Ads

ইসলামি সভ্যতায় কৃষিব্যবস্থা ও তার উন্নয়ন-১

জি.মোস্তফা

রসূল (সা.) এর কৃষি বিপ্লবের সূচনাঃ
বিশ্বনেতা মুহাম্মদ (সা.) সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ের রূপকার।তিনি কৃষিক্ষেত্রে অনেক মূলনীতি প্রণয়ন করেন এবং বিস্তৃত দিকনির্দেশা প্রদান করে। তিনি অনাবাদী ভূমিতে চাষাবাদের নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন।

হযরত আয়িশা (রা.) এর বর্ণনা অনুসারে, রসূল (সা.) বলেন,” যে ব্যক্তি এমন অনাবাদী জমি আবাদ করে যা অন্যের নয়,সে উক্ত জমির মালিকানার ব্যাপারে অর্ধেক দাবিদার।”(বুখারি)

ড. মো. ইব্রাহীম খলিল লিখেছেন,” বস্তুতহযরত রাসূলুল্লাহ (স.) এর সময় প্রয়োগগত বিবেচনায় কৃষি ও শিল্পের প্রযুক্তিগত তেমন প্রণিধানযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়নি সত্যি কিন্তু এটা ঠিক যে, তিনি কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত ও মানবিক নীতিমালা পেশ করেছিলেন,যা আবশ্যিকভাবে কৃষি ও শিল্পে প্রযুক্তিগত বিপ্লব সংঘটন সম্ভব করে তোলে।”
(বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের অবদান,ড.মোঃ ইব্রাহীম খলিল,পৃ.৩৪৮)।
রসূল (সা.) এর সময় পশু পালনে গুরুত্বারোপ করা হয়েছিলো। তিনি যাকাত খাতে প্রাপ্ত ছাগল,মেষ,উট,ইত্যাদি পশু দ্বারা মদিনার উপকণ্ঠে একটি রাষ্ট্রীয় খামার স্থাপন করেছিলেন।এই খামার স্থাপনের ফলে রাষ্ট্রীয় আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছিলো।

খিলাফতে রাশেদার কৃষি উন্নয়নঃ
খিলাফতে রাশেদার যুগে ব্যাপক কৃষিজ উন্নয়ন ঘটে। এক্ষত্রে উমর ফারুক (রা.) সর্বাধিক বৈপ্লবিক উন্নতি সাধিত করেন।ইতোপূর্বে রোমানরা সিরিয়া ও মিশর দখল করে সেখানকার সব জমি কৃষকদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পদস্থ সামরিক অফিসার,আমির-উমরা এবং অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে জায়গির হিসেবে বিলিবণ্টন করেছিলো এবং কিছু সম্পত্তি গির্জা যাজকদের জন্য ওয়াকফ করে দেওয়া হয়েছিলো।স্থানীয় কৃষকদের হাতে সামান্য জমিও ছিলো না।তারা শুধু চাষাবাদই করতো। হযরত উমর (রা.) এ অত্যাচারমূলক ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করেন। মুসলিম বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ রোমান জমিদার সব কিছু ত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পলায়ন করে।যারা যায়নি তাদের জমিদারি বাজেয়াপ্ত করা হয়।তারপর সব জমি স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বণ্টন করা হয়। উমর (রা.) এর এমন বিপ্লবাত্মক ভূমিবণ্টননীতি গ্রহণের ফলে অতি অল্প সময়ে কৃষকদের অবস্থা পরিবর্তন হয়।এতে কৃষিকাজেরও অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়।

খলিফা উমর ফারুক (রা.) একটি সুপরিকল্পিত ভূমি রাজস্বব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য রাজস্ব বিভাগ বা দেওয়ানুল খারাজ প্রতিষ্ঠা করেন।বিজিত এলাকা সৈন্যদের মধ্যে জায়গির হিসেবে বণ্টনের ঘোর বিরোধী ছিলেন।কারণ এতে একদিকে যেমন কৃষিকাজের উন্নতি ব্যহত হয়,অপরদিকে সেনাবাহিনীর নিয়মানুবর্তিতা ও শৃংখলা নষ্ট হয়ে তারা শক্তিহীন ও পঙ্গু হয়ে পড়তো।

ভূমিবণ্টন ও বন্দোবস্তের পর উমর (রা.) অনাবাদি জমি আবাদ ও কৃষিকাজের উন্নতির দিকে মনোযোগী হন। প্রথমে তিনি দেশব্যাপী ঘোষণা প্রদান করেন, যেখানে যতো অনাবাদি জমি রয়েছে,তা যে যকোটুকু আবাদ করতে পারে সে তার স্থায়ী মালিক হবে। তবে এসব অনাবাদি জমি দখল করার তিন বছরের মধ্যে আবাদ করতে না পারলে দখলকারীর স্বত্ব বাতিল হয়ে যাবে।উমর (রা.) এর যুগান্তকারী পদক্ষেপে ভূমিহীনরা ভূমি স্বত্ব পায়।তিনি চাষাবাদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃষকদের বিশেষ পুঁজি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এবং ঘোষণা দেন,”রাষ্ট্র কর্তৃদ প্রদত্ত এ পুঁজি আর ফেরত দিতে হবে না”।উৎপাদিত ফসলের ৫০% কৃষকরা নিজের জন্য রাখবে আর বাকি ৫০% রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেবে।এতে দরিদ্র চাষীদের চাষাবাদ করা সহজ হয়ে উঠে।
এ ব্যবস্থার ফলে রাষ্ট্রের সব অনাবাদি জমি দ্রুত আবাদ হয়ে যায়।তা ছাড়া যুদ্ধের সময় যেসব কৃষক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলো,তাদের ফিরে এসে নিজ নিজ জমি দখল করার জন্য সবদিকে ঘোষণা প্রচার করা হয়।ফলে কৃষিকাজে দ্রুত উন্নতি সাধিত হয়।
সারা দেশে খাল খনন,বাঁধ নির্মাণ,পুকুর খনন, এবং প্রয়োজনীয় স্থানে পানি সেচের জন্য উমর (রা.) পৃথক এক বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লামা মাকরিজি বলেন,একমাত্র মিশরেই দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এক লক্ষ বিশ হাজার শ্রমিক এ কাজে নিযুক্ত ছিলো। তাদের যাবতীয় খরচ বায়তুল মাল থেকে বহন করা হয়। খেযিস্তান ও আহওয়ায এলাকায় জযর বিন মুয়াবিয়া উমরের অনুমতিক্রমে অনেক খাল খনন করিয়ে বিপুল পরিমাণ পতিত জমি আবাদের উপযোগী করে তুলেছিলেন। তা ছাড়া সেচব্যবস্থার উন্নতির জন্য তার আমলে নহরে আবু মুসা,নহরে মায়াকিল,নহরে সাদ,নহরে আমিরুল মুমিনিন ইত্যাদির মাধ্যমে উন্নততর সেচ ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।

আল্লামা শিবলি নোমানি (রহ.) তার আল-ফারুক গ্রন্থে লিখেছেন,” হযরত উমর (রা.)সমগ্র বিজিত এলাকায় নদী নালার সংস্কার করেন;বাঁধ নির্মাণ করেন; পুকুর খনন করেন; পানি সরবরাহের উদ্দেশ্যে জলাধার তৈরি করেন এবং নদনদী থেকে শাখা প্রশাখা বের করেন। তিনি এ জাতীয় কাজ করার জন্য একটি স্বতন্ত্র বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।(দাখিল কৃষি শিক্ষা,২০১৩ ইং,বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড,পৃ.০৬)

ড. মো. ইব্রাহীম খলিল লিখেছেন,”( খিলাফতে রাশেদার যুগে) বনভূমির উন্নয়ন,পতিত জমি বন্দোবস্তকরণ,সরকারি চারণভূমি গড়ে তোলা,
অনাবাদী জমি আবাদিকরণ,জমি চাষে বাধ্যবাধকতা আরোপের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।কৃষি উন্নয়নের জন্য খুলাফায়ে রাশিদীন অসংখ্য খাল ও কূপ খনন করেন।প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বাঁধ নির্মাণ করে বন্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেয়া হয়।উমর (রা.) দজলা থেকে মা’কিল নামে একটি খাল খনন করেন।বন্যা প্রতিরোধের জন্য দজলা ও ফোরাতের তীরে বাঁধ নির্মাণ করা হয়।ইরাকের নহরে মা’কিল,পারস্যে নহরে সাদ,মদিনায় বনাতনা ইলাহ খাল ইত্যাদি সেচ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন সাধন করে।

কৃষি উন্নয়নের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা হয়।মিসর ও আরবের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আমর বিন আস “আমীরুল মুমিনিন” নামে একটি খাল খনন করেন। এ খালের মাধ্যমে নীলনদকে লোহিত সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এর ফলে মিসর থেকে আরবের সমুদ্র বন্দর ইয়েমেন পর্যন্ত যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়। ফোরাত থেকে “নহরে আবি মুসা” নামে নয় মাইল দীর্ঘ একটি খাল খনন করে বসরার সঙ্গে সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।”(বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের অবদান,ড. মোঃ ইব্রাহীম খলিল,পৃ.৩৪৯)।

উসমান (রা.) কৃষি উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।তিনি নিজেও উট চরাতেন।কৃষিক্ষেত্রে তার অনেক ভূমিকা রয়েছে।হযরত উসমান (রা.) কে একবার জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি বৃদ্ধ বয়সে বৃক্ষরোপণ করছেন কেন? তিনি উত্তর দিলেন, সৎকর্মরত অবস্থায় আমার মৃত্যু হওয়া ফাসাদরত অবস্থা থেকে উত্তম। একবার আবু দারদা (রা.) আখরোট গাছ রোপণ করছিলেন। তখন তাকে বলা হলো, আপনি বৃদ্ধ বয়সে এটা কেন লাগাচ্ছেন? অথচ এর ফল পেতে ২০ বছর (অর্থাৎ অনেক) সময় লাগবে। তিনি উত্তর দিলেন, আজর তথা প্রতিদান ব্যতীত আমার অন্য কোনো চাহিদা নেই। (নুজহাতুল আনাম, পৃ : ১৮৫)।
হযরত আলি (রা.) ও এই ধারা সংরক্ষণ করেন।তিনি সব অঞ্চলে কৃষি এবং খাদ্যনীতির গুরুত্ববজায় রাখতে রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করেন।
মিশরের গভর্নর মুসা আল-আশয়ারির কাছে পাঠানো এক চিঠির শুরুটা করেছিলেন এভাবে,” হে মুসা আল-আশয়ারি! উৎপাদন বৃদ্ধি করো,
এবং উৎপাদিত ফসলের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করো।” ( বাংলা অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থাঃপ্রেক্ষিতে ইসলামী সভ্যতা,[প্রবন্ধ] হাসান আল ফিরদাউস,মিহওয়ার তৃতীয় সংখ্যা,পৃ. ৭৭)

উমাইয়া শাসনামলে কৃষি উন্নয়নঃ
উমাইয়া বংশের শাসকগণ কৃষি উন্নয়নে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।তাদের শাসনামলে আরবসহ মিশরও অন্যান্য এলাকার কৃষিরও উন্নতি সাধিত হয়।উমাইয়া শাসকগণ কৃষির উন্নয়নের জন্য জমিতে পানি সেচের ব্যাপক ব্যবস্থা করেন।তারা
সাম্রাজ্যের প্রয়োজনীয় প্রায় সব এলাকায় অসংখ্য কূপ ও খাল খনন করেন।এর সঙ্গে পুরনো যেসব কূপ ও খাল সংস্কারের অভাবে পানি সেচের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো সেগুলো সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।প্রথম উমাইয়া শাসক মুয়াবিয়া (রা.) হযরত উমর (রা.) কর্তৃক খননকৃত মা’কিল খালটি পুনঃখনন করেন। এছাড়া মদিনার কাযিমা,আজরাক,সুহাদা খাল খনন উমাইয়া শাসকদের অন্যতম কীর্তি।ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়া “নাহরে ইয়াজিদ” নামে একটি খাল খনন করেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ “আন-নাইল” ও “আযযাবি” নামে দুটি খাল খনন করেন।আন-নাইল ফোরাত ও দজলা নদীকে সংযুক্ত করে কৃষিক্ষেত্রে জল সেচের বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করে।পানি সেচের সুবিধার জন্যউমাইয়া শাসকগণ একটি নবতর ধারা নির্মাণ করেন।পাহাড়ি এলাকায় বাঁধ তৈরি করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন।পরবর্তীতে শুকনো মৌসুমে এ পানি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয়।উমাইয়া শাসকদের গৃহিত জলসেচের এ পদ্ধতির কারণে খেজুর ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন দুই থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পায়।
দ্বিতীয় উমরের আমলে তার সাম্রাজ্যে যে সব চারণভূমি ছিলো, “নাকী” ছাড়া বাকি সবগুলোতিনি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।

এগুলো সম্পর্কে উমর তার এক ওয়ালিকে লিখেন-

” যে সব ভূমিতে চারণভূমি প্রস্তুত করা হয়েছে,তা যদি বৃষ্টির পানিতে স্নাত হয়,সেগুলোর ব্যবহারে কাউকে নিষেধ করা যাবে না।সবগুলো উন্মুক্ত করে দিন,অবশ্যই উন্মুক্ত করে দেবেন।”

ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর বন্যা উমাইয়া শাসনামলে কৃষি উৎপাদনের জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়।এতে ভূমিধ্বসের সঙ্গে উৎপন্ন ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি উমাইয়া শাসকগণ এ ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।তারা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করে বন্যা প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ নদীর পুরো তীর জুড়ে বাঁধ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন।কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রার্থিত তিরিশ লক্ষ দিরহাম বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে তার পক্ষে পরিকল্পনাটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।দজলা-ফোরাত সেচ ও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য নকশা তৈরি করেন তৎকালীন বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার হাসান আন-নাবাতি। আল-ওয়ালিদের ভাই মাসলামা এবং উমাইয়া শাসক হিশামের প্রাদেশিক শাসক খালিদ আল-কাসরি পর্যায়ক্রমে হাসান আন-নাবাতির নকশা অনুসরণে প্রকল্পের কাজ শেষ করেন।ফলে অনেক চাষের জমি উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ অঞ্চলে বন্যামুক্তভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব হয়।

উমাইয়া শাসনামলে জমি চাষের কাজে গরু,ঘোড়া ও মহিষ ব্যববহার করা হতো। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ চাষাবাদের কাজ সহজে করার জন্য হিন্দুস্তান থেকে মহিষ আমদানি করেন।তিনি চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত যোগ্য ষাঁড় জবাই করা নিষিদ্ধ করেন।উমাইয়া শাসক হিশাম ঘোড়ার বংশ বৃদ্ধির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় চাষাবাদের প্রয়োজনীয় গরু, ঘোড়া ও মহিষের সরবরাহ নিশ্চিত হয়;যা চূড়ান্তভাবে কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

লেখকঃ কলাম লেখক

আরও পড়ুন-

ইসলামি স্বর্ণযুগে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলিম নারীদের অবদান

আরও পড়ুন