Ads

কেমন ছিলেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ?

অধ্যাপিকা মৌলুদা খাতুন মলি 

(এক)

“কুল্লু নাফসিন জায়িকাতুল মাউত”। ‘প্রত্যেক প্রাণিকে মৃত্যুর আস্বাদন গ্রহণ করতে হবে’। (সূরা আল ইমরান-১৮৫)।ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষ একযোগে আল্লাহ্‌ পাকের এই চিরন্তন বাণীটি বিশ্বাস করে যে, জন্মিলে একদিন মরতেই হবে। কিন্তু তারপরও আমরা এই চাকচিক্যময় পৃথিবীর মোহে পড়ে- হরদম অপরাধ করেই চলেছি।

হায়রে মানুষ আমরা! সাড়ে তিন হাত কবরের মাটি ছাড়া আমাদের পেট ভরবে না। সম্পদের পাহাড় গড়ার সুদূরপ্রসারী স্বপ্নে এখনো বুঁদ হয়ে বসে আছি অনেকেই। আরও টাকা চাই, আরও খ্যাতি চাই। চাওয়ার যেন শেষ নেই- তা যেকোনো পন্থায়-ই হোক না কেন!!

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। হয়ত নামটি অনেকের কাছে খুব পরিচিত। ইতিহাসের নির্দয়- নির্মম আর বিতর্কিত এক পৈশাচিক যালিম শাসক ছিলেন- এই হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। আজ আমি অতি সংক্ষেপে তার সম্পর্কে কিছু লেখার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ। যেন তার জীবনী থেকে আমরা কিছু শিক্ষা নিতে পারি।
ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা-বিল্লাহ।

উমাইয়া খেলাফতের সময়কার কথা। তখন খলিফা ছিলেন আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান। খলিফার সেনাবাহিনীতে উচ্চ পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। সময়টি ছিলো এমন- যখন মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বিলীন হয়ে যাচ্ছিলো। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলেন একজন জঘন্য অত্যাচারী শাসক। তাকে রক্তপিপাসুও বলা চলে।

“দুনিয়ার সকল জাতি যদি তাদের সমস্ত কুকীর্তি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়, তাহলে আমরা কেবল হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কুকীর্তি হাজির করেই সকলকে টেক্কা দিতে পারি।” কথাগুলো বলেছিলেন হযরত ওমর বিন আব্দুল আজিজ (র.)।

আজকের সৌদি আরব অর্থাৎ হেজাজের তায়েফ শহরে ৬৬১ সালে জন্ম হাজ্জাজের। তার গোত্রের নাম ছিল বনু সাকিফ। এখানেই আমাদের প্রিয়নবী (সা) ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন মক্কা থেকে। আর ফিরেছিলেন রক্তাক্ত হয়ে। তখন বনু সাকিফ গোত্র পূজা করতো ‘লাত’ দেবীর।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নানা অভিযানে প্রায় এক লাখ থেকে সোয়া লাখ মানুষ মারা যায়। এ কারণে পারস্য ও আরবের কুখ্যাত চারজনের তালিকায় তৎকালীন সময়েই তার নাম উঠে যায়– যারা কি না লক্ষাধিক মানুষ মেরেছেন। ইরানের প্রখ্যাত লেখক আল-সালাবী সে তালিকাটা করেছিলেন।

(দুই)

মক্কা, ৬৯২ সাল। তপ্ত দুপুরে একটি দেহকে ক্রুশবিদ্ধ করে রাখা হয়েছে। মৃতদেহটি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা) এর। ক্রুশে চড়ানোর আগে শিরশ্ছেদ করা হয়। উল্লাস করছিল আশপাশে জড়ো হওয়া সেনারা। অথচ সত্তর বছর আগে, এই আব্দুল্লাহ যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন বহু উল্লাস হয়েছিল মদিনার পথে প্রান্তরে, অলিতে গলিতে। কারণ তিনি ছিলেন হিজরতের পর মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া প্রথম শিশু। আর আজ তার মৃত্যুই উল্লাসের কারণ। এসব হচ্ছিলো যার আদেশে, তিনি মক্কা অবরোধকারী হাজ্জাজ বিন ইউসুফ।
হাজ্জাজ ছিলেন সুবক্তা।

তার চরম ঘৃণাকারীরাও তাকে বুদ্ধিমান, বিশুদ্ধভাষী আর চমৎকার বক্তা হিসেবে অভিহিত করেন। হাসান বসরী (রঃ) এর পর হাজ্জাজ বিন ইউসুফই ছিলেন সেরা বক্তা। এই অত্যাচারী আর খুনী লোকটি কিন্তু একই সাথে ছিলেন কুরআনের হাফেজও। তার প্রতিটি রাত কাটতো কুরআন পড়ে পড়ে। এমনকি আজকের যুগে অনারব মুসলিমরা যে সহজভাবে কুরআন পাঠ করছে, তার কৃতিত্ব হাজ্জাজ বিন ইউসুফের। তিনিই আরবি অক্ষরগুলোর সাথে নুকতা চিহ্নগুলো যোগ করেন কুরআনে!

হাজ্জাজের পরিবার খুব একটা অর্থবান ছিল না। দরিদ্রই বলা চলে। তার মায়ের নাম ছিল ফারিয়া। বলা হয়ে থাকে, তার বাবা চিকিৎসক ছিলেন। তবে দরিদ্র পরিবারটির অন্যান্য সদস্যরা রাজমিস্ত্রী বা পাথর বয়ে নেবার কাজ করতো।

কোনো এক কারণে ছোটবেলায় হাজ্জাজের ডাকনাম হয়ে গিয়েছিল ‘কুলাইব’ বা ‘কুকুরের বাচ্চা’। বলা হয়েছে, তার জন্মের সময় প্রস্রাবের রাস্তা এবং পায়ুপথ ছিল না, অর্থাৎ অপরিপক্ব অবস্থায় তার জন্ম হয়; পরে তা চিকিৎসক দ্বারা ঠিক করিয়ে নেয়া হয়।
জীবনের শেষভাগে এসে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ যে হত্যাকাণ্ডটি করেন সেটি ছিল বিখ্যাত সাইদ ইবনে জুবাইরের। তিনি হাজ্জাজের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। এ বিদ্রোহ দমনের পর সাইদ পালিয়ে যান মক্কায়। কিন্তু তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় হাজ্জাজের দরবারে। হাজ্জাজ নির্দেশ দিলেন সাইদের শিরশ্ছেদ করতে। সেসময় সাইদ বলেছিলেন-

“হাজ্জাজ! মহান আল্লাহর দরবারে আমি তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী হব!” এবং তিনি হাসলেন। হাজ্জাজ হাসির কারণ জিজ্ঞেস করলেন। সাইদ বললেন, “আমার প্রতি তোমার হিংসা আর তোমার প্রতি আল্লাহর ধৈর্য দেখে হাসছি।” সাইদ তিনবার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ পাঠ করেন। প্রথমবার স্পষ্ট শোনা যায়, পরের দুবার অস্পষ্ট। তার মাথা গড়িয়ে পড়লো।

এরপরই হাজ্জাজ বিন ইউসুফ পাগল হয়ে যান। যখনই তিনি ঘুমাতেন, ঘুমের মাঝে সাইদকে দেখতেন, যেন তিনি তার সমস্ত কাপড়চোপড় আঁকড়ে ধরছেন আর বলছেন, “হে আল্লাহর দুশমন! তুমি আমাকে কী জন্য হত্যা করলে?”
হাসান বসরীর কাছে সাইদ ইবনে জুবাইরের হত্যার সংবাদ পৌঁছানোর পর তিনি বলেন,
— “হে আল্লাহ! হাজ্জাজকে তুমি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দাও!”

(তিন)

‘শরীরের ভাব ভালো মনে হচ্ছেনা’। হাজ্জাজ বুঝে ফেলেছেন, সময় তার শেষ। মৃত্যু এখন মাথার উপর। আর কিছুক্ষণ। তারপরই তার চিরদিনের জন্য নিথর হয়ে যাওয়া। কয়েকদিন ধরেই তার শরীর দূর্বল হয়ে আছে।এই শেষবেলায় তিনি সর্বসাধারণকে অনুমতি দিলেন দর্শনের। উৎসুক প্রজারা তাকে ঘিরে বসে পড়েছে চারপাশে। অসুস্থ হাজ্জাজকে হেলান দিয়ে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। চরম অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে তার চেহারা-চাহনীতে। লোকজন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে!নীচু গলায় হাজ্জাজ কথা বলছেন। আজকে আর কোন হুকুম নয়। কারো মৃত্যু পরোয়ানাও নয়। তিনি নিজের কথা বলছেন। মৃত্যুর কথা বারবার জপছেন। কবরের কথা, একাকিত্বের কথা শোনাচ্ছেন মানুষকে। দুনিয়া এবং এর ক্ষণস্থায়ী মেয়াদের কথাও বলছেন। জীবনের এই পড়ন্তবেলায় তিনি নিজের অপরাধ নিয়েও চিন্তিত।

প্রবল শক্তিধর পাষাণ হৃদয়ের হাজ্জাজের চোখে পানি। তিনি কাঁদছেন। হাজ্জাজের মৃত্যু এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ সংবাদে ছুটে আসছে মানুষ। অনেকের সাথে চলে এসেছেন একজন সাধক পুরুষ- আবুল মুনযির। তার পুরো নাম- ইয়ালা বিন মুখাল্লাদ আল মুজাশী। তিনি এসেছেন হাজ্জাজের শেষ বেলার তামাশা দেখতে। এই যালিমটা যাওয়ার আগে কী করে যায়, দেখা দরকার।
তিনি এসে হাজ্জাজকে জিজ্ঞেস করলেন,
— কেমন আছেন? মরণের কষ্ট কেমন লাগে আপনার?
হাজ্জাজের চোখে মুখে আজকে আর রাগ নেই। ব্যথায় কুঁকড়ে উঠছেন তিনি। অসহায়। জোরে কথা বলারও শক্তি নেই। নীচু গলায় তিনি তার প্রশ্নের উত্তর জানালেন–
— জনাব ইয়ালা! অনেক কষ্ট, বিরাট দুশ্চিন্তা, অসহনীয় ব্যথা! মুখের থুথু শুকিয়ে যাচ্ছে- বিপদের আশংকায়! অনেক দূরের যাত্রা এবার, অথচ সাথে কিছু নেই আমার। আমি শেষ! আমি হতভাগা! দূর্ভাগা আমি! শক্তিমান মালিকের দয়া করুণা না পেলে আমি শেষ!
সারাটা জীবন যার ভয়ে তটস্থ থেকেছে রাজ্যের মানুষ। তাকে কিছু কথা শুনিয়ে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। আবুল মুনযির তো আর তামাশা দেখতে আসেননি শুধু, কিছু বলতে এসেছেন, যা তিনি এতদিন মনের ভেতর পুষেছেন।
— “হাজ্জাজ! আল্লাহ পাক শুধু দয়াবান, দাতা এবং কোমল মনের মানুষকে দয়া করেন। যারা তার সৃষ্টিকে ভালোবাসেন, কাছে টানেন। আমি সবাইকে সাক্ষী রেখে বলছি, যে অন্যায় আর নির্যাতন তুমি করেছো মানুষকে, পূণ্যবানদেরকে যেভাবে কষ্ট দিয়েছো, সত্য কথাকে যেভাবে উড়িয়ে দিয়েছো, তাতে তুমি এ যুগের ফেরাউন হয়েছো, তুমি এ সময়ের হামান। জাতির শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোকে তুমি মেরে ফেলেছো, অন্যের কথা শুনতে গিয়ে নিজের স্রষ্টার সাথে অবাধ্য আচরণের দুঃসাহস দেখিয়েছো, আহা! তুমি কত অসংখ্য মানুষকে নিঃশেষ করেছো, কত বুক খালি করেছো, হিংস্র এবং অহংকারের রাজনীতি দিয়ে তুমি শাসন করেছো আমাদেরকে। নিজের দ্বীনকে নষ্ট করেছো, দুনিয়াকেও অতিষ্ঠ করে ফেলেছো। তুমি মারওয়ান গোষ্ঠীকে সম্মান দিতে গিয়ে নিজেকে অপদস্থ করেছো। তাদেরকে সাজাতে গিয়ে নিজের সব শেষ করে ফেলেছো। কোথায় তারা! আজকে তো তারা তোমার জন্য কিছুই করছে না। এ দিনই শেষ। আর কোন দিন নেই তোমার। তুমি এ মুসলিম উম্মাহর সবার উপর বোঝা হয়ে ছিলে, আমাদের আতঙ্ক ও ভয়ের কারণ তুমি ছিলে, আহ! সব প্রশংসা সেই পরম করুণাময়ের, তিনি আজ তোমার মত ত্রাস থেকে আমাদেরকে স্বস্তি দিচ্ছেন। আমরা মুক্ত হচ্ছি তোমার অত্যাচারের কবল থেকে। তোমার লাঞ্চনা থেকে উদ্ধার করে দয়াময় আমাদেরকে আজ ধন্য করেছেন”।
থামলেন আবুল মুনযির। এতক্ষণ ধরে গমগম আওয়াজ থেমে গেল চারপাশেও। যেন ঝড় থেমে গেল। নিঃশব্দ পরিবেশে শুধু শোনা যাচ্ছে উপস্থিত মানুষগুলোর ঘনঘন শ্বাস নেওয়ার শব্দ।

হৃদয়ের আবেগ থেকে ছুটে আসছিল আবুল মুনযিরের কথাগুলো। যেন শত শত বছর কেউ পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিল এ ক্ষোভের উৎসমুখে। শাসক হাজ্জাজ একদম নিশ্চুপ। আজকে তার বলার কিছুই নেই। সময়ও নেই। যার চোখের ইশারায় দেহ-মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত অজস্র প্রজার, সেই হাজ্জাজ শিশুর মতো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে বক্তার দিকে। চেহারাজুড়ে তার হতাশা ছড়িয়ে আছে। আশেপাশের নির্বাক মানুষগুলোও এমন দৃশ্যে পাথর হয়ে আছে। হাজ্জাজ কি কিছুই বলবেন না তাকে!

(চার)

হাজ্জাজ সোজা হয়ে বসতে চাইলেন। আবুল মুনযিরকে কিছু বলার সময় নেই তার। সে তো আর অসত্য কিছু বলেনি। প্রবল ভয় আর অস্থিরতা গ্রাস করেছে হাজ্জাজের ভেতর। তার শ্বাস ভারি হয়ে আসছে। মুখ হা করে কি যেন বলতে চাইছেন তিনি। সবার আগ্রহ তার দিকে। অস্ফুট সুরে হাজ্জাজ কবিতা পড়ছেন, ওগো দয়াময়! তোমার বান্দারা আমাকে হতাশ করে দিল, এমন নিরাশায়- আমি পথ চেয়ে আছি তোমার অসীম করুণার প্রত্যাশায়।’
আওয়াজ থেমে গেছে। মুখ বন্ধ হয়ে এল হাজ্জাজের। বিশ্বকাঁপানো হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ঢলে পড়লেন এক পাশে। তার প্রাণপাখি তখন আকাশের পথে।
৯৫ হিজরীতে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের মৃত্যু হয়। তখন তার বয়স মাত্র ৫৩। পেটের রোগে আক্রান্ত হয়ে তার এ মৃত্যু। বিশিষ্ট তাবেয়ী সাঈদ বিন জুবায়ের (রা.)কে নির্মম ভাবে হত্যার কিছুদিন পর তার এ অসুখের সূচনা এবং এ রোগেই শয্যাশায়ী ছিলেন। মৃত্যুর সময়টায় তিনি বাস করতেন ইরাকের বাগদাদ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে ওয়াসিত নামক একটি মনোরম ছোট্ট উপদ্বীপে। এ শহরটি তিনি নিজেই নির্মাণ করিয়েছিলেন প্রায় আট বছর ধরে।
হাজ্জাজের মৃত্যু সংবাদে সিজদায় লুটিয়ে পড়েছিলেন ঐ সময়ের বেঁচে থাকা বুযুর্গ এবং তাবেয়ীরা।
প্রখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রহ. বলতেন, ‘হাজ্জাজ আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব। তোমরা এ আযাবকে শক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে যেও না। আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি ছাড়া এ থেকে পরিত্রাণের কোন পথ আর খোলা নেই।’
সাইদকে হত্যার এক মাসের মাঝে এবং হাসান বসরির কাছে সাইদ ইবনে জুবায়ের এর হত্যার সংবাদ পৌঁছানোর তিনদিনের মাঝে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মৃত্যুবরণ করেন। এ খবর হাসান (রঃ) জানার পর খুশিতে সিজদায় পড়ে যান।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের শেষদিককার বাণী ছিল,
–“হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও! কারণ, জনগণ ধারণা করে তুমি আমাকে ক্ষমা করবে না। জনগণ আমার আশা কেড়ে নিতে চায়, কিন্তু তোমার প্রতি আমার আশা কখনোই হারাবে না।”
এ ব্যাপারে হাসান বসরি (রঃ) বলেন,
— “আল্লাহর কসম, যদি হাজ্জাজ নাজাত পায়, তবে এ দোয়ার দ্বারাই পেয়ে যাবে।”
প্রবল রক্তপাতকারী হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কখনো সাহাবী-হন্তারক নামে ঘৃণিত, আবার কখনো সিন্ধু বিজয় আর তার কুরআন-প্রেমের জন্য প্রশংসিত ছিলেন।
মলি, বগুড়া
২৮ জুলাই/২০২১ ইং

লেখকঃ লেখকঃ সাহিত্যিক ও কলেজের শিক্ষক

লেখকের আরও পড়ুন-

মহিলাদের জ্ঞান অর্জন

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ: ইতিহাসের নির্দয় আর বিতর্কিত এক শাসকের আদ্যোপান্ত

 

আরও পড়ুন