।। জামান শামস ।।
ইসলাম ব্যক্তির ক্রমাগত বিকাশের উপর গুরুত্ব দেয়। প্রকৃতপক্ষে, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) একবার বলেছিলেন: “যার দুই দিন সমান, সে ক্ষতিগ্রস্ত।” (দায়লমি) এই হাদিসটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে যে, ব্যক্তিকে ক্রমাগত উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। যদি সে ভিন্ন কিছু না করে বা পরের দিন নতুন কিছু না শিখে তবে তাকে পরাজিত বলা হয়। আল্লাহ আরো চমত্কারভাবে বলেন,
۞ وَسَارِعُوۡۤا اِلٰى مَغۡفِرَةٍ مِّنۡ رَّبِّكُمۡ وَجَنَّةٍ عَرۡضُهَا السَّمٰوٰتُ وَالۡاَرۡضُۙ اُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِيۡنَۙ
তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে ও সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি হচ্ছে আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে।(সূরা আলে ইমরান ১৩৩)
মুমিনরা সর্বদা জান্নাতের দিকে দৌড়ে থাকে। তারা সর্বদা তাদের গতকালের চেয়ে তাদের আজকেরটি আরও ভাল করার চেষ্টা করে। তারা তাদের তাকওয়া ও নেক আমলকে বৃদ্ধি করতে চায়। তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতিটি দিন অতিবাহিত করার সাথে সাথে আরও বেশি সময়, শক্তি এবং সম্পদ ব্যয় করার চেষ্টা করে।
সর্বদা তাদের অভ্যন্তরীণ আত্মাকে উন্নতির একটি ধ্রুবক পথে থাকতে চায়, তারা তাদের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চায় না। প্রকৃতপক্ষে, তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয় এবং তাদের হৃদয় এবং তাদের উদ্দেশ্যগুলিকে সর্বদা ভাল করার জন্য, শুদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করে। তাই একজন মুসলমানের দুদিন সমান নয়।
একজন মুসলমানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তার নিজের সাথে, কারণ সে জানে যে সে উত্তম আমলে যত ভালো করবে , ততই সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে এবং এভাবে জান্নাতে উচ্চতর ও উন্নত স্থান পাবে। অন্যদের সাথে তুলনা করলে একজন কতটা ভালো তা অমূলক। যখন একজন মুমিন অন্যকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের চেয়ে বেশি চেষ্টা করতে দেখেন, তখন এটি তাকেও একই কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাহাবীরা একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেটা দুনিয়ার জিনিসের জন্য নয় বরং আখেরাতের সম্বল অর্জনে যখন ব্যক্তি ক্রমাগত চেষ্টা করে, তখন সে তার ব্যক্তিত্বকে ভেতর থেকে বিকাশ করতে থাকে। যদি প্রতিদিন আমরা শুধুমাত্র একটি ক্ষুদ্র উন্নতি করি; একটি কম মিথ্যা বলি, একটি অতিরিক্ত দাতব্য কাজ করি, একটি হাদিস শিখি, একটু ভেবে দেখুন সময়ের সাথে সাথে আপনার কতটা উন্নতি হবে।
ইসলামই একমাত্র দীন যেখানে মানুষের ব্যক্তিত্বকে আমলে সালেহ’র সাথে রিলেট করা হয়েছে। আর প্রত্যেকটি সমাজ স্বীকৃত ভালো কাজকেই ইসলাম মৌলিক মানবীয় গুণ হিসাবে আমলে সালেহ’র অন্তর্ভুক্ত করে। এর অতিরিক্ত আল্লাহর ভয় বা তাকওয়া, সালাত,সাওম হজ্জ যাকাত, সমস্ত ইবাদত বন্দেগীকে আমলে সালেহ বিবেচনা করে। এগুলো ইসলামী নৈতিকতা। সুতরাং একজন ব্যক্তি যখন উভয়গুণে গুণান্বিত হবে তখন তার ব্যক্তিত্ব আপনিতেই প্রষ্ফুটিত গোলাপের ন্যায় সমাজে আলো ফুটাতে শুরু করবে।
কুরআন এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর শিক্ষা মানুষকে সত্যিকারের ধার্মিক হতে, ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ করতে, সত্যবাদী, প্রতিশ্রুতি রক্ষা, সহনশীলতা বিকাশ, বিনয়ী হওয়ার উপর জোর দেয়। সদয় হওয়া, কৃতজ্ঞ হওয়া, অবিচল থাকা, সৎ হওয়া, সহযোগিতামূলক হওয়া ইত্যাদি।
এই সমস্ত গুণাবলীর বিকাশ একজন ব্যক্তিকে চরিত্রে সেরা করে তুলবে। অন্যদিকে কুরআন এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর শিক্ষা মানুষকে গীবত না করতে, মিথ্যা না বলতে, সন্দেহ পোষণ না করতে, হিংসা না করতে, রাগ না করতে, গর্বিত না হতে নির্দেশ দেয়। মানুষকে গালি না দেওয়া, ভণ্ড না হওয়া, ঠাট্টা না করা, উপহাস না করা, বৈষম্য না করা, কোনো ধরনের প্রতারণা বা প্রতারণা করা নয়। এসব নেতিবাচকতা কোন সমাজেই গ্রহন করা হয় না।
তাই এটা বিনা কারণ নয় যে, নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন: “মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম তারাই যারা সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী।” (তাবারানী)
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিপ্লব ছিল অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ করা। আর এ বিপ্লবের কারণেই তিনি পৃথিবীর সেরাদেরও সেরা ব্যক্তি হিসাবে আলোচিত।নবী মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর সাহাবীদের ব্যক্তিত্বকে ভেতর থেকে রূপান্তরিত করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ইসলামের জন্য তাদের আনন্দ, আরাম, অর্থ ও জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত করেছিল।
অন্য আয়াতে, আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) সফলতা এবং ব্যর্থতার সাথে ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের বিকাশের কথা বলেছেন। তিনি কুরআনে আমাদের বলেছেন-
قَدۡ اَفۡلَحَ مَنۡ زَکّٰىهَا
وَ قَدۡ خَابَ مَنۡ دَسّٰىهَا
নিশ্চয়ই তিনিই সফলকাম যিনি নিজেকে পরিশুদ্ধ করেন।
এবং তিনি একজন ব্যর্থ যিনি নিজেকে কলুষিত করেন।”
(আশ শামস ৯-১০)
প্রথমে বলা হয়েছে, (قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا) এখানে, زَكَّاهَا শব্দটি تزكية থেকে। এর প্রকৃত অর্থ পরিশুদ্ধতা; বৃদ্ধি বা উন্নতি। বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি নিজের নফস্ ও প্রবৃত্তিকে দুস্কৃতি থেকে পাক-পবিত্র করে, তাকে সৎকাজ ও নেকির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ ও উন্নত করে পবিত্রতা অর্জন করে, সে সফলকাম হয়েছে। এর মোকাবেলায় বলা হয়েছে, دَسَّاهَا এর শব্দমূল হচ্ছে تَدْسِيْسٌ। যার মানে হচ্ছে দাবিয়ে দেয়া, লুকিয়ে ফেলা; পথভ্রষ্ট করা। পূর্বাপর সম্পর্কের ভিত্তিতে এর অর্থও এখানে সুস্পষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ সেই ব্যক্তিই ব্যৰ্থ, যে নিজের নাফসকে নেকী ও সৎকর্মের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ ও উন্নত করার পরিবর্তে দাবিয়ে দেয়, তাকে বিভ্রান্ত করে অসৎপ্রবণতার দিকে নিয়ে যায়। [ফাতহুল কাদীর] কোন কোন মুফাসসির আয়াত দুটির আরেকটি অর্থ করেছেন, সে ব্যক্তি সফলকাম হয়; যাকে আল্লাহ পরিশুদ্ধ করেন এবং সে ব্যক্তি ব্যৰ্থ, যাকে আল্লাহ তা’আলা গোনাহে ডুবিয়ে দেন। [ইবন কাসীর, তাবারী]
আয়াতটি আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের বিকাশকে ব্যাখ্যা করে। ভালো-মন্দ চেনার অনুপ্রেরণার কথা বলা হয়েছে যা ব্যক্তিত্বের বিকাশের অর্থও ব্যাখ্যা করে যা হ’ল পাপাচার থেকে নিজেকে শুদ্ধ করা এবং আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালার) ভয় ও ন্যায়পরায়ণতার দ্বারা পুষ্ট করা।
অন্য কথায়, সত্যিকারের ব্যক্তিত্বের বিকাশ হল নিজেকে এমনভাবে লালন-পালন করা – বা প্রশিক্ষণ দেওয়া – যাতে ধার্মিকতা সৃষ্টি হয় এবং ধার্মিকতা উত্সাহিত হয় এবং বিশিষ্টতা অর্জন করে। এই গুণের বিকাশের মধ্যেই আত্মার প্রকৃত উন্নতি এবং আত্মার পুষ্টি নিহিত।
ব্যক্তির উচিত সর্বপ্রথম নিজেকে কুফরী ও সীমালঙ্ঘন থেকে পরিশুদ্ধ করা এবং ঐশী নির্দেশনা গ্রহণ করা এবং আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তায়ালার) আজ্ঞাবহ বান্দা হওয়া। আনুগত্যের পথ হল শরীয়তের পথ, যা অনুসরণ করে মানুষ সৎ ও সৎকর্মশীল হতে পারে।
ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য কুরআন দ্বারা উপস্থাপিত সর্বোত্তম এবং সবচেয়ে কার্যকর রেসিপি হল আল্লাহর উচ্চতর এবং নিখুঁত শরীয়ত। ব্যক্তিত্ব বিকাশের সঠিক পদ্ধতির দিকে মানুষকে নির্দেশ করার মাধ্যমে, কুরআন মানুষকে সেই সমস্ত অপ্রাকৃতিক ও অপবিত্র পদ্ধতি ও পথ থেকে দূরে রেখেছে যা ব্যক্তিত্ব বিকাশের লক্ষ্যে অন্যান্য অনেক মতবাদের অনুসারীরা উদ্ভাবন করেছে। মানবজাতির জন্য রাসুল প্রেরণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সেকথা কুরআনে একাধিকবার বিবৃত হয়েছে-
هُوَ الَّذِیۡۤ اَرۡسَلَ رَسُوۡلَهٗ بِالۡهُدٰی وَ دِیۡنِ الۡحَقِّ لِیُظۡهِرَهٗ عَلَی الدِّیۡنِ کُلِّهٖ ۙ وَ لَوۡ کَرِهَ الۡمُشۡرِکُوۡنَ
সেই আল্লাহ এমন যে, তিনি নিজ রাসূলকে হিদায়াত (কুরআন) এবং সত্য ধর্ম সহকারে প্রেরণ করেছেন, যেন তাকে সকল জীবন ব্যবস্থার উপর বিজয়ী করে দেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে। (সূরা তওবা ৩৩)
কুরআন চায় মানুষ যেন এই বাস্তবতায় মনোনিবেশ করুক, যাতে সে তার জীবনকে সে অনুযায়ী গঠন করতে পারে এবং সে পৃথিবীর এই পরীক্ষার জায়গা থেকে সফলভাবে ফিরে আসতে পারে। সুতরাং, এই আয়াতটিও ব্যক্তিত্বের বিকাশকে ভিতর থেকে গুরুত্ব দেয়।
ইসলাম ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য একটি সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে। একজন মানুষ জীবিকা অর্জন করতে সক্ষম, বিশুদ্ধ বিশ্বাস, সঠিক উপাসনা, তার আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম, তার সময়ের প্রতি যত্নবান, তার জাগতিক বিষয়গুলিকে সংগঠিত করে এবং তার চারপাশের লোকদের জন্য উপকারী হওয়া উচিত। এই সমস্ত অর্জন করার জন্য, একজন ব্যক্তিকে শারীরিক, আধ্যাত্মিক এবং বুদ্ধিগতভাবে শক্তিশালী হতে হবে। সুতরাং, ইসলাম একজন ব্যক্তির জন্য এই তিনটি মাত্রায় সমানভাবে তার ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য গুরুত্ব দেয়।
ইসলামে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লাম সর্বোত্তম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং তার এ স্বীকৃতি খোদ আল্লাহ কর্তৃক কুরআনে সার্টিফাইড। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) কুরআনে বলেছেন: “وَ اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ ﴿۴﴾ এবং অবশ্যই, আপনি (হে মুহাম্মাদ) চরিত্রের একটি উচ্চ মানদণ্ডে আছেন।” (সূরা আল কলম ৪)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নৈতিক চরিত্রের সর্বোত্তম সংজ্ঞা দিয়েছেন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা। তিনি বলেছেন, কুরআনই ছিল তার চরিত্র। [মুসনাদে আহমাদ: ৬/৯১] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সত্তায় আল্লাহ তা’আলা যাবতীয় উত্তম চরিত্র পূর্ণমাত্রায় সন্নিবেশিত করে দিয়েছিলেন।
তিনি নিজেই বলেন, “আমি উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দান করার জন্যই প্রেরিত হয়েছি। [মুসনাদে আহমাদ: ২/৩৮১, মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৬৭০] প্রকৃতপক্ষে, আয়েশা (রাঃ) নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-কে এভাবে বর্ণনা করেছেন: “তাঁর চরিত্র ছিল কুরআন।”সুবহান আল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আমাদের ব্যক্তিত্ব গঠনের তৌফিক দিন।আমিন।
লেখকঃ কলাম লেখক এবং সাবেক এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি
…………………………………………………………………………………………………………………………
মহীয়সীর প্রিয় পাঠক! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল, আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ গল্প ও কবিতা পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেইজ মহীয়সী/Mohioshi-তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হ্যাঁ, মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইল-
[email protected] ও [email protected] -এ; মনে রাখবেন, “ধন দৌলত খরচ করলে কমে যায়, কিন্তু জ্ঞান বিতরণ করলে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়”। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকেই দ্বীনি জ্ঞান দান করেন।” (সহিহ বুখারী- ৭১, ৩১১৬, ৩৬৪১, ৭৩১২, ৭৪৬০; মুসলিম- ১০৩৭; ইবনে মাজাহ- ২২১) ।
মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম; আজই আপনি যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে। আসুন, ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি। আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমীন।