Ads

আবিষ্কৃত হলো রসুলের ( স.)মদিনায় হিজরতের  যাত্রাপথ

সাওর পর্বতের একটি গুহায় হযরত  মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) মদিনা মোনাওয়ারায় হিজরতের সময় আত্মগোপন করেছিলেন। গারে সাওর পাহাড়টি মক্কার দক্ষিণে কুদাই মহল্লার অন্তগত বর্তমানে পরিকল্পিত আল হিজরা এলাকায় অবস্থিত। এই পাহাড়ের উপর থেকে সমুদ্র দেখা যায়।
২০১৬ সালে পবিত্র হজ্জ পালনের সময় আমি আর আমার প্রিয় বোন আল হিজরাহ এলাকায় ছিলাম।গারে সাওর পাহাড়ের পাদদেশে গিয়ে দীর্ঘ শ্বাস আর কান্না সংবরণ করতে পারি নি। জন্মভুমি ত্যাগ করার যে চরম বেদনা তা মহানবী মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিলেন।
বন্ধুরা চলুন আজ দারুণ এক  ইতিহাস  জেনে আসি ,
” আবিষ্কৃত হলো রসুলের ( স.)মদিনায় হিজরতের  যাত্রাপথ  “
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবিগণ ৬২২ সালে পবিত্র মক্কা নগরী থেকে পবিত্র মদিনায় হিজরত করেন। হিজরতের ১ হাজার ৪০০ বছর পরে মক্কা থেকে উত্তরে অবস্থিত ইয়াসরিব (পরবর্তী সময়ে মদিনা) শহরের যাত্রাপথটি অবশেষে আবিষ্কৃত হয়েছে। ‘রিহলাত মুহাজির ‘ এর ( একটি  অভিবাসী যাত্রা) সংগঠকেরা ঘোষণা করেছেন, নবির হিজরতের পথ নথিভুক্ত করার উদ্যোগের প্রথম পর্যায় সম্পন্ন হয়েছে। নবির জীবনী বিশেষজ্ঞ ও  গবেষকদের একটি দল কাজ করছে মক্কায় জাবাল থাওর সংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত করবে। এতে কাজ করছে জাতীয় জাদুঘর, প্রদর্শনী, ক্রিয়াকলাপসহ সাংস্কৃতিক প্রকল্পগুলোতে বিশেষীকরণ সংস্থা সাময়া ইনভেস্টমেন্ট।
সংস্থার সিইও ফাওয়াজ আল মেরহেজ বলেন, ‘মুহাজির’ উদ্যোগটি ডকুমেন্টেশন ও প্যানোরামিক ফটোগ্রাফি ৩৬০- এ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নবির দেশত্যাগের পথকে নথিভুক্ত করছে। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে, যা গত বছরের ২০ ডিসেম্বর চালু করা হয়েছিলো, দলটি মক্কার থাওর পর্বতের গুহা থাওর থেকে শুরু করে ৪০ টি স্টেশনের মধ্য দিয়ে গিয়ে নবির হিজরতের পথে উদ্ধৃত সমস্ত অবস্থানের সন্ধান করেছিল, যা মদিনার কুবা মসজিদে যাওয়ার পথ পর্যন্ত।
সংস্থার সিইও ফাওয়াজ আল মেরহেজ বলেন, ‘মুহাজির’ উদ্যোগটি ডকুমেন্টেশন ও প্যানোরামিক ফটোগ্রাফি ৩৬০- এ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নবির দেশত্যাগের পথকে নথিভুক্ত করছে। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে, যা গত বছরের ২০ ডিসেম্বর চালু করা হয়েছিলো, দলটি মক্কার থাওর পর্বতের গুহা থাওর থেকে শুরু করে ৪০ টি স্টেশনের মধ্য দিয়ে গিয়ে নবির হিজরতের পথে উদ্ধৃত সমস্ত অবস্থানের সন্ধান করেছিল, যা মদিনার কুবা মসজিদে যাওয়ার পথ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, জাবালে থাওর সংস্কৃতিক কেন্দ্রে নবির হিজরতের কাহিনি কীভাবে উপস্থাপন করা যায়, তা বিবেচনা করার সময় রুটটি  নথিভুক্ত করার ধারণাটি আসে। পথের ডকুমেন্টশন মূলত প্যানোরামিক ফটোগ্রাফি ৩৬০ ডিগ্রি দ্বারা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে ড্রোন ব্যবহার করে নবির মাইগ্রেশন ডিজিটালভাবে নথিভুক্ত করা হয়। ফাওয়াজ আল-মেরহেজ আরও বলেন, তারা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন, যা ছিল এবড়োখেবড়ো রাস্তা ও কিছু ঐতিহাসিক স্হানের নাম  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করা
হয়েছে  ।
মক্কার উম্মু আল- কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ইসলামিক সভ্যতা বিভাগের  অধ্যাপক মোহাম্মদ বিন সামিল আল সালামি এবং অধ্যাপক সাদ বিন  আল-মুসা  সহ ইসলামি ইতিহাস ও নবীর  জীবনী তে বিশেষ  কিছু  জ্ঞানী এই তদন্তে  সহায়তা করেছেন এবং  রিয়াদের মোহাম্মদ  ইবনে  সৌদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস  ও সভ্যতা বিভাগের অধ্যাপক সুলাইমান বিন আব্দুল্লাহ আল সুওয়াইকেত এবং অধ্যাপক আব্দুল আজিজ বিন ইব্রাহিম আল ওমারি, যারা এ্যাটলাস বায়ো গ্রাফির বৈজ্ঞানিক কমিটিরও সদস্য, তাঁরা মদীনার ল্যান্ডমার্ক ও নবীর জীবনী বিশেষত্ব এই কাজে প্রকল্পের কিছু পর্যায়েও অংশ নিয়েছিলেন ।
তথ্যসূত্র ও ছবিঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ২৬ জানুয়ারি ২০২২ সংখ্যা 
পুনঃ লেখন : নুরে আলম মুকতা,কলাম লেখক ও সহ সম্পাদক ,মহীয়সী
আরও পড়ুন