Ads

সভ্যতার সারথি মুসলিমরা কেন সভ্যতাকে ভয় পায়!

।। শরীফ হোসেন ।।

 

ইসলামের আগমন আমাদের লিখিত সভ্যতার ইতিহাসের গোড়ার দিকে। মুসলমানেরা সভ্যতার গোড়পত্তনকারী বললে ভুল হবে না। এই সময় পৃথিবীর সভ্যতার সংকটকেই অন্ধকার সময়ও বলা হয়।
এই অন্ধকার সময়ে আলোক বর্তিকা হাতে নিয়ে আসেন হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ)। ব্যাপক ইতিহাসের কয়েকটি পয়েন্ট বলি- ইসলাম প্রথম নারীদের সম্মানজনক আসন দান করেন (অন্য সভ্যতা তখন নারীর আত্মা আছে কিনা সন্দেহ করতো), কুৎসিৎ দাসকে ইসলাম আলিঙ্গন করে তাদের নেতা বানাতেও দ্বীধা করেনি। বিশ্ব তখন অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়েছিল বলে কি এরা?
এরপর ইসলাম একে একে আনে-
১। সামাজিক শৃঙ্খলা
২। বিধিবদ্ধ আইন
৩। সমঅধিকার
৪। অর্থনৈতিক সমতা
৫। গোষ্ঠিকেন্দ্রীকতা ও জাতি কেন্দ্রিকতা উচ্ছেদ
৬। শ্রেষ্টত্বের মাপকাঠি ক. যোগ্যতা খ. সততা গ. ন্যায়পরায়নতা। যা তাকে বানাই বিশ্বসভ্যতার নেতা।
সময়ের সাথে সভ্যতার ক্রমবিকাশ ও পরিবর্তন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সভ্যতার ক্রমধারায় যখন সৃজনশীল সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটলো তখন রুমী, হাফিজ, শেখ সাদী কিংবা ফেরদৌসীর মত সাড়া জাগানো সাহিত্যিক আর কবিদের আগমন হয় ইসলামে যাদের নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে আজো গবেষনা হয়।
পৃথিবীকে জানতে ৬৯ জন মুসলিম ভুগোলবিদ প্রথম বিশ্বমানচিত্র আঁকেন যার নাম “সুরাতুল আরদ”।
বিশ্ব আবিস্কারের যখন প্রয়োজন হয় কিংবা বিশ্ব সভ্যতার উম্মোচনের জন্য কম্পাস আবিস্কার করেন ইবনে আহমদ।
ডারউইন মুলত একজন বিবর্তনবাদ গবেষক তার বহু পূর্বে এ নিয়ে গবেষনা করেন আসমাঈ।

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সমাজ, পরিবার ও নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য নানা ধরণের

আর্টিকেল পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi এ লাইক দিন  এবং

আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরামযুক্ত হয়ে আমাদের সাথেই থাকুন ।  

বিশ্বের তাবৎ ইতিহাসকে লিখিত রুপ দিতে আবিস্কার হয় কাগজ আর সেই তুলট কাগজ আবিস্কার করেন ইউসুফ ইবনে উমর। সময়ের গণনাকে বিধিসম্মত করেন হাজ্জার ইবনে মাসার। আধুনিক গণিত ও শূন্যের আবিস্কারক আল খারেজমি। এছাড়া হাজারো বিজ্ঞানীর ভীড়ে রয়েছে ফরগাবি, বাত্তানি কিংবা খারেজমি, ইবনে সিনা প্রমুখ।
আধুনিক বিজ্ঞানের তিন আবিস্কার ১.ইঞ্জিন ২. বিদ্যুৎ ৩. কম্পিউটার হয়েছে ইউরোপের বিজ্ঞানীদের হাতে। তারা উত্তরোত্তর এর উন্নয়ন করেই চলেছে।
মুসলমানেরা ১,৫০০ শতকের পর রাজ্য ক্ষতা হারিয়ে বোধ ক্ষমতাও হারিয়েছে। এর ধর্মীয় পন্ডিতেরাও বিভিন্ন সময়ে বিভ্রান্তি কম ছড়ায়নি। সভ্যতার জন্ম যাদের হাতে তারা নতুন সভ্যতা অতিক্রম করে যখন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে তখন তারা সভ্যতা মানে ইসলাম বিরুদ্ধ এ ধারণা পোষন করে। যাদের হাতে বিজ্ঞানের পত্তন তারা বিজ্ঞানকে করায়ত্ব করা বাদ দিয়ে জাতিকে স্বপ্ন দেখায় একদিন সব বিজ্ঞান ধংস হবে আর সেই অন্ধকার জামানা আসলেই ইসলামের বিজয় হবে। অথচ ইসলামের জন্ম অন্ধকার ফুড়ে আলো বের করার জন্য। সময়ের সাথে সাথে সভ্যতার ধারনার পরিবর্তন হয়েছে হয়েছে আন্তর্জাতিক রীতি নীতির। কিন্ত ৬০০ খ্রি. যে মুসলমানেরা বিশ্বরীতির গোড়াপত্তন করেছিল তারা নতুন রীতিকে উন্নত করার চাইতে অস্বীকার করার চেষ্টাও করেছে।
কোরআন বলেছে বিজ্ঞানময় কোরআনের শপথ, কিংবা তোমার রবের মহত্ত্ব ঘোষণা করো। যিনি সৃষ্টি করে তাকে সুসামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন। যিনি পরিমাপ নির্ধারণ করে দিয়ে পথ দেখিয়েছেন। যিনি তৃণাদি বের করে এনে ঘন-কালো সবুজে পরিণত করেন। —আল-আ়লা ১-৫।
যারা সভ্যতার জন্ম দিয়েছে আজ তারা যদি সভ্যতাকে ভয় পায় তবে তাদের হাতে সভ্যতার বিজয় সম্ভব নয়। অপেক্ষায় আছি মুসলমানদের মধ্য হতে অনাগত সভ্যতার রুপকারদের জন্য।

 

লেখকঃ কৃষিবিদ ও উন্নয়ন গবেষক

আরও পড়ুন