার মাধ্যমে শৈশবেই সবার পরিচয় হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে অথবা

চাঁদরাতে সন্ধ্যার লালিমা মিলিয়ে যেতেই পশ্চিম ঈশান কোণে যখন রুপোলি সুতোর মতো একফালি চাঁদ দৃশ্যমান হওয়া মাত্র সকল রেডিও, টেলিভিশন এবং অনলাইন পোর্টালের চ্যানেলগুলোই সমস্বরে বেজে ওঠে ইসলামি সঙ্গীত “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ, আপনাকে আজ বিলিয়ে দে তুই শোন আসমানী তাকীদ!” এই গানটির সাথে শিশু কিশোর আবাল বৃদ্ধ বণিত সকলের হৃদয়ে বেজে ওঠে এই গান।

২৪ মে ১৮৯৯ থেকে ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১১ই জৈষ্ঠ্য১৩০৬-১২ই ভাদ্র ১৩৮৩) পর্যন্ত তার জীবনকাল। তার এই জীবনকালের মধ্যে সাহিত্য চর্চা করতে পেরেছেন মাত্র ২৩ বছর যা সাহিত্যচর্চার জন্য যথেষ্ট সময় নয় কিন্তু তিনি এই ২৩ বছরের মধ্যে সাহিত্যের জগতে রেখে গেছেন শত সহস্র বছরের এক সমৃদ্ধ সম্ভার মুসলিম জাতির জন্য। তিনি ছিলেন মানবতার কবি, ছিলেন সাম্যের কবি।মানবতা এবং সাম্য আমাদের ইসলাম ধর্মের অপরিহার্য অংশ। আমাদের প্রিয় নবী ছিলেন মানবতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মুসলিম ইতিহাসের আলোক বর্তিকা আর সেই রাসূলকে ভালোবেসে বক্ষে ধারণ করে বাঙালির ইতিহাসে ইসলামি কবিতা সৃষ্টিতে বাতিঘর হয়ে আছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন যা বাংলাদেশের ইতিহাসের পরম প্রাপ্তি কিন্তু কবির কর্মের তুলনায় তাও হয়তো যথেষ্ট নয়। কবি তার সৃষ্টির মাধ্যমে বাঙালি মুসলিম সাহিত্যের ভান্ডারে নিরন্তর প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। প্রবন্ধ- নিবন্ধ গান,নাটক,উপন্যাস, ছোটগল্প লেখায়ও তার জুড়ি মেলা ভার তবুও তিনি কবি হিসেবেই বিশ্বের বুকে খ্যাতিমান। পেশায় তিনি সাংবাদিক ছিলেন, কিন্তু সাংবাদিকতাও তাকে তেমন প্রভাবিত করেনি যতটা তাকে প্রভাবিত করেছে তার সৃষ্টিশীল কর্ম। তাইতো তিনি সৃজন করেছেন কবিতা “সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। এই কবিতায় আছে সৃষ্টিশীলতার অমিতাচারী উদ্‌যাপন; আছে অমিতাচারকে প্রমিত শরীরে বেঁধে ফেলার বিস্ময়কর মুনশিয়ানা। তার মানেই হলো,কবিতার বন্ধনে মুক্তি ঘোষণার দারুণ নজির। আরও আছে—যে কথা খুব একটা বলা হয়নি—আছে নজরুলের কবি-স্বভাবের পরিচ্ছন্ন বয়ান। সৃষ্টি সুখের উল্লাসের মধ্যে দিয়েই বেরিয়ে এসেছে কবির দ্রোহ, জীদ এবং চেতনা যা পরবর্তীতে ” বিদ্রোহী ” এবং “সাম্যবাদী ” কবিতার মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছে।

সাহিত্যের ভান্ডারে কবি কাজী নজরুল ইসলাম এক বিশ্বকোষ। বাংলা কাব্য সাহিত্যের ভান্ডারে তিনি মহীরুহ। সাহিত্যে ইসলামি পুনর্জাগরণের তিনি অন্যতম অগ্রদূত। তার আগে ইসলামি চেতনার কবি ছিলেন সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজি, আলাওল আব্দুল হাকিম উল্লেখযোগ্য কিন্তু তাদের লেখা মুসলিম চেতনায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মতো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেনি। বাংলা সাহিত্যে ইসলামি চেতনা সৃষ্টি করে তিনি মুসলিম ইতিহাসে নবযুগের রচনা করেছেন। ইসলামি সঙ্গীত তথা বাংলা গজল রচনার পথিকৃৎ তিনি। তিনি তিন হাজার গান রচনা করেছেন যার অধিকাংশ হামদ,নাত,ইসলামি সঙ্গীত। তিনি তার গানে সুর করেছেন। তার কবিতার বিশাল অংশ জুড়ে আছে ইসলাম প্রসঙ্গ।

কাজী নজরুল ইসলাম তার প্রথম কাব্যগন্থ ‘অগ্নিবীণা ‘ দিয়েই বাংলা সাহিত্যে স্থান করে নেন।এই কাব্যগ্রন্থের অর্ধেক কবিতায় ছিল ইসলামি কবিতা। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘রণভেরী’, ‘খেয়াপারের তরণী’, ‘মোহররম’ ,’কোরবানী’, ‘শাত-ইল-আরব’, ‘কামালপাশা’, ‘আনোয়ারা’, ‘ উমর ফারুক ‘, ‘ কান্ডারী হুশিয়ার ‘, প্রভৃতি কবিতা। নজরুল ‘নয়া যমানা’ কবিতাটি যখন লিখেছিলেন, তখন মুসলিমরা ছিল উপমহাদেশে পিছিয়ে পড়া জাতি। এ কবিতার একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও আছে। ‘বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা, শির উঁচু করি মুসলমান’— এখানে তিনি মুসলমানদের প্রেরণা যুগিয়েছেন,যেন মুসলিমরা না ভেঙে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতায়।

‘কাণ্ডারী’ কবিতা তার এক অত্যন্ত সাহসী কবিতা । এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পংক্তি , ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কাণ্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র— এই পংক্তিটি এতো বড় শক্ত অসাম্প্রদায়িক বার্তা ছিল এ কবিতাটিতে যা মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে মনোবল তৈরি করেছে।

তার “খেয়াপারের তরণী ” কবিতাতে কবির পাপ পূন্যের হিসাব থেকে শুরু করে মৃত্যু, আখিরাত,পরকালের বিশ্বাস প্রকটভাবে প্রকাশিত। তিনি এক আল্লাহতে বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এই কবিতায় এবং সাথে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করতে বলেছেন। আরও বলেছেন যে যারা লা শরীক আল্লাহ বলবে তাদের ঝঞ্ঝার মাঝেও তরী পার হবে। তার এই কবিতাগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই কুরআনের মর্মকথা তার ইসলামি কবিতার ছত্রে ছত্রে। সূরা আসরের যে সরল অর্থ তার সাথে তার কবিতার ভাবার্থ মিলে যায়।অর্থাৎ বাংলার মুসলমানদের মাঝে তিনি নিপুণ সাহিত্যের আঁচড়ে বঙ্গীয় মুসলিমদের মাঝে পুনঃজাগরণের ডাক দিয়েছেন। হারিয়ে যাওয়া ইসলামী আচার, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুনভাবে তিনি তার লেখনীতে ফুটিয়ে তুলেছেন।

তার রাসূলের প্রতি অগাধ ভালোবাসা তার কবিতা ও ইসলামি সঙ্গীতে প্রকাশ পেয়েছে। ত্রিভূবনের প্রিয় মোহাম্মদ থেকে শুরু করে শোন শোন ইয়া ইলাহী কিংবা হেরা হতে হেলে দূলে নূরানী তনু ও কে আসে হায় মতো বাংলা সাহিত্যের বেশিরভাগ বিখ্যাত হামদ নাত ও গজল এককভাবে তারই রচনা করা। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) স্মরণ করে তার লেখা :- ‘তৌহিদের মুর্শিদ আমার মুহাম্মাদের নাম /মুর্শিদ মুহাম্মদের নাম /ওই নাম জপলেই বুঝতে পারি খোদাই কালাম /মুর্শিদ মুহাম্মদের নাম। ‘ কিংবা ‘রাসুলের অপমানে যদি না কাঁদে তোর মন,/মুসলিম নয় মুনাফিক তুই, রাসূলের দুশমন।” অথবা

‘ কত যে রূপে তুমি এলে হযরত এই দুনিয়ায়।

তোমার ভেদ যে জানে আখেরি নবী কয় না তোমায়।

আদমের আগে ছিলে আরশ পাকে তার আগে খোদায়।

আদমের পেশানীতে দেখেছি তব জ্যোতি চমকায়।

ছিলে ইব্রাহিমের মধ্যে তুমি ফুল হলো তাই নমরুদের আগুন।

নুহের মধ্যে ছিলে তাই কিশতী তার ডুবলো না দারিয়ায়’।

নবীর শহর পবিত্র মদিনা মনোয়ারা কবি নজরুলের কাছে প্রেমের প্রতীক, আকাঙ্খা ও স্বপ্নের প্রতীক।তিনি আল্লাহকে নৌকা বা তার মন্জিলে পৌছানোর বাহন ভেবে সেই নৌকায় চড়ে মদীনায় যাবার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছেন তার ইসলামি সঙ্গীতে –

আল্লাহ নামের নায়ে চড়ে যাব মদিনায়।

মোহাম্মদের নাম হবে মোর

(ও ভাই) নদী-পথে পুবান বায়।।

মদীনা নিয়ে নজরুলের গুণগানের শেষ নেই, দ্বীনের দাওয়াত, দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মদীনার রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)হিজরতের পর মদীনাতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন বলে কবির এতো টান অনুভব করেন মদীনা নিয়ে। কবি নবী দৌহিত্র, নবী কন্যা মা ফাতেমা, মা আমিনাকে নিয়ে লিখেছেন কবিতা ও গান। “মোহররম ” কবিতায় তিনি তার আবেগকে এমনভাবে প্রকাশ করেছেন যা কবির ইসলামের ইতিহাসের প্রতি বিশেষ ভক্তি প্রকাশ পায়।” উমর ফারুক ” কবিতাও কবির এক কালজয়ী সৃষ্টি,ইসলামি খেলাফতের ইতিহাস সমৃদ্ধ কবিতা।

তিনি সৈনিক হিসেবে যোগদানের পর ট্রেনিং করতে যান পাকিস্তানের করাচীতে।সেখানে তার সাথে কবি দিওয়ান -ই-হাফিজের সাথে পরিচিত হন এবং ফার্সি ভাষা সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ফার্সি ভাষা শিখতে শুরু করেন। ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে তার জ্ঞান এই ফার্সি সাহিত্য থেকে সমৃদ্ধ হয়। কবি হাফিজের দ্বারা রুবাই রচনায় আকৃষ্ট হন এবং ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াৎ ই ওমর খৈয়াম থেকে ১৯৭ টি রুবাইয়াৎ অনুবাদ করেছেন যা মাসিক মোহাম্মদীতে প্রকাশিত হতো নিয়মিত।

গ্রীসের বিরুদ্ধে আঙ্গোরা-তুর্ক-গভর্ণমেন্ট যে যুদ্ধ চালাচ্ছিলেন, সেই যুদ্ধে কামাল পাশার সাহায্যের জন্য ভারতবর্ষ হইতে দশ হাজার স্বেচ্ছা-সৈনিক প্রেরণের প্রস্তাব শুনে লিখিত রণ ভেরী কবিতার মাধ্যমে রাজনিতিতে তার ইসলামি মতাদর্শ সম্পর্কে আমরা একটা পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পারি।

ওরে আয়!/ঐ মহা-সিন্ধুর পার হতে ঘন রণ-ভেরী শোনা যায়–/ ওরে আয়!/ঐ ইস্‌লাম ডুবে যায়!/ যত শয়তান/সারা ময়দান /জুড়ি খুন তার /পিয়ে হুঙ্কার/ দিয়ে জয়-গান শোন্ গায়!

একইসাথে কাজী নজরুল ইসলাম না থাকলে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের যাঁতাকল থেকে সত্যিকার অর্থে আমরা কতোটুকু মুক্ত হতে পারতাম সে প্রশ্নও তোলার সুযোগ রয়েছে। তাই নজরুল চর্চা থেকে সরে আসা মানে মনন জগতকে আবারও সেই ঔপনিবেশিক দাসত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া।

কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলার মুসলিম রেঁনেসার প্রাণপুরুষ হিসেবে অভিহিত করা হয়। রেনেসাঁর একটা প্রধান ধর্ম হলো- যাবতীয় কুসংস্কার, ভন্ডামি,গোঁড়ামি, নিষ্প্রাণ গতানুগতিক আনুষ্ঠানিকতা ও সকল প্রকার সঙ্কীর্ণতাকে আক্রমণ করে তার জায়গায় সত্য, ন্যায়,উদার মানবিকতা ও চিন্তার স্বাধীনতার জয় ঘোষণা করা।নজরুল তার কবিতায় রেনেসাঁর বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি ধারণ করেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। সেই কারণে কবির বহু ইসলামি গান ও কবিতার বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপের ক্ষুরধার তরবারি বারবার ঝলসে উঠেছে।

ইসলামি অনুষঙ্গ নিয়ে লেখা কবির সব কবিতা ও ইসলামি গান সমান উচ্চমানের নয়। সকল লেখকের ক্ষেত্রেই এমন নজীর আছে যে সব লেখা খ্যাতিমান সাহিত্যিকের সম উচ্চ মানের নয়। সমাজের সকল অসঙ্গতি তাকে অস্থির ও চঞ্চল করে তুলতো,এজন্যই তার কবিতায় মানের উত্থান-পতন ও অসমতা। কিন্তু এরপরও তার সকল সাহিত্য কর্মে একটা মৌলিক সুর নিরন্তর অনুরণীত হয়।

এভাবে নজরুল শুধু কবিতায় নয়, তার গীতি কবিতা, হামদ-নাত,গজল,ভক্তি, সঙ্গীত ও ইসলামি সৌন্দর্য্যরসে পরিপূর্ণ ভাবে সিক্ত ছিলো। নজরুলের ইসলামি কবিতা রচনার মূল প্রেরণা ছিলো খোদাপ্রেম এবং রাসূলপ্রেম।আল্লাহ ও রাসূলের প্রেমে পাগলপারা ছিলেন দেখেই এতো অসাধারণ সব ইসলামি কবিতা রচনা সম্ভব হয়েছে। তিনি তার আল্লাহ ভক্তির নজীর স্বরুপ নিম্নের ইসলামি সঙ্গীত রচনা করেছেন –

“মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই

যেন আজান শুনতে পাই………..। ” এই গানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর দেয়া হয়েছে ঢাকা বিশব্বিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে। চির নিদ্রায় কবি সেখানে শায়িত আছেন।

বাঙালি ও মুসলমান হিসেবে আমাদের যে গৌরবাজ্জ্বল সোনালী অতীত রয়েছে সেটিও বিলীন হয়ে যাবে আমাদের মনোজগত থেকে যদি না আমরা তার সৃষ্টিকর্মকে যথার্থভাবে তুলে ধরতে না পারি। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে আমাদেরকে গুরুত্ব সহকারে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিশীল কর্মের প্রতি যত্নবান হতে হবে এবং সেগুলোকে সংরক্ষণের পাশাপাশি বিশ্ব দরবারেও যাতে আমরা তার রচনাকে ছড়িয়ে দিতে পারি সে ব্যাপারেও আমাদেরকে তৎপর হতে হবে।

তথ্যসূত্র: নজরুল রচনাবলি – বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত।

প্রথম আলো,নিউজ টুয়েন্টিফোর, জীবন ও সৃজন, রফিকুল ইসলাম, নজরুল গবেষণা ইনস্টিটিউট।

 

লেখকঃ কবি, সাহিত্যিক ও সহ-সম্পাদক, মহীয়সী 

 

আরও পড়ুন