।। ড. মো. নূরুল আমিন ।।
সম্প্রতি সৌদি আরবের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি ছোট শহরের একটি হাসপাতালে কর্মরত বাংলাদেশী একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা হলো। তার কাছে দেশটির যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় বিশেষ করে জে¦না-ব্যভিচার, পারিবারিক কলহ, মাদকাসক্তি প্রভৃতিজনিত রোগব্যাধি এবং গৃহপরিচারিকা হিসেবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া নারী প্রবাসীদের এক করুণ অবস্থা সম্পর্কে জেনে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছি। সৌদি আরব সারা দুনিয়ার প্রায় দু’শ’ কোটি মানুষের দৃষ্টিতে একটি অতি পবিত্র ভূমি; এই দেশটির সরকার বিশ্বের বৃহত্তর ও প্রাচীনতম মসজিদ, আল্লাহর ঘর মসজিদুল হারাম ও মসজিদুন নববীসহ রাসুল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ এবং খোলাফায়ে রাশেদীন ও তাঁদের স্মৃতিধন্য অগণিত কীর্তি তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত। এ পুণ্যভূমি জেয়ারত এবং হজ¦ ওমরাহ পালন বিশ^ব্যাপী মুসলিম মানসের প্রধানতম লক্ষ্য। এই হিসাবে তারা আরব নামটিকে যেমনি শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করে তেমনি পবিত্র কুরআন নাজিল ও রাসুল (সা.)-এর জন্ম ও কর্মস্থান হিসেবেও তাকে সম্মান করে এবং দেশটির মানুষকে আদর্শ মানুষের চোখে দেখে। কিন্তু দেশটির অবস্থা এখন হতাশ হবার মতো। বাংলাদেশী তরুণ ডাক্তারের মতে, হাসপাতালে তার কাছে যত রোগী আসে তার বেশির ভাগই মহিলা গৃহকর্মী, গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীর প্রচণ্ড মারধরের শিকার, কেউ যৌন রোগী, কেউ দিনের পর দিন খাদ্য বঞ্চিত পুষ্টিহীন হাড্ডিসার রোগী আবার অনেকে আছেন যারা গর্ভপাত করাতে আসেন। তাদের অধিকাংশ অবিবাহিতা, গরীবর ঘরের মেয়ে জীবিকার তাড়নায় গৃহপরিচারিকার চাকরি নিয়ে সৌদি আরব আসেন। গৃহকর্তা ও তাদের যুবক ছেলেদের যৌন লালসার শিকার হয়ে গর্ভপাতের জন্য হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়, আবার বিবাহিতা হোক বা অবিবাহিতা, তারা এমন সব রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসে যেসব রোগ যৌন সংসর্গ ছাড়া হতে পারে না। কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাদের সবার একই উত্তর, তারা যৌন সহিংসতার শিকার। এই অবস্থার প্রেক্ষাপটে এই চিকিৎসক বিদেশে সরকারকে নারী গৃহপরিচারিকা প্রেরণ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-
বলা নিষ্প্রয়োজন যে, গত এক যুগেরও বেশি দিন ধরে বিদেশ, বিশেষ করে সৈাদি আরব প্রত্যাগত শত শত নারীকর্মী পরিবার কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিভিন্ন স্থানে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজন তাদের গ্রহণ করছে না। তাদের অনেককেই তাদের স্বামী তালাক দিয়েছেন অথবা পরিত্যাগ করেছেন বলে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের আশ্রয় দিচ্ছে না। ফলে অনেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত ছয় মাসে কর্মক্ষেত্রে বিরূপ পরিবেশ বিশেষ করে যৌন ও শারীরিক নির্যাতন এবং মজুরি প্রদানে অস্বীকৃতি ও হয়রানি প্রভৃতি কারণে সহস্রাধিক নারীকর্মী বাংলাদেশে ফেরৎ এসেছে। এদের মধ্যে শুধু মে মাসেই ফেরৎ এসেছে ১২১ জন। পত্রিকাটিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কয়েক মাস আগে শান্তা রাণী নামে একজন বিধবাও পরিবারের আর্থিক সংকট লাঘবের জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন। কিন্তু গৃহকর্তার যৌন হয়রানির কারণে তিনি সেখানে টিকে থাকতে পারেননি, কপর্দকহীন অবস্থায় ফিরে আসতে বাধ্য হন। তার দুই ছেলে এক মেয়ে। দেশে ফিরে আসার পর তার ছেলেরা তাকে অসতী হবার অজুহাতে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করে। শান্তা বলেছেন যে তার ছেলেরা এখন তাকে চরিত্রবতী মহিলা হিসাবে গণ্য করে না এবং বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তার বাড়ি রাজশাহী। সে এখন রাজধানী ঢাকার রিক্সাওয়ালাদের ভাত রান্না করে বহু কষ্টে মেয়েকে নিয়ে একটি বস্তিতে থাকে।
আরও পড়ুন-
সখিনা নামক সৌদি প্রত্যাগতা আরেক নারী কর্মীও ইতোমধ্যে স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্তা হয়েছে। সৌদি আরবে থাকাকালে গৃহকর্তার সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে। সখিনার ভাষ্য অনুযায়ী বহু অনুনয় বিনয় করে সে তার স্বামীকে এ কথা বুঝাতে পারেনি যে ইচ্ছাকৃতভাবে সে কোনও অনৈতিক কাজ করেনি। সে জানিয়েছে যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বাররাও তার কথা শুনেনি এবং তালাকের পক্ষে তার স্বামীকে পরামর্শ দিয়েছে। সে এখন তার দুই সন্তান নিয়ে বিধবা মায়ের সাথে বাপের বাড়িতেই থাকছে। সাবিনা নামে আরেকজন সৌদি প্রত্যাগত গৃহকর্মী স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ী কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন বোনের বাড়িতে থাকছে। তার পঙ্গু স্বামী কোনও কাজকর্ম করতে পারে না। সংসারের আয় বৃদ্ধির জন্য সাবিনা সৌদি আরব গিয়েছিল। সে জানিয়েছে যে, সেখানে সে যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়, সে কাজ করেছে কিন্তু মজুরি পায়নি। মজুরি দাবি করায় গৃহকর্তা সপরিবারে তার ওপর হামলা করেছে। ব্র্যাক-এর মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল ইসলাম ভুক্তভোগী মহিলাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন যে, তাদের বেশিরভাগকেই পরিবার প্রত্যাখ্যান করছে। দৃষ্টান্ত হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, একজন মহিলা বিমানে সৌদী থেকে ফিরে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার স্বামীর জন্য এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করেছে কিন্তু তাকে নেয়ার জন্য স্বামী সেখানে আসেনি। বিষয়টি জানার পর ব্র্যাক কর্মকর্তারা তার পিতা এবং ভাইকে তাকে নিয়ে যাবার জন্য এয়ারপোর্টে আসতে টেলিফোনে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারাও তাকে নিতে অস্বীকার করেন। এই মহিলা বাধ্য হয়ে বিমানবন্দরে রাত্রি যাপন করেন। পরে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাকে একটি আশ্রমে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এই হচ্ছে অবস্থা। যে সংসার গড়ার জন্য, দু’পয়সা রোজগার করে সুখে শান্তিতে থাকার জন্য তারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন আজ বিদেশ থেকে ফিরে এসে তারা সেই সংসারেই ঠাঁই পাচ্ছেন না। গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তারা প্রবাসে গৃহকর্তা, গৃহকর্ত্রী এমন কি তার ছেলেমেয়েদের দ্বারাও নিগৃহীত হয়েছেন। এখন দেশে ফিরে এসে স্বামী, সন্তান, বাপ, ভাই কারুর কাছেই আশ্রয় পাচ্ছেন না। সামাজিক কলঙ্ক চার দিক থেকেই তাদের ঘিরে ফেলেছে। মধ্যপ্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দেশসমূহে নারী গৃহকর্মীদের ওপর যৌন নির্যাতন আজকের নতুন কোনও ঘটনা নয়। এই নারীরা অসহায়। তাদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অনেকেই তাদের ভোগের বস্তুতে পরিণত করতে চায়। আর যেহেতু এই নারীকর্মীরা মাসিক মজুরির বিনিময়ে বাসাবাড়িতে চাকরি করে সেহেতু অনেক গৃহকর্তা গৃহকর্ত্রী ও তাদের পরিবার সদস্যরা তাদের সাথে ক্রীতদাসের মত ব্যবহার করে। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে যৌনদাসী বানিয়ে নেয়। তাদের কথামত না চললে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। কঠোর পরিশ্রম করে তাদের ঘর-সংসারের কাজও করতে হয়। আবার নুন থেকে চুন খসলে গৃহকর্মীদের পিটুনিও খেতে হয়। এই অসহায় মেয়েদের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসে না। প্রত্যেক দেশেই বাংলাদেশের একটি দূতাবাস আছে এবং এই দূতাবাসে প্রবাসী শ্রমিকদের সুবিধা অসুবিধা দেখার জন্য একজন লেবার এটাচি থাকেন। দুর্ভাগ্যবশত এই কর্মকর্তারা নারী শ্রমিকদের দুর্দশায় কখনো এগিয়ে আসছেন বলে শোনা যায়নি।
যৌন হয়রানির অভিযোগে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কিছু দেশ যখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নারীকর্মী সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তখন বাংলাদেশে পলাতক খুনি হাসিনা সকারের কিছু দলীয় নেতা ও কিছু কর্মকর্তা সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য এবং কোন কোন ক্ষেত্রে টু পাইস কামানোর লক্ষ্যে নারীকর্মী রফতানির ব্যবসায়টি হাতে নিয়ে নেয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এক্ষেত্রে নিজেই উদ্যোগ নেন এবং লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে স্বল্প খরচে মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক প্রেরণ করেন। তখন এসব দেশে যৌন নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়েছিল যে যেখানে ফিলিপাইন এবং শ্রীলঙ্কার ন্যায় অমুসলিম দেশ তাদের মেয়েদের সম্ভ্রম রক্ষার স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক প্রেরণ ‘বন্ধ’ করে দিয়েছে সেখানে বাংলাদেশের ন্যায় একটি মুসলিম দেশের রক্ষণশীল পরিবেশে বেড়ে ওঠা নিরীহ গ্রামীণ মেয়েদের সেখানে পাঠানো কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে। সরকার বিষয়টির প্রতি কর্ণপাত করেননি। মহরম পুরুষ ছাড়া যেখানে মুসলমান মেয়েরা বাইরে যাবার রেওয়াজ নেই সেখানে রোজগারের জন্য একা তাদের বিদেশ প্রেরণের বিরুদ্ধে একটা জনমতও গড়ে উঠেছিল। সরকারের তরফ থেকে এ ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই এক সাথে বিদেশ প্রেরণের টোপ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। নারী শ্রমিক সরবরাহের পর থেকেই তাদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তারা দেশে ফিরে নির্যাতনের করুণ চিত্রও তুলে ধরেছিলেন। তৎকালীন সরকার বিনা তদন্তে বলেছিলেন যে অভিযোগগুলো সব মিথ্যা। যদিও ‘মিথ্যা’ বলার ভিত্তিও তারা তৈরি করতে পারেননি। সরকারের উচিত ছিল অভিযোগ পাবার পরপরই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করে এর প্রতিকার করা, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা তা করেননি। আমার মনে আছে ১৯৯৬ সালে সৌদি আরবে ফিলিপাইনের এক নারী গৃহকর্মীর উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। ফিলিপাইন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সৌদি সরকারের নজরে এনে তার প্রতিকার কামনা করেন। ফিলিফাইন সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণে সৌদী সরকার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করেন। আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের সরকার তা করেননি বা করছেন না। এটা হচ্ছে যে সব নারীকর্মী ফিরে এসেছে তাদের কাহিনী। কিন্তু যারা ফেরৎ আসতে পারেনি তাদের অবস্থা কী? তাদের কি যৌন দাসী হয়ে থাকতে হচ্ছে না আমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে? প্রবাসী পুরুষ কর্মীদের অনেকেই তাদের করুণ অবস্থার বর্ণনা দিয়ে সামাজিক মিডিয়ায় তথ্য সরবরাহ করছেন। এটা ভয়াবহ। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে প্রায় ১৪ হাজার গৃহকর্মী কাজ করছেন। এদের মধ্যে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা এবং স্বামী পরিত্যক্তা অনেক মহিলা রয়েছেন। অবিলম্বে এদের খোঁজ-খবর নেয়া দরকার। আমাদের মেয়েদের মান-সম্মানের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য পয়সার জন্য তারা তাদের সম্ভ্রম হারাবেন এবং নির্যাতনের শিকার হবেন তা হতে পারে না। তাদের নিরাপত্তা প্রদান এবং বৈরি পরিবেশ থেকে অবিলম্বে মহিলা গৃহকর্মীদের দেশে ফিরিয়ে এনে যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সাথে সাথে এখন থেকে বিদেশে নারীকর্মী প্রেরণ বন্ধ করারও দাবি জানাচ্ছি। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশবাসাীর এই প্রত্যাশা খুব বড় প্রত্যাশা নয়। এটা তাদের নৈতিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
লেখকঃ প্রাবন্ধিক , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দৈনিক সংগ্রাম
…………………………………………………………………………………………………………………………
মহীয়সীর প্রিয় পাঠক! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল, আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ গল্প ও কবিতা পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেইজ মহীয়সী/Mohioshi-তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হ্যাঁ, মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইল-
[email protected] ও [email protected] -এ; মনে রাখবেন, “ধন দৌলত খরচ করলে কমে যায়, কিন্তু জ্ঞান বিতরণ করলে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়”। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকেই দ্বীনি জ্ঞান দান করেন।” (সহিহ বুখারী- ৭১, ৩১১৬, ৩৬৪১, ৭৩১২, ৭৪৬০; মুসলিম- ১০৩৭; ইবনে মাজাহ- ২২১) ।
মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম; আজই আপনি যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে। আসুন, ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি। আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমীন।