Ads

অস্কার বিজয়ী তরুন অভিনেতা চ্যাডউইক বোজম্যান মারা গেছেন

রেজাউল করিম মুকুল

ব্ল্যাক প্যানথার খ্যাত অস্কার বিজয়ী তরুন অভিনেতা চ্যাডউইক বোজম্যান চার বছর কোলন ক্যানসারের সাথে যুদ্ধ করে গত শুক্রবার মারা গেলেন মাত্র ৪৩ বছর বয়সে। তার আগে সে জ্যাকি রবিনসন্স ও জেমস ব্রাউনের সাথে অভিনয় করার সুযোগ পান। ব্লাক প্যানথার সিনেমাটিতে অভিনয় করার সময় চ্যাডউইক তার নিজের শরিরে তৃতীয় স্টেজের কোলন ক্যানসারের সাথে যুদ্ধ করছিলেন, কেউ জানতো না। গোপণ করে রেখেছিলেন নিরাময় যোগ্য এই ক্যানসার সবার কাছ থেকে, জানতো তার স্ত্রী ও বাবা মা। বোজম্যানের স্ত্রী টেইলর সিমন লেডওয়ার্ড যদিও তাদের বিয়ের কথা মৃত্যুর আগে প্রকাশিত ছিলো না ওদের কোন সন্তানও ছিলো না। সাউথ ক্যারোলিনায় জন্ম নেয়া বোজম্যান হাভার্ড ইউনিভারসিটির গ্রাজুয়েট ছিলেন।

টিভিতে খুবই ছোটখাটো দুই একটি রোল করেই মাত্র ৪২ বছর বয়সেই চলচিত্রামোদীদের দৃষ্টি কাড়েন এবং সিনেমা জগতের প্রথম কালো মানুষ মেগা ষ্টার হোয়ে যান। সেরা সিনেমা এবং ৬টি অস্কার, ৩টি একাডেমি পুরস্কার জিতে নেয়া ব্লাক প্যানথার তাকে রাতারাতি সুপার হিরো বানিয়ে দেয়। এই ব্লাক প্যানথারের জন্য চ্যাডউইককে দীর্ঘদিন এ্যঙ্গোলান ক্যাপোরিয়া, ডাম্বি বক্সিং, জুলুদের লাঠিযুদ্ধু, কারাতে, কুংফু এবং জিজুৎসু এসব শিখতে হোয়েছে। ২০১৭খ্রিঃ মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে সুটিং এ অংশ নিয়েছিলো ৭০০ এরও বেশী ক্রু, ১৫০টি গাড়ী এবং বিশাল এক আয়োজন।

বোজম্যানের একটি মাত্র দৃশ্যের চিত্রায়ন হোচ্ছিলো সেদিন। ওর সহ-অভিনেতা এনডি সারকিসের বুকের উপর হাটু গেড়ে বসেছে চ্যাডিক। এ্যানডি বলেছে আমার মনে হলো ‘I felt like he had broken my ribs in that very first take.’ এই একটি সিনের জন্য ৩০টি সট নিতে হোয়েছে অথচ আমিও জানতাম না সে তার শরিরে যুদ্ধ করছে শেষ ধাপের মরণ ব্যাধি ক্যানসারের সাথে। সৌদি আরবের মতো মুসলিম দেশ এই সেই ব্লাক প্যানথার দিয়ে তাদের দেশে সিনেমা হল চালু করেন। ডেমোক্রাটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন টুইট করে বলেছেন, Boseman “inspired generations and showed them they can be anything they want – even super heroes”. বোজম্যানের সহ অভিনেতা মার্ভেল বলেছেন : “Brother, you were one of the all time greats and your greatness was only beginning. Lord love ya. Rest in power, King.”। NAACP বলেছেন Boseman for “showing us how to conquer adversity with grace” and “to walk as a King, without losing the common touch”. প্রথম স্টেজের কোলোন ক্যানসারে ৮০-৯৫ ভাগ রোগী বেচে যায় এমনকি আমেরিকার মতো দেশে থার্ড স্টেজেও ৫০ ভাগ ফিরে আসে অথচ চ্যাডউইক গেলো না ফেরার দেশে। ওর বিদেহী আত্মার শান্তি পাক।

 

আরও পড়ুন