Ads

নতুন চাঁদ, অবজারভেশন না-কি ক্যালকুলেশন?

আশরাফ আল দীন

বর্তমানকালের মুসলমান সমাজের একটি বিরাট অংশ নতুন চাঁদ (New Moon) নির্ধারণ নিয়ে গভীর সমস্যায় নিমজ্জিত। প্রধাণত: আলেম সমাজ। ফলে, জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একভাগ বলছে, নতুন চাঁদ দেখার বিষয়টি হিসাবের বিষয়, বা ক্যালকুলেশন (Calculation)-এর বিষয়। আর, অন্যদল বলছে, এটা নিতান্তই (আপন চোখে) দেখার বিষয়, বা অবজারভেশন (Observation)-এর বিষয়।
আল্লাহর রাসূলের দঃ সময় ক্যালকুলেশনের কোন প্রকার উপায় বা আয়োজন ছিল না। তখন সবকিছুই অবজারভেশন-এর ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়েছে, সম্পন্ন হয়েছে। বরং বলা যায়, আল্লাহর রাসূল দঃ নিজে অবজারভেশনের ভিত্তিতে সব কাজ করেছেন, কারণ সেকালে ক্যালকুলেশনের কোন অস্থিত্ব ছিল না।

তিনি মদিনায় নিজের চোখে বা অন্যদের দেখার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে নতুন চাঁদের উদয় ‘দেখেছেন’ অথবা দূরাগত কোন মরুচারী বেদুঈনের মুখে সংবাদ পেয়ে, যে ‘তিনি চাঁদ দেখেছেন’, এই সংবাদ গ্রহণ করে তিনি (আল্লাহর রাসূল দঃ) নতুন চান্দ্রমাস শুরু করেছেন। আবার, তিনি সেহরি ও ইফতার করেছেন খোলা চোখে আকাশের অবস্থা দেখে, অবজারভেশনের ভিত্তিতে।

এটাকে যদি আমরা সুন্নাতে রাসূল সাঃ হিসেবে গ্রহণ করি, তাহলে বলতে হবেঃ আমাদের জন্য আল্লাহর রসুলের দঃ দৈনন্দিন ব্যবহারিক সুন্নাত হলোঃ আকাশ দেখে সুবহে সাদেকের সময় নির্ধারণ করা, আকাশ দেখে ফজর এবং মগরেবের নামাজ পড়া, নিজের চোখে সূর্যের অবস্থান দেখে অথবা মেঘাচ্ছন্ন দিনে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে জোহর ও আসরের নামাজ পড়া।

পবিত্র কোরআনেও এর নির্দেশনা আছে। যেখানে বলা হয়েছেঃ

“—তোমরা পানাহার অব্যাহত রাখতে পারো যতক্ষণ পর্যন্ত রাতের অন্ধকার রেখার ভেতর থেকে ভোরের শুভ্র আলোকরেখা তোমাদের জন্য পরিষ্কার প্রতিভাত না হয়, অতঃপর তোমরা রাতের আগমন পর্যন্ত রোযা পূর্ণ করে নাও, — (২:১৮৭)

আল্লাহর এই আদেশের আলোকে আল্লাহর রাসূল দঃ এবং তাঁর সাহাবীগণ সুবহে কাজেব থেকে সুবহে সাদেককে পৃথক করেছেন আকাশ দেখে ও অনুমানের ভিত্তিতে, অবজারভেশনের মাধ্যমে; ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে নয়।

একই আয়াতের পরবর্তী নির্দেশনা “–রাতের আগমন পর্যন্ত রোযা পূর্ণ করে নাও, –” এর উপর আল্লাহর রাসূল সাঃ এবং তাঁর সাহাবীগণ আমল করেছেন সূর্য ডোবার সাথে সাথেই ইফতারের আয়োজন করে। এ সম্পর্কে আমরা হাদিস ও সালফে-সালেহীনের আমল থেকে জেনেছি।
(যদিও “রাতের আগমন” কথাটাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে কেউ কেউ ভিন্নমত হিসেবে সন্ধ্যা থেকে রাতকে আলাদা করে, একটু দেরী করেই, ইফতার করেন। সেটা নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করছি না। আমরা বরং আলোচনা করছি নবীজীর সাঃ ব্যবহারিক সুন্নাতের।)
একথা ঠিক যে রাসূলুল্লাহ সাঃ ইফতার করেছেন অবজারভেশন-এর মাধ্যমে (মেঘাচ্ছন্ন দিনে) সূর্য্য ডুবে যাওয়া আন্দাজ করে অথবা (মেঘমুক্ত পরিচ্ছন্ন দিনে) সরাসরি দিগন্তরেখার নীচে সূর্যের ডুবে যাওয়া প্রত্যক্ষ করে।
সুতরাং আমাদের জন্যও একই ভাবে অবজারভেশন-এর মাধ্যমে সময় যাচাই করে সেহরি ও ইফতার করাই হবে আল্লাহর রাসূলের দঃ সুন্নত এবং এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাত্যহিক সুন্নাত।

অথচ, হাতের কাছে ঘড়ি এবং ক্যালেন্ডার পেয়ে এখন আমরা সেই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতকে অবলীলায় ছেড়ে দিয়েছি! বরং কেউ সেই সুন্নাত পালনের পক্ষে কথা বললে আমরা তাকে ‘বোকা’ হিসেবে চিহ্নিত করছি। কারন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অতি সূক্ষ হিসাব বা ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে এই ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ঘড়ি একটি নব আবিষ্কৃত যন্ত্র হলেও তার উপর আমরা পরিপূর্ণভাবে আস্থা এনেছি।

আল্লাহর রাসূলের দঃ সময় অথবা খোলাফায়ে রাশেদার সময় ঘড়ি বা ক্যালেন্ডার ছিল না। তখন ইতিহাস রচনা করা হতো অন্য উপায়ে। দিন-তারিখ-সাল উল্লেখ করে নয়; বরং কোন মশহুর ঘটণার রেফারেন্স দিয়ে। দৈনন্দিন সময়ের হিসাব করা হতো অবজারভেশনের মাধ্যমে, ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে নয়। হিজরী সাল গণনা শুরু হয়েছে হিজরত প্রকৃতপক্ষে সংঘটিত হওয়ার অনেক বছর পরে। আল্লাহর রাসূলের দঃ পরবর্তীকালে ঘড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে। যার ফলে মসলমানদের জন্যেও ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’ ও সময়ের হিসাব-নিকাশ সহজ হয়ে গেছে।

পরবর্তীকালে, সূর্যের উদয়-অস্তের দৈনিক, মাসিক ও বাৎসরিক হিসাব করে সৌর ক্যালেন্ডার আবিষ্কৃত হয়েছে এবং এই হিসাব এত নিখুঁতভাবে করা হয়েছে যে, আমরা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচীসহ নামাজের “চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার” তৈরি করে তা গ্রহণ করেছি এবং অনুসরণ করছি।
এই গ্রহণ করার মাধ্যমেই, In the true sense of the term, আমরা অবলীলায় আল্লাহর রাসূলের দঃ প্রাত্যহিক সুন্নাতকে ছেড়ে দিয়েছি! মুসলিম উম্মাহ এতে কোনো বিবাদ করে নি। কেউ কেউ দ্বিমত করলেও সময়ের বিবর্তনে সেটা টিকে থাকেনি। এখন সমগ্র মুসলিম জাহান সৌর-ক্যালেন্ডার এবং ঘড়ির অনুসরণ করে নামায আদায় করছে বিগত কয়েক শত বছর ধরে।

একইভাবে অবজারভেশনের ভিত্তিতে চাঁদ দেখা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল দঃ বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো।” তিনি তাঁর সাথীদের নিয়ে রমজানের নতুন চাঁদ দেখেছেন এবং দোয়া করেছেন। এটাই তো সুন্নত!
এটা ছিল অবজারভেশন। আবারও বলে রাখি, নবীজির দঃ সময় ক্যালকুলেশনের কোন পদ্ধতি মানুষের জানা ছিল না।

এই অবজারভেশনের ব্যাপারেও আল্লাহর রাসূলের দঃ উদারতা এতটাই ছিল যে, তিনি মদিনায় চাঁদ না দেখে রোজা শুরু করে দেওয়া সত্ত্বেও দিনের প্রায় শেষ অংশে বহুদূর থেকে আসা একজন মরুচারী বেদুঈনের নিকট থেকে যখন সাক্ষ্য পেলেন যে, সেই বেদুঈন তার পূর্ব রাত্রিতে অনেক দূরে মরুভূমিতে চাঁদ দেখেছেন, আল্লাহর রাসূল দঃ তাঁর সাথীদেরসহ নিজে রোজা ছেড়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি নতুন চাঁদ দেখার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তাই, তাঁর ‘অবজারভেশন’ নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটা বিস্তৃত হয়েছিল সাক্ষী প্রমাণ পাওয়া পর্যন্ত। আবারো বলছি, সেই সময় চন্দ্রের হিসাবের কোন ক্যালেন্ডার ছিল না।

ঘড়ি ও সৌর পঞ্জিকা (Solar Calender)-এর মতো পরবর্তীকালের মানুষ চান্দ্র পঞ্জিকা বা লুনার ক্যালেন্ডার (Lunar Calender) তৈরি করেছে। এটা সংগঠিত হয়েছে আল্লাহর রাসূলের দঃ ওফাতের বহু বছর পর।

বর্তমানকালে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অতি সূক্ষভাবে সারা বছরের চাঁদের ঘূর্ণন, কৌণিক অবস্থান, নতুন চাঁদের জন্ম, পূর্নিমা, অমাবস্যা ইত্যাদি সব ব্যাপারেই চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। এই জ্ঞান আল্লাহই মানুষকে দিয়েছেন এবং সূর্য ও চাঁদের ঘূর্ণনের এই যে বাৎসরিক সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা এটাও আল্লাহই নির্ধারণ করেছেন। কারো পক্ষে এটা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

তাহলে, যেভাবে আমরা নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার অনুসরণ করতে গিয়ে আল্লাহর রাসূলের দঃ প্রাত্যহিক অভ্যাস বা ব্যবহারিক সুন্নতকে অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকছি, ঠিক একইভাবে যদি ‘লুনার ক্যালেন্ডার’ বা ‘চান্দ্রমাসের বাৎসরিক হিসাব’কে গ্রহণ করে আমরা যদি নতুন চাঁদ দেখার জন্য অবজারভেশন-এর উপর নির্ভর না করে, ক্যালকুলেশনের উপর ভিত্তি করে চান্দ্রমাসের শুরুটা নির্ধারণ করি বা নতুন চাঁদের ঘোষণা দেই, তাহলেই তো সকল বিভ্রান্তি দূর হয়ে যায়!

‘ক্যালকুলেশন’ হিসাবের বিষয়। এখানে কোন অনুমান, ব্যত্যয় বা ভুল গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে, ‘অবজারভেশন’-এর মধ্যে অনুমান এবং আন্দাজ মিলে মিশে আছে। তাই আমাদের উচিত ক্যালকুলেশনকে গ্রহণ করা, এবং অবজারভেশনকে ছেড়ে দেওয়া। যেভাবে আমরা নামাজের ব্যাপারে অবজারভেশনকে ছেড়ে দিয়ে ক্যালকুলেশনকে গ্রহণ করেছি একই ভাবে নতুন চাঁদের ব্যাপারে ওটাই আমাদের করা উচিত।

এবার আমরা যদি কোরআনের আয়াতের দিকে তাকাই সেখানে দেখতে পাবো, আল্লাহর নির্দেশ অত্যন্ত স্পষ্ট। তিনি বলছেন, “–তোমাদের মধ্যে যে মাস শুরু হওয়ার সাক্ষ্য পাবে সে যেন সিয়াম পালন করে–” (২:১৮৫)

“ফামান শাহেদা মিনকুম”- এখানে শাহেদা বা সাক্ষ্য মানে নিজের চোখে দেখা নয়, কারণ আল্লাহ একথা বলেননি! এই সাক্ষ্য মানে হলো ‘নিশ্চিত হওয়া’। তাহলে, সাক্ষ্যের ব্যাপারে ক্যালকুলেশনের চেয়ে আর উত্তম সাক্ষ্য কি হতে পারে? যখন ক্যালকুলেশন ছিল না তখন অবজারভেশন করে ‘নতুন চান্দ্রমাসের শুরুটা’ নির্ধারণ করতে মানুষ বাধ্য হয়েছে।
পরবর্তীতে যখন ক্যালকুলেশন করার যোগ্যতা মানুষকে আল্লাহ দিয়েছেন তখন এই জ্ঞানকে অবজারভেশন-এর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর কোন প্রয়োজন নেই! বরং অবজারভেশন-এর উন্নততর পর্যায় হিসেবে ক্যালকুলেশন-কে আমরা আনন্দের সাথে গ্রহণ করা উচিত। যেভাবে আমরা সৌর হিসাবের ব্যাপারে গ্রহণ করেছি।

আসুন, আমরা বিষয়টিকে কঠিন না করে সহজভাবে গ্রহণ করি। দীনকে সহজ করে অনুসরণ করার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া, সৌর ক্যালেন্ডার ও চান্দ্র ক্যালেন্ডারের ব্যাপারে দ্বৈতনীতি (বা Double Standard) প্রদর্শন করা এই যুগে আমাদের মানায় না। আসুন আমরা কোরআনে বর্ণিত “নতুন চাঁদ সমূহ”কে ক্যালকুলেশন-এর অর্থাৎ লুনার ক্যালেন্ডার-এর মাধ্যমে জেনে নিই এবং সেভাবে আমাদের ধর্ম পালন করি। তাতে সমগ্র বিশ্বে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অন্য ধর্মের মানুষ বুঝতে পারবে যে, মুসলমানরা সারা বিশ্বব্যাপী একটি চান্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসরণ করতে সক্ষম!

এখন যে ধরনের বিরোধপূর্ণ অবস্থায় আমরা বিভক্ত হয়ে আছি তাতে মনে হচ্ছে ইসলামিক বিষয়ে চান্দ্রমাসের একটি স্থায়ী ক্যালেন্ডার অনুসরণ করতে আমরা মুসলমানরা ব্যর্থ হচ্ছি। অথচ আমাদের হাতে সুন্দর নিখুঁত চান্দ্র ক্যালেন্ডার আছে; কিন্তু নানা বাহানায় তা আমরা অনুসরণ করছি না। বিশেষতঃ পাক-ভারত উপমহাদেশের আলেমদের একটি বৃহৎ অংশ, ক্যালকুলেশনের উপর অবজারভেশনকে প্রাধাণ্য দিয়ে, খোলা চোখে নতুন চাঁদ দেখার উপর গুরুত্ব আরোপ করছেন! ফলে, মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সাথে আমাদের হিসাব মিলছে না! এতে আমাদের পহেলা রমজান হচ্ছে দু’টি ভিন্ন ভিন্ন দিনে!

পহেলা জিলহজ্জও একই দিনে হচ্ছে না! ফলে, ৯ই জিলহজ্জ তারিখে যখন সম্মানিত হাজীরা আরাফাতে অবস্থান করছেন এবং তা আমরা টেলিভিশনের পর্দায় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, আর আমাদের সাথে মক্কার সময়ের ব্যবধান মাত্র তিন ঘন্টা এবং তা’ও তারা আমাদের পরে বা পেছনে! অথচ, যে কোন কারণে, আমাদের চাঁদের হিসাবের ভ্রান্তির জন্য, বলা হচ্ছে আমাদের ৯ই জিলহজ্জ বা আরাফা-দিবস মক্কার, (আগে নয়, একই দিনেও নয়, বরং) একদিন পরে! তাহলে, আমরা আরাফার রোজা কখন রাখবো? সুস্পষ্ট কোন জবাব নেই! তর্কে জেতার জন্য কিছু গোঁজামিলের বক্তব্য দেয়া হয়।
যদিও একই দিনে (বা তারিখে) বিশ্বের সকল মুসলিমের ঈদ পালনের কথা, আমরা তা ভিন্ন ভিন্ন দিনে পালন করছি। এটা ধার্মিকতা নয়, বরং অযোগ্যতা বলেই আমার মনে হয়।

একটি মাত্র গ্রহ যেখানে সকল মানুষ , এবং মুসলমানরাও, বসবাস করে তার নাম পৃথিবী। তার একটি মাত্র উপগ্রহ যার নাম চাঁদ। সুতরাং চান্দ্রমাসের সারা বছরের একটিই ক্যালেন্ডার হবে, যেই হিসাবের মধ্যে আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট এই গ্রহ নক্ষত্রগুলোকে বেঁধে দিয়েছেন, যাতে থাকবে কোন তারিখে নতুন চাঁদের জন্ম হবে তার হিসাব। এই গ্রহের যে কোন অঞ্চলের যে কোনো মানুষ একটি দিনকেই “নতুন চাঁদের জন্ম তারিখ” হিসেবে গ্রহণ করবে। সেটাই হবে সঠিক পন্থা।

এই মতামত আমার নিজস্ব। আপনি এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা এবং পড়াশোনা করুন। আবেগ দিয়ে নয় জ্ঞান দিয়ে আমাদের বিষয়গুলোকে জানা ও বুঝা উচিত। আমার ব্যাখ্যায় যদি কোন ভুল থাকে আপনাদের যে কোনো কারো সুন্দর পরামর্শ আমি গ্রহণ করতে আগ্রহী।আল্লাহ আমাদের রহম করুন। আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দিন। আমিন।

মিরপুর, ঢাকা । ০৯/০/২০২১

লেখকঃ আশরাফ আল দীন, শিক্ষাবিদ, কবি, প্যারেন্টিং এক্সপার্ট ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা

আরও পড়ুন-

অজ্ঞতার কালো থাবা

আরও পড়ুন