।। ডঃ তাহনিয়া তরিক ।।
বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্যণীয় ১লা ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে।২০১৩ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নাজমা খান স্কুলে হিজাব পরিধান করে যাওয়ায় নানাভাবে অপমানিত হয়। তারই প্রতিবাদে সে হিজাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে র্সবপ্রথম হিজাব দিবস পালনের পক্ষে প্রচারণা চালায়। তারই ধারাবাহিকতায় পরে মুসলিম দেশগুলোতে এই দিবসটি পালনের প্রচলন শুরু হয়।
এই দিবসটিই প্রমাণ করে মুসলিম নারীদের হিজাবের সুপরিচিতি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সুন্দরভাবে বিদ্যমান। অন্তত ৯০% মুসলমান মেয়ে মাত্রই শব্দটির সাথে সম্পৃক্ত। একটুকরো সুন্দর কারুকার্য খচিত বস্ত্রে নিজের মাথাকে আবৃত করে নিয়ে এদিন মুসলিম রমণীরা এমনকি কোন কোন অমুসলিম ললনারাও হিজাবকে সম্মান প্রদর্শন করে। মূলত: হিজাব শব্দটি এখন দেশে দেশে মুসলিম নারীদের শির আবৃত করার কাজে ব্যবহৃত কাপড়ের প্রতিশব্দ হিসাবেই প্রচলিত হয়ে উঠছে। সেই কাপড় গন্ডদেশ বা বক্ষদেশকে পরপুরুষের দৃষ্টি থেকে আড়াল করল কিনা সেটা বড় কথা না,সবচাইতে বড় কথা হলো কে সবচাইতে বেশী আকর্ষণীয় হিজাব সরঞ্জাম দিয়ে নিজেকে সুসজ্জিত করতে পারলো!‘ হিজাব ইজ মাই প্রাউড’ লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে যে বোনটি নিজেকে হিজাবধারী হিসাবে প্রমাণ করতে চাইছে, সেই বোনটিরও মাথার হিজাব নামক বস্ত্র খন্ডটিও কন্ঠদেশকে অতিক্রম করেনি।
আরও পড়ুন-
এর কারণ কি? এর কারণ হলো ‘হিজাব’ শব্দটির মূল অর্থ ও তাৎপর্যকে বুঝার ব্যাপারে অজ্ঞতা। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ‘ হিজাব’ শুধু এক টুকরো সুশোভিত বস্ত্রের নাম নয়,যা শর্ট ড্রেস কিংবা টাইট জিন্সের উপরও পড়া হয়। বরং হিজাব’ হলো একটি পরিপূর্ণ ব্যবস্থার নাম, যা পরিশুদ্ধ পরিবার ও পবিত্র সমাজ গঠনের নিয়ামক হবে। এ ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ কিছু বিধি বিধানের সমন্বয়ে সমাজে অবস্থানরত পুরুষ ও নারী সদস্যের আচরণকে,গতিবিধিকে সুনিয়ন্ত্রিত করে তাদেরকে অপবিত্রতা ও পংকিলতা থেকে নিরাপদে রাখবে। এ ব্যবস্থা হবে নারীকে যাবতীয় অনাকাংখিত ঘটনা থেকে হেফাজতের জন্য মহান আল্লাহ প্রদত্ত রক্ষা কবচ।
আরও পড়ুন-
হিজাব নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তার রক্ষাকবচ
লেখকঃ লেখক ও শিক্ষক, তানযীমুল উম্মাহ গার্লস মাদ্রাসা, উত্তরা, ঢাকা
…………………………………………………………………………………………………………………………
মহীয়সীর প্রিয় পাঠক! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল, আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ গল্প ও কবিতা পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেইজ মহীয়সী/Mohioshi-তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হ্যাঁ, মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইল-
[email protected] ও [email protected] -এ; মনে রাখবেন, “ধন দৌলত খরচ করলে কমে যায়, কিন্তু জ্ঞান বিতরণ করলে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়”। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকেই দ্বীনি জ্ঞান দান করেন।” (সহিহ বুখারী- ৭১, ৩১১৬, ৩৬৪১, ৭৩১২, ৭৪৬০; মুসলিম- ১০৩৭; ইবনে মাজাহ- ২২১) ।
মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম; আজই আপনি যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে। আসুন, ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি। আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমীন।