ইতোমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্রের মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোকে খোলার জন্য সার্বিক প্রস্তুতির নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে।সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই।কিন্তু করোনার কারনে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় কিছু চ্যালেঞ্জ সামনে আসবেই।আর তা হলঃ-
১.শ্রেনি অনুযায়ী শিখন যোগ্যতা নিশ্চিত করতে না পারা।
২.গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার(বর্তমানে যেটি কমে ১৮.৬%)তুলনামূলক বেড়ে যাওয়া।
৩.গ্রামীণ সমাজে বাল্যবিবাহের হার বেড়ে যাওয়া।
৫.করোনার কারনে সচেতন অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনাগ্রহী।
৬.দরিদ্র পরিবারগুলোতে অর্থাভাবে শিশুশ্রম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া।
৭.সর্বোপরি দরিদ্রতার হার বেড়ে যাওয়া।
তবে সাথে সাথে প্রবল ভয় ও আশংকাও কাজ করছে কিছু বিষয় নিয়ে।কারণঃ-
# গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবিক পক্ষে কতটুকুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে(অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে শিক্ষার্থী ২০০ আর শিক্ষক মাত্র ৩জন)!! পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নেই।
# গ্রামের অধিকাংশ অভিভাবকই করোনা সম্পর্কে এখনো অসচেতন এবং খানিকটা উদাসীন। মাস্কের ব্যবহার গ্রামেগঞ্জে নেই বললেই চলে।করোনার ভয়ও ইদানীং কমে গেছে।
# করোনার ২য় ঢেউয়ের কথাও বেশ ভালোভাবে শোনা যাচ্ছে।ইতোমধ্যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও যেটি উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
# অন্যদিকে নভেম্বর-ডিসেম্ভরে আসতেছে শীতের প্রকোপ, যা করোনা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
# বিদ্যালয় আর শপিং মল কিংবা অফিস-আদালত এক জিনিস নয়।সুতরাং বিদ্যালয়ের সাথে এগুলোর তুলনা করা যাথার্থ হবে বলে মনে করছিনা।
সমাধানঃ-
সার্বিকভাবে চিন্তা করে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো-ছোট শিশুদের স্কুল খোলার আগে পরীক্ষামূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ খুলে দেয়া যেতে পারে।কারন ওখানে তুলনামূলক বড় ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে(যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে)।সেখান থেকে ঝুঁকির মাত্রা পরিমাপ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
লেখকঃ-
কামরুল ইসলাম রাশেদ
প্রধান শিক্ষক
কোম্পানীগঞ্জ,নোয়াখালী।