ফাহমিদা ফাহমিঃ
বহু বহু দিন পর হঠাৎ কিছু লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। মনের গহীন থেকে বেরিয়ে পড়ছে কিছু অব্যক্ত কষ্টের আলাপন।কেমন আছি জানি না, কিজন্য আছি তাও জানি না, শুধু জানি আমি আছি, হয়তো খুব ভালো মতোই বেঁচে আছি।
আজ আমার আকাশ ছোঁয়া সংসার। সেই আমার সাথে আজকের আমার বিস্তর ব্যবধান।এখন জীবনটা অনেক গোছানো সাজানো। আমি জয়ী নাকি পরাজিত প্রশ্ন এখন মূল্যহীন অযাচিত। তারাভরা নক্ষত্র ক্ষচিত রাতের সৌন্দর্য যেমন সুন্দর তেমনি আলোকোজ্জ্বল স্বর্ণালি দিনটাও সুন্দরী তমা।
আমি আমার অতীতকে সম্বল করেই হয়তো বর্তমানে নানারঙে সাজিয়েছি। উত্তালহীন নির্লিপ্ত জীবন, খাচ্ছি ঘুমাচ্ছি~~ স্মৃতির অসংলগ্ন পদচারণ। কি ভীষণ এক একাকীত্ব, কি বীভৎস এর রূপ লাবণ্য।মাঝে মাঝে এক অবয়বহীন অস্তিত্ব টের পাই, যেন আমার সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমি তার উপস্থিতি প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে বুঝিনা,তবে অনাবিল শান্ত এক মুক্ত বাতাস যেন স্নেহমাখা হাতে আামার সারা দেহে পরশ বুলায়ে যায়। আমি তাকে অনুভব করি কিন্তু ধরতে পারিনা,ছুঁতে পারিনা।
‘কি বেদনা মোর জানো সেকি তুমি জানো,
ওগো মোর মিতা, মোর অনেক দূরের মিতা ‘
আকাশ জুড়ে বেদনার বর্ণমালা,অস্তরাগের পূরবী ছড়াচ্ছে সন্ধ্যা গোধূলি, তুমি কেমন আছো? রাজধানীর বুকে আকাশ ছোঁয়া উঁচুতে আমার সংসার। অপসৃয়মান দিনরাত্রি আার নিগূঢ় অপেক্ষায় অন্তহীন জীবন যাপন।
তুমি ভালো থাকো খুব ভালো, আমার হৃদয় নিঃসৃত শুভকামনা হয়তো প্রকৃতি তোমায় পৌঁছে দেবে।
আমি আমার পথ এখন চলি তোমাকে ছাড়া,তবু প্রতিনিয়ত কোথায় যেন তোমার স্পর্শ পাই। মানুষের প্রাত্যহিক গ্লানি আপেক্ষ, অবঙ্গা দেখে যখন খুব ব্যাথা পাই মনে,ঠিক তখনি আামার কাঁধে তোমার সাবলীল হাতের ছোঁয়া পাই।তাইতো হয়তো এখোনো বেঁচে আাছি।
খুব ইচ্ছে ছিলো তোমায় আজ নিঃশব্দে আমার শুভকামনা জানাবো।অপরাধ নিওনা, আাকাশে ছড়িয়ে দিলাম আামার মনোকবিতা, ~~~~ দেখো ঠিক তোমার হাতেই পড়বে আমার অসম্পূর্ণ শুভেচ্ছাবার্তা।
লেখকঃ সাহিত্যিক।