Ads

কানাডিয়ান বাংলাদেশী কিশোরী আফ্রিদার সর্বোচ্চ অ‍্যাওয়ার্ড অর্জন

মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, কানাডা থেকে

কানাডিয়ান বাংলাদেশী কিশোরী, আমার ভাতিজী – আফ্রিদার এক বিরল উঁচু মানের অ্যাওয়ার্ড অর্জন । আমার জানা মতে এটিই প্রথম ক্যাল্গেরীতে কোনো ক্যানাডিয়ান বাংলাদেশী কিশোরীর সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড, কিন্তু এটিই শেষ নয়। এটা শুরু এবং আমাদের শিশুরা আগাবেই ইনশাল্লাহ ।

আফ্রিদা – বাংলাদেশী-ক্যানাডিয়ান এক কিশোরী ক্যাল্গেরী উনিভার্সিটিতে অধ্যানরত । তাঁর যোগ্যতা ,মেধা ,দক্ষতা ,প্রচেষ্টা এবং লিডারশিপ স্কিল তাকে $৬০,০০০ ডলার অ্যাওয়ার্ড পাইয়ে দিয়েছে। আমাদের কমুনিটি প্রোগ্রমে ওর বাবা-মার উপসিস্থিতি আলোকিত করতো। ক্যাল্গেরী পাবলিক লাইব্রেরী তে শিশু -কিশোরদের প্রোগ্রমে বাচ্ছাদের চকলেট ও খাবার ডোনেট করতেন খালিদ ভাই এবং রাতুল আফা ! অন্যের ছেলে-মেয়ে কিভাবে ভালো করতে পারে সবসময় চিন্তা করতেন। আমাকে পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিতেন আমাদের ছোট ছোট সামাজিক কাজগুলো। নিরহংকার খালিদ -রাতুল দুইটি মেয়েকেই সেই ভাবেই তৈরী করেছেন। এই পুরো পরিবারটিকে আমরা বিভিন্ন কমুনিটির প্রগ্রামে ভলান্টিয়ার কাজে দেখেছি।

পিতা -মাতা ভালো কাজ করলে আল্লাহ সন্তানের দায়িত্ব নেন -এটা ওঁনাদের থেকে দেখলাম। কানাডিয়ান বাংলাদেশী কিশোরী আফ্রিদার অ্যাওয়ার্ড এর টাকা দিয়ে ওঁর সারাজীবনের পড়া -শুনা বিনাখরচে হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ । বাবা আর্মি অফিসার হওয়াতে – মেয়েটিও লিডারশিপ স্কিল নিয়ে ফেলেছে বাবা থেকে । আফ্রিদার ছোটো বোনটি ও ভালো করবে ইনশাল্লাহ । দুইটি বোন ই আমাদের অন্য শিশু-কিশোরদের রোলমডেল।

আপনার সন্তানকে সময় দিন ,যোগ্য করে তুলুন, কমিউনিটিতে ভলান্টিয়ার কাজে যুক্ত করুন । আপনার এই সময়, ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক বৃথা যাবে না , এটা বাচ্চারা বহুমূখী গুনকে বিকশিত করবে। দেখবেন এই শিশুটি ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ , ভালো লিডার হয়ে ফিরে আসবে।

আফ্রিদা ও তাঁর পরিবার এর একটি উদাহরণ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে আরো অনেককে। আল্লাহ ওদেরকে আরো যোগ্য করুক এবং দুনিয়া /আখেরাতে কল্যাণ দিন।

আরও পড়ুন