।। শহীদ সিরাজী ।।
বৃক্ষটির ডালপালা কেটে নেয়া হচ্ছিল। পাপড়ি না মেলতেই ছিড়ে ফেলা হচ্ছিল ফুল। কুঁড়িরাও ঝরে পড়ছিল আর শিকড় কাটা চলছিল। যেকোনো সময় উপড়ে ফেলা হবে এমন যখন অবস্থা তখন ঘটলো বিস্ময়কর ঘটনা। দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর সেই বৃক্ষের শুকনো ডালে এখন আবার নতুন করে পাতা গজাচ্ছে, ফুল ফুটছে, ফল হচ্ছে। লোকেরা ছুটে আসছে সেই বৃক্ষের নিচে। ফুলেল ঘ্রাণ মাখছে আর শীতল হাওয়া গ্রহন করছে।
কি চমৎকার কল্যাণকর বৃক্ষ! কল্যাণকর এ বৃক্ষটির নাম ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ব্যাংক। নতুন করে জীবন পেয়েছে, ফুল ফুটছে, ফল ধরছে।
বক্তারা ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশে ব্যাংকের বেঁচে ওঠার গল্প শুনাচ্ছে। বক্তৃতা শুনে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে ভাবছি এসব। পুরানো গল্প নতুন করে এসে হৃদয়কে আপ্লুত করছে। তবে গল্প হলেও এটা আদৌ গল্প নয়। হঠাৎ খুলে যাওয়া বদ্ধ জানালা পথে যেন ছুটে আসছে দখিনা হাওয়া। মন-প্রাণ ঠাণ্ডা করা দিচ্ছে।
ভাবছি এসব শুনে হয়তো সকলের মনের দ্বন্দ্ব, দুশ্চিন্তা কুপোকাত হবে। দলবেঁধে পটল তুলতে প্রতিযোগিতা করবে তথাকথিত স্বৈরাচারের দোসররা। আর ব্যাংকে যারা টাকা রেখেছিলেন তাদের হৃদয়ে দুশ্চিন্তাতে যে চৈত্রের খরা ছিল বক্তৃতা শুনে তাতে এখন শান্তির বৃষ্টি হচ্ছে।
গল্পটা ইসলামী ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর। তাদের উত্তরা শাখার গ্রাহক সমাবেশে মাঝ পথেই অনেকটা অনুপ্রবেশ করে অনেককে হতচকিত করে দিলেও আমি নিজে অনুপ্রাণিত হলাম। দেখছি স্টেজে বসে আছেন ব্যাংকের আদি ও অকৃত্রিম দুই পিলার। প্রাক্তন দুই ডিএমডি জনাব নূরুল ইসলাম ও জনাব সেতাউর রহমান। বক্তব্য চলছে। প্রাক্তন ইভিপি জনাব আশেক আহমেদ জেবাল বললেন,
“এ ব্যাংককে কিছু ডাকাত হাইজ্যাক করেছিল, তারা বিতাড়িত হয়েছে। কেন হয়েছে জানেন? কারণ এটি আল্লাহর ব্যাংক। ব্যাংককে রক্ষা করার দায়িত্ব আল্লাহর। যে ব্যাংকটির জন্ম হয়েছিল আল্লাহর ঘরের মাতাফ চত্বরে বসে সিদ্ধান্তের আলোকে।”
একটা চমৎকার হৃদয়বিদারক গল্প উপস্থাপন করে তিনি বললেন, ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান যিনি, তিনি তখনও চেয়ারম্যান হননি জনাব আব্দুর রাজ্জাক লস্কর। ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কাজে বিদেশে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এমন অবস্থা হলো হয়তো তিনি বাঁচবেন না। এটা জেনে তাঁর স্ত্রী বিদেশে রওনা হয়ে সরাসরি স্বামীর কাছে না গিয়ে আগে আল্লাহর ঘর কা’বা শরীফে গিয়ে প্রথমে ওমরা করলেন। তারপর কাবার গিলাব ধরে কেঁদে কেঁদে আল্লাহকে বললেন,
‘হে আল্লাহ! আমার স্বামী যদি মারা যায় তাহলে হয়তো আর ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হবে না। তুমি আমার হায়াত নিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তুলো।”
বিস্ময়কর ঘটনা। জনাব আব্দুর রাজ্জাক লস্কর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেন এবং তার প্রিয়তমা স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়তে লাগলেন। শেষে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি পরপারে পাড়ি জমালেন। আল্লাহর ইচ্ছাই আব্দুর রাজ্জাক লস্কর আবারও সুস্থ হয়ে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। এভাবেই একজনের হায়াত বিক্রি করে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা আল্লাহর ব্যাংক। সে ব্যাংককে নষ্ট করার কিংবা ধ্বংস করার শক্তি কারো নেই।”
অভিভূত হয়ে সকলেই শুনছে সেই বিস্ময়কর গল্প। আরেক বক্তা ডিএমডি জনাব সেতাউর রহমান। তিনি বললেন,
“ব্যাংক প্রতিষ্ঠা সময় এ নিয়ে কত ঠাট্টা- মশকরা হয়েছে। যখন আমরা ব্যাংকে যোগদান করি তখন অনেকেই সতর্ক করে বলছিল, হুজুর, মোল্লাদের ব্যাংক এটা কি চলবে? আপনারা যোগ দিচ্ছেন বেতন ভাতা পাবেন তো?”
আরো একটা মজার ঘটনা উল্লেখ করলেন তিনি। তখন ব্যাংকের ডিরেক্টরশীপের জন্য শেয়ার ভ্যালু ছিল মাত্র পাঁচ লাখ। উদ্যোক্তারা সেই অর্থ সংগ্রহ করতে পারছেন না দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এক পর্যায়ে এক ধনী ব্যবসায়ীর কাছে তার ডিরেক্টরশীপের জন্য পাঁচ লাখ টাকা চাইলে তিনি বললেন, “দেখুন, আপনি আমার বন্ধু মানুষ; তবে আপনার কথায় আমি ৫ লাখ টাকা পানিতে ফেলতে পারবো না।”
আরও পড়ুন-
এভাবেই শুরুতে এ ব্যাংক নিয়ে কত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়েছিল। আপনারা এখন বুঝতে পারছেন এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোক্তাদের কত কথা শুনতে হয়েছিল, কত শ্রম দিতে হয়েছিল, কত ঘাম ঝরাতে হয়েছিল।
এই সেই ব্যাংক ! বাংলাদেশের সেরা ব্যাংক। ব্যাংক নিয়ে অনেক কিছু হয়ে গেছে। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, লুটপাটও হয়েছে। ষড়যন্ত্রের কারণে কিছুটা অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এখন তা কেটে যাচ্ছে সকলের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার ইসলামী ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আল্লাহর ব্যাংক আল্লাহ রক্ষা করেছেন।
ব্যাংকের অন্যতম প্রাক্তন ডিএমডি জনাব নুরুল ইসলাম। তিনিও ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা লগ্নের অনেক অজানা গল্প তুলে ধরলেন। বললেন, “এ ব্যাংক অনেকের শ্রমের, ত্যাগের ও ভালোবাসার। যখন এ ব্যাংকে আমি জয়েন করি তখন আমার তিনটা চাকরির অফার ছিল। আমি সব সেরা অফারগুলোকে বাদ দিয়ে এখানে জয়েন করেছি। তখন বলেছিলাম যদি আমাকে এই ব্যাংকে পিয়নের চাকরিও দেয়া হয় তবুও আমি তা করব। আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য করব।”
ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের গল্প শুনতে শুনতে সমাবেশের সকল গ্রাহক যেমন বিস্মিত হচ্ছেন তেমন দারুণ উজ্জীবিতও হচ্ছেন। ব্যাংকের নানা দিক তুলে ধরে তার প্রশংসা করে আগে অনেকেই বক্তব্য রেখেছিলেন। একজন বললেন,
“আমি এ ব্যাংকের গ্রাহক হয়েছি কেন জানেন? যদিও এ ব্যাংক এসে আমার অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটেছে অনেক। তারপরও বলবো এটা কিন্তু আমার প্রধান কারণ নয়। বরং এর পরিবেশ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। যা আমার অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নামাজের সময় হলে সকলে নামাজ পড়েন। কেউ ধূমপান করেন না। দুটো খারাপ অভ্যাসই আমার ছিল। তবে ব্যাংকের পরিবেশ আমাকে যেমন ধূমপান ছাড়িয়েছে তেমন নামাজ পড়া শিখিয়েছে; আর এই কারণে আমি এই ব্যাংকে ব্যাংকিং করছি। আলহামদুলিল্লাহ।
এসব কথা শুনতে শুনতে মনে পড়ছে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের আরো কত নিবেদিত প্রাণ নেতৃত্বের নাম। মনে পড়ছে ইসলামী আন্দোলনের বীর সিপাহসালার ইসলামী অর্থনীতির রূপকার ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ মীর কাশেম আলীর কথা। তাঁর কথা মনে পড়তেই মনটা হৃদয়ের পানিতে ভিজে কাদা কাদা হয়ে গেল। কত স্মৃতি রয়েছে স্যারের সাথে।
আমি তখন তরুণ অফিসার। ইসলামী ব্যাংক তারাকান্দি শাখার ম্যানেজার। তিনি সফরে গিয়েছেন। সালাম বিনিময়ের পরে আমার দিকে তাকিয়ে প্রথমেই তিনি বললেন,
” শহীদ! তুমি কি শুকিয়ে গেছো?”
কি বিস্ময়কর স্মৃতিশক্তি কি বিস্ময়কর প্রতিভা! আর কেমন আদরমাখা কথা! আমার মত ছোট্ট একজন অফিসারকে তিনি মনে রেখেছেন! নাম ধরে ডেকেছেন! পরম মমতায় আমার খোঁজ খবরও নিলেন ! যতবার সেসব কথা স্মরণ করি ততবারই চোখের পানি আপন গতিতে নদী হয়ে বয়ে যায়।
আরও এক ইসলামী ব্যাংক আন্দোলনের সিপাহসালার ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ইউনুস। ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে তার ভূমিকা ও ত্যাগের কথা কে-না জানে! তাঁর মৃত্যুর ঠিক আগের ঘটনা। আমি তখন ইসলামী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখা ব্যবস্থাপক। তিনি আমাদের গ্রাহক শাহান হিমাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছেন উদ্বোধন করে চলেও গেছেন। ঢাকায় ফিরে পরের দিন সরাসরি টেলিফোন করে জিজ্ঞেস করলেন,
”শহীদ! তুমি কেমন আছো? আমি একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তোমার জন্য সতর্কতা! হিমাগার উদ্বোধন করেছ ঠিক আছে; তবে চোখে চোখে রাখবে। ব্যাংকের ফান্ড যেন কোন অবস্থায় ড্রাইভার্ট না হয়।”
বিস্মিত না হয়ে পারলাম না। কতটা সরলমনা ও উদার তিনি। ঢাকা ফিরেই প্রথমেই আমার ব্যক্তিগত খোঁজ নিলেন! এমন আদর মাখা কথায় সতর্কতার বাণী উচ্চারণ করলেন! কিভাবে ভুলতে পারি! উল্লেখ না করে পারছি না তাঁর এই অসুস্থতায় ছিল শেষ অসুস্থতা।
আরও পড়ুন-
ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আবু নাসের মোঃ আব্দুর জাহের। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। আল্লাহ স্যারকে সুস্থ রাখুন ও হায়াত দারাজ করুন। একবার প্রায় মধ্যরাতে তিনি টেলিফোন করেছেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যানের টেলিফোন ! স্বভাবতই আমি টেনশনে পড়লাম। তিনি বললেন,
শুনলাম, তুমি হজে যাচ্ছো, ফিরতে দেরি হবে। যাওয়ার আগে একটা ফাইলের নাম উল্লেখ করে বললেন, মতামত দিয়ে যাবে, বেচারা ব্যবসায়ের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আবেদন করেছে কিছুটা ক্ষতিপূরণ মাফ করে দেওয়ার জন্য। আমি অবাক না হয়ে পারিনি। ভাবলাম , আমরা জানি সম্মানিত চেয়ারম্যান স্যার কতটা নীতিবান। আইন প্রয়োগ জিরো টলারেন্স থেকেও একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কতটা পেরেশান তাকে ইহসান করতে চান!
মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে স্যারের কাছে গিয়েছি। তখন স্যারকে কিছুটা অসুস্থ মনে হচ্ছিল। জামাইয়ের পরিচয় দিয়ে বললাম, আপনার ছেলের বন্ধু! সলিমুল্লাহ মেডিকেল থেকে পাশ করেছে। শুনে তিনি মিষ্টি ভেসে বললেন, “আচ্ছা যাও তোমার মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানে আমি যাব।”
আরো কত বিরল ইতিহাসের গল্প জমা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের ইতিহাসে।
এসব কিংবদন্তি, সরলমনা, নির্লোভ আর বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারীরাই ছিলেন ব্যাংকের স্পনসার ডিরেক্টর, পরিচালনা পরিষদের সদস্য। তাঁদের প্রতিভা, দূরদর্শিতা, খুলুসিয়াত, অনড় মনোবল, বৈষম্যহীন নীতি ও তার প্রয়োগ ইসলামী ব্যাংকের এমন সফলতা এনে দিয়েছিল।
আলোচনা চলছে। অনেকটা অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম। আবার ধাতস্থ হয়ে শুনতে লাগলাম। তাদের আলোচনা শুনতে শুনতে মনে পড়ল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মহোদয়ের কথা। ইসলামী ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে গভর্নর মহোদয় পর্যন্ত অবাক হয়েছেন । তিনি বলতে বাধ্য হয়েছেন এটা একটা মিরাকল। গত তিন চার মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকে ৪-৫ হাজার কোটি টাকা ক্যাশ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিন চার মাস আগেও যে ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো ছিল নেগেটিভ অল্পদিনের তা এখন পজিটিভ হয়েছে।
সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের সাথে টকশোতে যখন গভর্নর মহোদয়কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এটা কিভাবে সম্ভব হলো,
তিনি বললেন, আস্থা! এটা মানুষের আস্থা ছাড়া কিছুই নয়। কি আরো বললেন, তাদেরকে যখন বললাম এখন বেশি করে টাকা নিবেন না। কম কম করে টাকা উত্তোলন করেন। ইনশাআল্লাহ আপনারা সব টাকা ফেরত পাবেন। বাস্তবে এটাই হয়েছে ইসলামী ব্যাংক আবার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বক্তাদের চমৎকার আলোচনা সকলের কাছে এটা পরিষ্কার হলো যে এ ব্যাংক এমনি এমনি সৃষ্টি হয়নি। অনেক চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয়েছে। মাঝে স্বৈরাচারের সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আবার ফিরে দাঁড়াচ্ছে, ভয় কেটে যাচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে যে অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছিল তা এখন দূর হয়েছে বটে তবে এখনো অনেক বিষয় আছে যা মোকাবেলা করতে হবে।
মনে পড়ছে যখন জবে ছিলাম তখন গ্রাহকদের কত কথা বলতাম। বলতাম, প্রত্যেককে দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হয় যেমন সময় শিশুর জন্য অর্থের প্রয়োজন হয় এবং মৃত্যুর সময় কাফনের জন্য অর্থ প্রয়োজন হয়। এসবই লেনদেনের জন্য ব্যাংকে যেতে হয়। যেহেতু সুদমুক্ত ব্যাংকিং আমাদের করতে হবে সুতরাং ইসলামী ব্যাংকেই যেতে হবে। এই কারণে ইসলামি ব্যাংক সকলের ব্যাংক। ইসলামি ব্যাংক আপনার ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক ইসলামের অস্তিত্বের ব্যাংক, আপনার অস্তিত্বের ব্যাংক। মনে করতে হবে ইসলামী ব্যাংক আমাদের এক সন্তান।
এই ব্যাংকের সাথে এখন দেশের অর্থনৈতিক অস্তিত্ব জড়িত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ রয়েছে। মুটে মজুর থেকে শুরু করে বৃহৎ শিল্পেও এই ব্যাংকের বিনিয়োগ রয়েছে। দেশের জাতীয় উন্নয়নে এ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এই ব্যাংক পরকালীন সন্তুষ্টির জন্য ব্যাংক। অফিসারদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাস্টিসের পরিপন্থী কোনও কাজ আমরা করবো না। এভাবে আলোচনা চলতে চলতে এক সময় একটা চমৎকার স্লোগানের মাধ্যমে সমাপ্তির দিকে এগোলো গ্রাহক সমাবেশ। । স্লোগানটি হলো,
“গ্রাহক আস্থায় ফিরবে দিন
দেশ গড়ার অংশ নিন।”
এ স্লোগানকে ধারণ করে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে প্রোগ্রামের সমাপ্তি টানা হলো। আমিও অবসর জীবনের এই মুহূর্তে কিছু সময়ের জন্য হলেও যেন অতীতে ফিরে গিয়ে ব্যাংকের স্মৃতি রোমন্থন করতে লাগলাম।
কবিঃ কবি , সাহিত্যিক এবং সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি
…………………………………………………………………………………………………………………………
মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা, গল্প, কবিতা পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে- [email protected] ও [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে । আসুন ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।