Ads

পার্বত্য চট্টগ্রামের নও মুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরার হত্যা

আল মাসুদ সম্রাট

পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবন জেলার রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের তুলাছড়িপাড়ার ওমর ফারুক ত্রিপুরা।২০১৪ সালে তিনি ইসলাম গ্রহন করেন।ইসলাম গ্রহনের পর তার মাধ্যমে ঐ এলাকার আরো ৩০ টি পরিবার ইসলাম গ্রহন করে।ঐ এলাকায় তিনি নিজ উদ্যোগে তৈরী করেছেন একটি মসজিদ।তিনি সেই মসজিদের ইমাম।

ওমর ফারুকের এই ইসলাম গ্রহন ও অন্যদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে ইসলামে দীক্ষিত করাটাকে পছন্দ হয়নি পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী ও খ্রিস্টান মিশনারীদের।ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে তারা অনেকদিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিলো।গত ২০ই জুন সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস এর সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ওমর ফারুক ত্রিপুরা ‘কে গুলি করে হত্যা করে।

পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র কার্যক্রম নতুন নয়।সন্তু লারমার সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস অনেকদিন ধরেই পার্বত্য চট্রগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে জুমল্যান্ড নামক আলাদা রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে।তাদেরকে সহযোগিতা করছে খ্রিস্টান মিশনারীরা ও আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহল।
এইসব সন্ত্রাসীরা বাঙালিদের বলে ‘সেটেলার’।উপজাতিদের মধ্যে কেউ মুসলিম হয়ে গেলে তাকেও সেটেলার বলে সম্বোধন করে।বাঙালি ও মুসলিমদেরকে তারা তাদের জুমল্যান্ড গঠনের পথে বাঁধা হিসেবে মনে করে।এযাবৎকালে তাদের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে অনেক সেনাবাহিনী,সরকারি কর্মকর্তা ও নিরীহ বাঙালি।সেই ধারাবাহিকতায় তারা ওমর ফারুককে হত্যা করে তাদের পরিকল্পিত জুমল্যান্ড গঠনের পথ সাফ করলো।

টাই সরকারের কাছে আবেদন ইমাম ওমর ফারুক হত্যার বিচার করুন।সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করুন।পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের দমন করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করুন।

আরও পড়ুন-

কানাডিয়ান বাংলাদেশী কিশোরী আফ্রিদার সর্বোচ্চ অ‍্যাওয়ার্ড অর্জন

আরও পড়ুন