Ads

একজন গুরাবা বোনের দাঈ ইলাল্লাহ্ হবার গল্প

।। উম্মে হানী বিনতে আলী ।।

একজন গুরাবা বোনের দাঈ ইলাল্লাহ্ হবার গল্প এর সারসংক্ষেপ বলব আজ……

২০১০ সাল – বোনের দাওয়াহ’র কাজের সূচনালগ্ন। তখন তিনি অধ্যয়নরত ছিলেন মাধ্যমিক পর্যায়েই। তাঁর বাবাকে দেখে শেখা এবং পরোক্ষভাবে শেখেন ডা.জাকির নায়েককে দেখে। ‘১০ এ বোনের বাসায় প্রথম টেলিভিশন আসে,তখন প্রচুর Peace Tv তে দিন-রাত লেকচার চলতো। বাবা,মেয়ে,পরিবারের সবাই মিলে লেকচার শুনতেন,দেখতেন। কিন্তু আগ্রহ ধরে রাখতেন শেষ পর্যন্ত ঐ বোন ও তাঁর বাবা।এক পর্যায়ে শ্রদ্ধেয় জাকির স্যারের সমস্ত কাজ বোনকে এতো অনুপ্রাণিত করলো যে তার সত্তায় এমন স্বকীয়তা লালন করতে শুরু করলেন। শ্রদ্ধেয় জাকির নায়েক স্যার ও তার ছেলে ফরিক নায়েককে দেখে দেখে এতোকিছু শিখেছেন সেই বোন সুব’হানাল্লাহ্!

সেই গুরাবা বোনের অফলাইন জীবনে এতো এতো দাওয়াহ’র কাজ হয়ে গেছে মাধ্যমিক পর্যায় থেকে আন্ডার গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত সুব’হানাল্লাহ্! আল্লাহ্ আজ্জা ওয়া জাল্লা তাঁকে আগলে রাখুন, এই ফিল্ডে তাকে আড়ালেই রাখুন ভয়ার্ত শকুন*দের ছোবল থেকে।

আরও পড়ুন- কর্মক্ষেত্রে নারীর পদচারণা : ইসলামী মূলনীতি ও সতর্কতা

বোনের নির্ভীকতা সাহসিকতা এই নব্য জাহেলিয়াতের উত্তপ্ত মরুভূমিতে প্রশংসার দাবি রাখে।কিন্তু তাঁকে কখনো প্রশংসা কুড়াতে দেখিনি,তাকে কখনো ক্রেডিটের পেছনে ছুটতে দেখিনি,তাঁর অসংখ্য কাজ ইসলামিক বিভিন্ন সাইটে ছড়ায়ে আছে কিন্তু গুরাবা পরিচয়েই তিনি দ্বীনের কাজগুলোই করে যাচ্ছেন আল্লাহর থেকে সরাসরি প্রাপ্তির আশায় আখিরাতের বুনিয়াদ বাড়াতে। রব্ব কখনোই যেন তাঁর মধ্যে রিয়াহ্(অহংবোধ) না আনে। তাক্বওয়ায়, আখলাকে, ইখলাসে বিশুদ্ধ কোমলপ্রাণ রাখুক উনাকে আমৃত্যু।

সেই বোন বেশ ক’জনকে শাহাদাহ্ পাঠ করিয়েছেন আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে। তাঁর ক্ষুদ্র জীবনে এ কাজে সবথেকে আত্মতৃপ্তি পেয়েছেন,পান। আর তাঁর সাদকায় জারিয়াগুলো চলমান থাকুক আমৃত্যু। তন্মধ্যে দাম্পত্য জীবনের জন্য কাজ করে যাওয়া,ম্যাচমেকিং এ উনি এতো এতো সফলতা কুড়িয়েছেন যা অকল্পনীয়। তিনি যখন উচ্চ মাধ্যমিকে আসেন তার আগেই এ কাজ শুরু।আজ কতো কতো দ্বীনি দম্পতিদের দু’আ পাচ্ছেন তিনি। তিনি মারা গেলেও এ সাদকায়ে জারিয়া চলমান থাকবে এটা ভাবলেই বিমোহিত করে বিষয়টি। দু’টো মানুষের মেলবন্ধনে কতো কতো প্রজন্মের আগমন আসে, তাদের জীবনেও এ ছাপ থেকে যাবে। বোনকে রব্ব হেফাজতে রাখুন।

আরও পড়ুন- যে আয়াত জাপানের ড. আতসুশিকে মুসলিম বানাল

বোনের বাবার জীবনের সূর্য চলমান থাকাকালীন দু’আ দিয়ে গেছিলেন এতো এতো এতো যে রাব্বুল আরশীল আযীম সেই বোন কে শুধু দেশে না বড় বড় মুসলিম দেশেও কবুল করেছেন অনলাইন দাওয়াহ্ প্লাটফর্মে। মাশা-আল্লাহ! আল্লাহুম্মা বারিক লাহা। তিনি মাদিনায় হালাকাতেও ছিলেন বেশ কয়েকবার অনলাইন মাধ্যমে।

তিনি শুধু এক আল্লাহর বান্দী পরিচয়ে আড়ালে দিন গুজরান করছেন এসব কাজে কাজে। তিনি দুনিয়ায় সেলিব্রেটি কেউ না,সেলিব্রেটিদের সাথে তাঁর ওঠাবসাও নেই। তাঁকে তার নামে কাছ থেকে চেনা লোকের সংখ্যা খুবই সামান্য। আর যারা সেই বোনকে চেনেন জানেন তারাও তেমন কিছু ধরতে পারেননা জানেননা কিভাবে কি হচ্ছে কেমন করে রব্ব তাকে দিয়ে করায় নিচ্ছেন যেন ভালোবেসে তা মালিকই ওয়াকিবহাল। আমিও দু’আ করি সেই বোনকে রব্বে কারীম আড়ালেই হেফাজতে রাখুন। লোকসম্মুখে না আসুক তিনি।

বোনের জীবনে সবরের পরীক্ষার শেষ নেই কিন্তু তিনি মোটেও পেরেশান না রবের ফায়সালাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেননা।তিনি বিশ্বাস রাখেন এতসব সবরের পরীক্ষার পর রব্ব উনাকে উত্তমভাবে পুরুষ্কৃত করবেনই ইনশাআল্লাহ্।আমরা আসুন দু’আ করি সেই বোন যেন শীঘ্রই ।

আরও পড়ুন- ‘দাঈ’র জ্ঞান ও গুণাবলি

লেখকঃ কলামিস্ট ও ইসলামী কন্টেন্ট রাইটার 

মহীয়সীঃ একজন গুরাবা বোনের দাঈ ইলাল্লাহ্ হবার গল্প টা অসাধারণ । টিভি দেখতে দেখতে ও জাকির নায়েকের পিস টিভির লেকচার শুনতে শুনতে গড়ে উঠলেন একজন নারী দায়ী । আজ যদি জাকির নায়েকের পিস টিভি  বন্ধ না হতো তাহলে আমাদের বিশ্বাস শুধু বাংলাদেশ ও ভারত না পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় সঠিক ইসলামের প্রচার হতো অনেক  ভালোভাবে । মানুষ ইসলামকে ভালো ভাবে বুঝতে পারত অনেকে হয়ে উঠত দাঈ ইলাল্লাহ্ । একজন দাঈ ইলাল্লাহ্ -র দাওয়াত  পেয়ে আল্লাহর পথে ফিরে আসতো অনেক অজ্ঞ মুসলিম ইনশাল্লাহ ।

আরও পড়ুন