।। ড. মো. নূরুল আমিন ।।
আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। সরকারের প্রশাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি মন্ত্রণালয়ে আমাদের চোখের সামনেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেল, আমরা কিছুই করতে পারলাম না। ফায়ার ব্রিগেডের আঠারোটি ইউনিট টানা দশ ঘণ্টা চেষ্টা করেও আগুনের লেলিহান শিখা থেকে মন্ত্রণালয়ের মূল্যবান সম্পত্তিগুলো রক্ষা করতে পারলো না। এটি একটি অসাধারণ ও অভূতপূর্ব ঘটনা। যেকোনো দেশের সচিবালয়, পার্লামেন্ট ভবন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর, স্টেট ব্যাংক প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রাষ্ট্রের কার্যকারিতা ও তার টিকে থাকার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দুঃখের বিষয় বহু প্রাণ ও সহায়-সম্পদের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই নতুন স্বাধীনতার পাঁচ মাসের মাথায়ই আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সচিবালয়ের পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও তাদের অধিনস্থ বিভাগ ও অধিদফতরগুলো পুড়ে শুধু ছাইই হলো না তারা আশ্রয়চ্যুত হয়ে গেল। তাদের এই অগ্নিদগ্ধ হবার ঘটনাটি ঘটলো তখনই যখন পতিত সরকার, তার দোসর এবং তাদের প্রভুর আসনে আসীন একটি বৈদেশিক শক্তি সারা দুনিয়ায় পতিত, পরাজিত ও পলায়নকৃত স্বৈরাচারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের জনগণ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত এবং দেশের অভ্যন্তরেও অন্তর্ঘাতমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বলাবাহুল্য এই ফ্যাসিবাদী ও ডাকাত সরকার গত ষোল বছরে ২৮ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করেছে এবং মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। সরকার কর্তৃক গঠিত কমিশন কর্তৃক প্রণীত অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রকাশের পর দুর্নীতি দমন কশিমন মেগা প্রকল্পসমূহের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করার কয়েকদিনের মধ্যেই অগ্নিকা-ের এই ঘটনা ঘটলো। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে এই যে আমাদের সামরিক বেসামরিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানগুলোর কেউই এই অগ্নিকা-ের কোনো পূর্বাভাস বা পূর্ব পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই টের পেলেন না এবং সচিবালয় পাহারার কাজে যারা নিযুক্ত তারাও এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞতার পরিচয় দিলেন। এই প্রজন্মের অনেকেই জানেন না যে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এই দেশে সচিবালয়ের প্রথম কর্মকা- শুরু হয়েছিল ইডেন বিল্ডিং ও তার আশপাশের লাল টিনের ঘরগুলোতে চেয়ারটেবিল ছাড়াই চাটাই বিছিয়ে যা আজ বহুতল বিশিষ্ট প্রাসাদোপম ভবনে স্থিতি পেয়েছিল। অনেকে বিস্মিত, সংশ্লিষ্ট আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা ও গোয়েন্দাদের সহযোগিতা ছাড়া এই অগ্নিকাণ্ড কি আসলে সম্ভব ছিল? ঘটনাটি ঘটেছে ছুটির দিন রাতে। ছুটির দিনে অথবা রাতে কি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভবন পাহারা দেয়া অথবা যেকোনোভাবে (শর্ট সার্কিট অথবা কোনো কারণে) আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা ঘুমিয়ে থাকার কোনো বিধান আছে? ভবনের প্রত্যেকটি ফ্লোরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকে। আগুন লাগার সাথে সাথে ফ্লোরের পাহারাদাররা ঐ যন্ত্রগুলো ব্যবহার করলেন না কেন? নাকি তাদের কাউকেই Fire extinguisher ব্যবহার ট্রেনিং দেয়া হয়নি। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আরো অনেক প্রশ্ন উঠবে। এখন এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সমূহের নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার সঙ্গে মেগা প্রকল্পগুলোর তথ্য সংগ্রহের সাথে সম্পর্ক কি হতে পারে সে সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করা দরকার।
যেকোনো অপরাধের তিন রকমের সাক্ষ্য থাকে। এক, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য, দুই, দালিলিক সাক্ষ্য এবং তিন, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য (Circumstancial Evidence) বিচারপদ্ধতি অনুযায়ী। অপরাধীকে শাস্তি দিতে হলে এই তিনটি সাক্ষ্যের সব কটিই দরকার। এর যদি কোনো একটিরও অভাব হয় কিংবা কোনো দ্ব্যর্থবোধকতা থাকে তাহলে চূড়ান্ত বিচারে আসামি Benefit of doubt পেয়ে খালাস হয়ে যেতে পারে। এই অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনো ধারণা বা ষড়যন্ত্র কাজ করা অস্বাভাবিক নয়।
আমাদের দেশে প্রকল্প প্রণয়ন ও ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনুযায়ী মন্ত্রণালয়সমূহ সরাসরি প্রকল্প প্রণয়ন বা বাস্তবায়ন করে, সেটা মেগা বা মিনি। মন্ত্রণালয় বা অধিদফতরে অধীন বাস্তবায়নকারী সংস্থাই এর সূচনা করে। এর সাথে জড়িত রয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জেনারেল ইকনোমিক ডিভিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ডিভিশন। পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রথমে একটি ধারণাপত্র (Concept paper) তৈরি করা হয়। এরজন্য নির্ধারিত ফরমাট আছে যা PC-1 নামে পরিচিত। সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর অধিকাংশেই একটি পরিকল্পনা সেল রয়েছে। একইভাবে মন্ত্রণালয়েও পরিকল্পনা সেল আছে। অর্থনৈতিক ক্যাডার কর্মকর্তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব সেলে (Cell) কাজ করেন। বাস্তবায়নকারী সংস্থা PC-1-এর ভিত্তিতে কনসেপ্ট পেপার তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা সেলের সাথে পরামর্শ করে প্রকল্পের কমপোন্যান্টগুলো ঠিক করে তার ভিত্তিতে জনবল, অফিস সামগ্রী ভবন নির্মাণ, যানবাহন, ভূমি ক্রয় বা অধিগ্রহণ প্রভৃতি যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় ও পরিচালনা বাবত বাজেট প্রণয়ন করা হয়। এই বাজেটের বেলায় দুর্নীতিগ্রস্ত হবার সুযোগ অনেক বেশি থাকে। যেমন ১০০ টাকার বালিশ আমাদের কোনো কোনো প্রকল্পে ৫৫০০ টাকা, ৫০ হাজার টাকার টেলিভিশন সাড়ে সাত লাখ টাকা, ১৫০ টাকার নারকেল চারা ৫ কোটি টাকায় উপনীত হতে দেখা গেছে। এর সাথে মন্ত্রণালয়ে সচিব, পরিকল্পনা সেলের যুগ্ম ও উপপ্রধান, পরিকল্পনা বিভাগে GED সচিব, যুগ্ম প্রধান, উপপ্রধান প্রমুখ গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট থাকেন।
আরও পড়ুন-
বাজেট প্রক্রিয়া শেষে মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় প্রকল্প নির্বাহী কমিটিতে (DPEC) তা পর্যালোচনাপূর্বক অনুমোদন দেয়া হয়। এই কমিটির প্রধান হচ্ছেন বিভাগীয় মন্ত্রী, সচিব ভাইস চেয়ারম্যান। প্রকল্প ব্যয় ২০ কোটি টাকার মধ্যে হলে মন্ত্রী তা অনুমোদন করতে পারেন, তার বেশি হলে প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন করেন, বলতে ভুলে গেছি। এই প্রকল্পগুলো পরিকল্পনা কমিশনের উদ্যোগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন করে থাকে।
এই অনুমোদনের সাথে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে মেগা ও অবকাঠামো বিষয়ক প্রকল্পে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আইএমইডি পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়ন এজেন্সি জড়িত থাকে। প্রকল্পের মেয়াদ সাধারণত পাঁচ বছর। তবে তা সংশোধন করা যায়। এক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণও বৃদ্ধি করার বিধান আছে। বলাবাহুল্য প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং সংশোধন ও মেয়াদ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া একই ধরনের DPEC, ECNEC’র অনুমোদন বাধ্যতামূলক। কোনও প্রকল্পে ঠিক মতো কাজ হচ্ছে কিনা, Physical Progress ও Financial Progress-এর মধ্যে সামঞ্জস্য আছে কিনা অথবা কোথাও অনিয়ম বা দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা দেখা ও তদারকের দায়িত্ব আইএমইডি’র (Implementation, Monitoring and Evaluation Division) এছাড়া আরো দু’টি প্রতিষ্ঠান এ কাজের সাথে জড়িত আছে। এরা হচ্ছে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পসমূহের জন্য নির্ধারিত অডিট কর্তৃপক্ষ এবং একাউন্ট্যান্ট জেনারেলের (AG) অডিট বিভাগ। কোনও প্রকল্পে যদি দুর্নীতি হয় এরা কেউই রেহাই পেতে পারেন না।
মন্ত্রণালয়ের ৭ নং ভবনের আগুন মেগা প্রকল্পসমূহ ছাড়া অনেক প্রকল্পের দলিল দস্তাবেজ পুড়িয়ে নিঃসন্দেহে অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ ও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণকে কঠিন করে তুলবে। তবে আমার বিশ^াস এই রেকর্ডগুলো পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস করা কঠিন। বাস্তবায়ন এজেন্সিসমূহ পরিকল্পনা কমিশন, আইএমইডি ও অর্থমন্ত্রণালয়ে এসব প্রকল্পের ছায়া নথি থেকে এগুলো পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে না। এ প্রেক্ষিতে সরকারকে কঠোরতার সাথে অগ্নিকান্ডের সাথে জড়িত ও প্রকল্পের দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
॥ দুই ॥
ব্রিগেডিয়ার আজমী প্রসঙ্গ : গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের নেতা, বাংলাদেশ জামায়াতের স্থপতি আমীর শহীদ অধ্যাপক গোলাম আজমের সুযোগ্য সন্তান বাংলাদেশ আর্মির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমীর প্রতি খুনী শেখ হাসিনার একটি জঘন্য জুলুমের আংশিক প্রতিকার করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান একটি প্রশংসনীয় কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার বিনা অপরাধে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শুধুমাত্র তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক গোলাম আজমের ছেলে হওয়ার কারণে তাকে চাকরি থেকে সরাসরি বরখাস্ত করেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে তার সমস্ত সুযোগ সুবিধা কেড়ে নেন; ক্যান্টনমেন্টসমূহে তার আসা যাওয়া বেআইনী ঘোষণা করেন এবং ব্রিগেডিয়ার হিসেবে তার পদবী ব্যবহারও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এরপর ২০১৬ সালে তাকে গুম করে আয়নাঘর নামক শেখ হাসিনার গোপন কারাগারে নির্মম নির্যাতনের মধ্যে প্রায় নয় বছর অমানবিক অবস্থার মধ্যে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কালাতিপাত করতে বাধ্য হন। আলহামদুলিল্লাহ সরকার ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ তার প্রতিকার হিসেবে তাকে বরখাস্তের দিন থেকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন এবং পেনশন সুবিধাও মঞ্জুর করেছেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমার এখানে একটা প্রশ্ন। এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজমী সাহেব কি তার সম্মান মর্যাদা সব ফিরে পেয়েছেন? তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান, সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন। সোর্ড অব অনার পাওয়া এই কর্মকর্তা দেশে বিদেশে এবং কর্মস্থলে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। কখনো তিরস্কার পাননি। প্রায় ষোল বছর পর তাকে পদবী ফেরত দিয়ে অবসর দেয়া হলো। এতে কি তার মর্যাদাহানি, শারীরিক মানসিক ক্ষতিপূরণ হয়েছে? তাকে কি ষোল বছরে তার প্রাপ্য বেতন বৃদ্ধি (স্কেল) প্রমোশন প্রভৃতি দেয়া হয়েছে? তিনি বরখাস্তের দিন অবসরে গেলে যদি ১ কোটি টাকা আনুতোষিক পেতেন তৎকালীন মুদ্রামানে এখন যা প্রায় ছয় কোটি টাকা- এই ছয় কোটি টাকা কি এখন পাবেন? যদি না পান এবং প্রাপ্য প্রমোশন থেকেও বঞ্চিত হন তা হলে তার প্রতি পূর্ণ সুবিচার করার আরো অনেক কিছু করার বাকী আছে বলে আমার বিশশ্বাস। এ বিষয়গুলো সরকার পরিষ্কার করবেন বলে আমার বিশ্বাস ।
লেখকঃ প্রাবন্ধিক , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দৈনিক সংগ্রাম
…………………………………………………………………………………………………………………………
মহীয়সীর প্রিয় পাঠক! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল, আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ গল্প ও কবিতা পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেইজ মহীয়সী/Mohioshi-তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হ্যাঁ, মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইল-
[email protected] ও [email protected] -এ; মনে রাখবেন, “ধন দৌলত খরচ করলে কমে যায়, কিন্তু জ্ঞান বিতরণ করলে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়”। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকেই দ্বীনি জ্ঞান দান করেন।” (সহিহ বুখারী- ৭১, ৩১১৬, ৩৬৪১, ৭৩১২, ৭৪৬০; মুসলিম- ১০৩৭; ইবনে মাজাহ- ২২১) ।
মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম; আজই আপনি যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে। আসুন, ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি। আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমীন।