Ads

দ্বীনে ফেরার কল্পনা

।। মনিরুল ইসলাম ।।

চিরচেনা শহর থেকে, একটু দূরে যাচ্ছি। সফরে আছি, রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। তবুও কি! অচেনা রাস্তার মাঝ পথে থেমে গেলেতো, সেই খানে আর যাওয়া হবে না। আর সেই খানে যেতে যেতে, ভীষণ ক্ষুধার্থ। আবার অন্য ভয়, যদি গাড়িতে দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে কি হবে?? পকেটেও দেখছি খুব অল্প টাকা রয়েছে। বন্ধুদের সাথেও আড্ডা দিতে হবে। কি যে করি!

এতসব চিন্তায় মস্তিষ্ক অনেকটাই ব্যাতিব্যাস্ত যার জন্য একটু প্রশান্তিও কাজ করে না। একটার পর একটা উটকো ঝামেলা, আর অনধিক চিন্তাই সুখ নামক শব্দটাকে কাছে ভিড়তে দেয় না। এভাবে চলতে চলতে অমূল্য সম্পদ কে ভুলে গিয়েছি। ভুলে গিয়েছি আমার সৃষ্টি কর্তা আর যাদের মাধ্যমে এই রঙিন পৃথিবী দেখা, ঠিক তাদেরকে। ভাবছি বক্র পথে না থেকে, ওই রবের দেয়া সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলবো। আর এটাই হওয়া উচিত।  আমাকে যে সৃষ্টি করেছে, পথ চলাটাতো তারই ইচ্ছে মত হতে হবে।

“যিনি দেখিয়েছেন সহজ, সরল পথ” । ইসলামের ইতিহাসের পাতা ঘাটলে,  সহজ সরল পথ বা সিরাতুল মুস্তাকিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। তাহলে ইসলামের ইতিহাস থেকে একটা ঘটনা বলা যাক, বর্তমানে যিনি আমাদের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর রা.। কথিত ছোট থেকেই শোনা যায়, তিনি যে পথ দিয়ে হাঁটতেন। সে পথ দিয়ে শয়তানও ভয়ে হাঁটতেন না। তিনি অনেক সাহসী পুরুষ ছিলেন।  সবাই তাকে বীর বলেই চেনে।

তিনি যখন বক্র পথের পথিক। তখন তিনি কাফের ছিলেন। এবং সকল কাফেরদের মধ্যে একমাত্র তিনিই রাসূল সা. কে হত্যার জন্য সাহস যুগিয়েছিলেন। একটু কল্পনা করা যাক, কতটা সাহস থাকলে এরকম বক্র চিন্তা মাথায় আসে। আর এটাকেই বলা হয় বক্র পথ ও মত।

অতঃপর আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ সা. ইসলামকে সমুন্নত ও দ্বীনকে সবার দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়ার জন্য এরকম সাহসী ও ক্ষমতাসীন ব্যক্তির জন্য রব্বুল ইজ্জতের কাছে প্রার্থনা করেন। যাতে করে রবের পক্ষ থেকে দেয়া দাওয়াত পৌঁছে দেয়া সহজ হয়। অতঃপর রব্বুল ইজ্জত এ প্রার্থনা কবুল করেন। অর্থাৎ ওমর রা. কাফের থেকে মুসলিম হলেন। বলা যায়,  বক্র পথ থেকে সহজ সরল পথ বা সিরাতুল মুস্তাকিম পথে দাখিল হলেন।।

পরিশেষে, তিনিই আমাদের দ্বিতীয় খলিফা সেই ওমর রা.।  মূলত এটাই হলো বক্র আর সহজ সরল বা সিরাতুল মুস্তাকিম পথের পার্থক্য। এরকম হাজারো চিত্র আমাদের সমাজে দেখতে পাওয়া যায়।  কেননা,  সহজ সরল পথ বা সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ যে আমাদের রবের দেয়া পথ ও মত। তাই এই পথে রয়েছে অনাবিল সুখ ও অফুরন্ত নেয়ামত। কত সুন্দর একটি পথচলা প্রস্তুত করে রেখেছেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা।

এ পথে চললে দুনিয়ায় পাওয়া যাবে সুখ, শান্তি, সম্মান  আর অফুরন্ত নেয়ামত।  ঠিক তেমনি পরকালে রয়েছে মহান রবের পক্ষ থেকে দেয়া মহাপুরুষ্কার।

লেখকঃ

শিক্ষার্থীঃ মনিরুল ইসলাম

বিভাগঃ ধর্মীয় তত্ব এবং ইসলামিক স্টাডিজ।

ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (অধীনে)

 

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সমাজ, পরিবার ও নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য নানা ধরণের

আর্টিকেল পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi এ লাইক দিন  এবং

আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম এ যুক্ত হয়ে আমাদের সাথেই থাকুন ।

 

আরও পড়ুন