Ads

রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা

।। শওকত আলম ।।

রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখা কর্মসূচি বাস্তবায়ন একটি দেশের কালজয়ী ঐতিহাসিক ঐতিহ্য গত রাজনৈতিক ভাবধারার বহিঃপ্রকাশ। রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে যুগেযুগে সংস্করণ নীতিমালা ইতিহাসে সোনার হরফে স্থান করে ন্যায় এবং এটাই ঐতিহাসিক বাস্তবতার রাজ সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন গাঁথে। তেমনি এককাল সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে শতধারায় রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখার আদ্যপ্রান্ত কালিকলমে প্রকাশ করা হলো। বাংলাদেশের মা- মাটির ভাবধারায় ভাববাদ ও বস্তুবাদের নিরিখে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব সমুহ নিন্মলিখিত ছকে চয়ন করা হলো।
০১. ক. বাংলাদেশে সকল প্রকার কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদন্নোতি ক্ষেত্রে প্রাথমিক শ্রেষ্ঠতম নীতি হবে নিন্মরুপঃ
ক. প্রার্থীর পিতা মাতার তিন পুরুষের মধ্যে কেউ প্রতিবন্ধী, গালদিয়ে লালা ঝরা, হাবাগোবা, পাগল এই জাতের যে কেউ থাকলে তিনি নিয়োগ বা পদন্নোতি পাবেন না।
খ. উক্ত তিনপুরুষের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা সংগ্রহ ও ডিএনএ আরএনএ টেস্ট এর স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ, পদন্নোতি প্রদান করার নীতিমালা গ্রহণ।
০২. ঘুষবাণিজ্য মুক্ত স্বচ্ছতার ভিক্তিতে সকল প্রকার নিয়োগ প্রদান করা।
০৩. রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
০৪. দূর্নীতিবাজ মামলাদের, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অপসারণ ও তালিকা প্রকাশ।
০৫. ভূমিহীনদের তালিকা প্রকাশ ও জমিদান বা খাস জমির বন্ধবস্থ ব্যবস্থার পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সেই ভূমিহীন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থান প্রদান করা এবং দৃষ্টান্ত মূলক উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা। তাদেরকে আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য পুঁজি প্রদান করা।
০৫. চাকরির ক্ষেত্রে বয়সে সীমানার ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া এবং চুক্তি ভিত্তিক যোগ্যতানুসারে কর্মসংস্থান প্রদান ও প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচি সরকারের হাতে নেওয়া।
০৬. জাতীয় সম্পদ আত্মসাৎ ও রাঘববোয়ালদের শ্বেতপত্র গেজেট প্রকাশ করা।
০৭. পরীক্ষিত সৎ চরিত্রবান মেধাবী অফিসারদেরকে মেধাভিত্তিক কর্মকর্তাদের কর্ম বন্ঠন করা।
০৮. ইউনিয়ন পরিষদ ভিত্তিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদেরকে নতুন মোড়কে ঢেলে সাজানো। বিশেষ করে ইনসাফ ও সুবিচার ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠান করা। একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারা গ্রহণ। শিক্ষিত জনবহুল করে নেতৃত্ব গোড়ে তোলা।ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান হবেন বা তার পদবী হবে ইউনিয়ন গর্ভণর বা ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট (বা ভিন্নকিছু নামও হতে পারে)। তবে ক্ষমতা হবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আদলে কিন্তু বিচার সালিশ কেন্দ্রেবিন্দু হবে কঠোর ন্যায়নীতির ভিত্তিতে। পুরো ইউনিয়ন পরিষদের এর ওয়ার্ড সংখ্যা হবে তিন কিন্তু প্রতিটি ওয়ার্ড এর প্রতিনিধিদের সংখ্যা হবে তিন। তাদের পদবী হবে ওয়ার্ড গভর্ণর। সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি হবে তিন।প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন করে মহিলা প্রতিনিধিত্ব করবেন। মহিলা ওয়ার্ড প্রতিনিধি পদবী হবে মহিলা ওয়ার্ড গভর্নর। ইউনিয়ন পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা হবে ১২ জন। এই ১২ সদস্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী। এই শূন্য স্থানে আনতে হবে সমাজের ক্রীম ইমেজের মানুষগুলোকে। স্থানীয় সুশাসন প্রতিষ্ঠালাভ করলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। বিচার ন্যায়নীতির ভিত্তিতে হলে অপরাধ প্রবনতা অনেক অংশে কমে যাবে।

আরও পড়ুন-

মুসলিম উম্মাহর পতনের কারণ ও উত্তরণের উপায়

০৯. সবার আগে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করতে হবে।
যাতে করে কোন ধরনের প্রভাব প্রতিপত্তি গোলকধাঁধা কেউ না খাটাতে পারে।
১০. সরকারি অবকাঠামোকে শক্তিশালী করনের জন্য হ্যা / না ভোটের ব্যবস্থার একটি রূপদান করা যেতেও পারে। তার জন্য জোর সুপারিশ রাখছি। পরিপাটি একজন আদর্শবান মানুষ দ্বারাই এটা করা সম্ভব। সেটাই হবে আন্তর্জাতিক মানের সেরা মডেল। সবদলের সমতার ভিত্তিতে সদস্য প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং সরকার গঠন হবে জাতীয় সরকার।
১১. ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ এর পরে যারা অপরাধ জগতে জড়িত তাদের সকলেই কোনো ধরনের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এই মর্মে রুল জরি বা আইন পাশ করতে হবে।
১২. ভারতের সঙ্গে লেজুড় ভিত্তি রেখে যে সকল রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পথ চলবে তার কেউ রাজনৈতিক ভাবে, কৌশল গত ভাবে জাতীয় ও স্থানীয় কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
১৩. দেশের অর্থ পাচারের ঘটনায় জড়িত যে কেউ কখনো নির্বাচনে, বা কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
১৪. আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ পৃথক প্রতিষ্ঠান হয়ে নিজস্ব সত্ত্বায় কর্মসম্পাদক করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
১৫. আয়না ঘরের বিচার করতে হবে। যারা এই কাজে সহযোগীতা করেছে এবং এই অপকর্মে সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
১৬. বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে এবং সেই সাথে জুডিশিয়াল সকল হত্যার বিচার করতে হবে।
১৭. দেশের অর্থ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
১৮. সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ জাতীয় স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এই মর্মে আইন পাশ করতে হবে।
১৯. দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নত্ব রাজনৈতিক দল নেতাকর্মী জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এই মর্মে আইন পাশ করতে হবে।
২০. ঘুষের সাথে জড়িত প্রমাণ পেলে তাদেরকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে হবে এবং এই বংশের কেউ আর আগামীতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে আসতে পারবেন না। এই মর্মে আইন পাশ করতে হবে।
২১. জাতীয় সম্পদ লুটপাটকারীদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে।
২২. সকল ধান্ধাবাজ টেন্ডাবাজি লুটপাট বন্ধ করতে হবে। এই মর্মে আইন পাশ করতে হবে।
২৪. সরকারি ভাবে সৎ চরিত্রবান অফিসারদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে এবং পুরস্কার সংবর্ধনা প্রদান করতে হবে।
২৫. দেশে কোরআন হাদীস ভিত্তিক আইন পাশ করতে হবে।
২৬. মদিনার সনদকে সর্বদা মর্যাদার চোখে দেখতে হবে।
২৭. অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের আদর্শ ও মর্যাদার চোখে দেখতে হবে আইনগত ব্যবস্থায়। কেনো ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না।
২৮. দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। দূর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
২৯. জেল কারাবন্দীদের প্রতি নিষ্ঠুরতম আচার-আচরণ পরিহার করতে হবে এবং সুবিচারের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৩০. মুক্ত বাণিজ্যিক দ্বার উন্মোচিত করতে হবে এবং মাতৃভাষা চর্চার প্রচার প্রসার সম্প্রসারণ করতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্যেরে সাথে সাথে বাংলা ভাষা, ভাষা চর্চার গুরুত্ব দিতে হবে।
৩১. শিক্ষাখাতের সকল প্রকার দূর্ণীতি বন্ধ করতে হবে।
৩২. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে দূর্নীতি মুক্ত করতে হবে এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে।
ধান চাষ ও মৎস্য চাষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। তার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা করতে হবে।
৩৩. দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেডিটেশন চর্চার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে, সুনাগরিক তৈরী করার নিমিত্তে।
৩৪. দেশের পাঠ্য পুস্তক ঢেলে সাজাতে হবে আধুনিক ধাচে এবং ইসলামিক সংস্কৃতির মূল্যবোধের আলোকে।
৩৫. ৩৬ জুলাই-২০২৪ গণহত্যা ও গণঅভ্যুত্থানের সময় যে সমস্ত লেখক কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকগণ লেখালেখি করেছেন তাদেরকে সরকারি ভাবে “শ্রেষ্ঠতম কলমযোদ্ধা” হিসেবে সম্মাননা সনদ প্রদান করতে হবে। সেই সাথে তাদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে।
৩৬. পতিতাদের পুর্নবাসন করতে হবে এবং হিজড়াদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩৭. কারিগরী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে এবং তাদেরকে সরকারি ভাবে আর্থিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।

আরও পড়ুন-

একাত্তরে যে কারণে পাকিস্তানের বিভাজন চায়নি জামায়াতে ইসলামী

৩৮. বাংলাদেশের সকল যুবককে বাধ্যতামূলক সৈনিক হিসেবে যুদ্ধের ট্রেনিং প্রদান করতে হবে এবং কোনো সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তি যুদ্ধের ট্রেনিং গ্রহণ করতে চাইলে তাঁকে সেই সুযোগ প্রদান করা।
৩৯. ঘরে ঘরে কুঁঠির শিল্পগড়ে তোলা আর শিল্প কারখানা গড়ে তোলার গণ উদ্যোগ সৃষ্টি করা।
৪০. প্রতিটি উপজেলায় অনন্ত একটি করে সরকারি কামিল (এমএ) মাদ্রাসা গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
৪১. বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিন সটকোর্স ইউনানী মেডিকেল, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল, হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কোর্স চালু করার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করা।
৪২. পৃথিবীতে বাংলাদেশের যত দূতাবাস আছে সেগুলোকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করণ। প্রয়োজনে নতুন নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ।
৪৩. বাংলাদেশের আর্মি, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিপি, কোর্স গার্ড, সকল প্রকার পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক ধাঁচে সাজানো এবং বিশ্বের মাঝে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গড়ে তোলা ।
৪৪. ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় ফৌজদারী কার্যবিধি ও দেওয়ানী আইনকে সোজাসাপটা দ্বীনকে অনুস্মরণ ও অনুকরণ করা।
৪৫. সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করণীয় সেটা জন্য সব পন্থা অনুস্মরণ করণের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করা, এই গতিধারা হাতে নেওয়া এবং দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪৬. বাংলাদেশ বার কাউন্সিল শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরীক্ষার্থীদের দাবিদাওয়ার প্রতি সুদৃষ্টি রেখে আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদান এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবিদাওয়া মেনে বার কাউন্সিল আইনের সংস্করণ ও সংশোধন করা।
৪৭. বাংলাদেশে প্রতি বৎসর হাজার হাজার দেওয়ানিমোকদ্দমা ও ফৌজদারী মামলা রুজু হয় কিন্তু তার শেষ নামাতে যুগযুগ অপেক্ষা করতে হয়। এই জটিল জালের বন্দীদশা থেকে আমাদের জাতীয় ভাবে বেরিয়ে আসতে হবে। তার জন্য নতুন করে আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্করণ করতে হবে। দেশে হাজার হাজার এলএলবি পাস ও এলএলএম পাস শিক্ষিত জনশক্তি আছে, তাদেরকে বাংলাদেশ সরকার কাজে লাগাতে পারে। এই ক্ষেত্রে এই আইনজ্ঞ জনগোষ্ঠীকে বিচারিক কাজে লাগানো যেতে পারে। বিচার সংস্কৃতিক ব্যবস্থাকে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে, তাহলে সুবিচার করা এবং সুবিচার পাওয়া অতি বাস্তবতায় সহজ হবে। বিচারিক মামলার জট সরলীকরণের জন্য যারা আইনত আইন পেশায় আসতে চায় এবং বিচারিক কাজে সহযোগিতা করতে চায় এবং এই পথে জীবনকে দেশ সেবার কাজে লাগাতে চায়। এই জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জটিল সমীকরণ সহজ সরলীকরণে মেলানো সম্ভব।
৪৮. সৎ চরিত্রবান রাজনীতিবীদ, রাষ্ট্র বিজ্ঞানে বিজ্ঞ , সমাজ বিজ্ঞানে বিজ্ঞ, ও ন্যায়নীতি পরায়ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মন্ডলীদের রাষ্ট্র সংস্করণ সহযোগিতার কাজে লাগানো।
৪৯. বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা।
৫০. দেশের জলাবদ্ধতা নিরসনে গণকর্মমুখি কর্মসূচি গ্রহণ। এই জলাশয় ও জলাভূমিকে উন্নত চাষাবাদের আওতায় আনা।
৫১. নদী শাসন প্রকল্পে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সকল নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা। এবং জলাবদ্ধতার অবশান ঘটানো ও এই জলা ভূমিকে চাষাবাদের আওতায় আনা। লবণপানি মুক্ত জনপদ গড়ে তোলা।।
৫২. দেশের পতিতো জলাশয়, হাওড় বাওড় জলাধারাকে মাছ চাষের আওতায় আনা এবং পরিজাত অতিথি পাখি বসবাসের পরিবেশ তৈরি করা।
৫৩. বাংলাদেশের সুন্দরবন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রমে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ তৈরী করা। বাঘ,হরিণ, বানর, বন্যশুকুরসহ সকল প্রাণী সংরক্ষণ, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। তাদেকে পুষ্টিমান খাদ্য সরবরাহ করা ও সুচিকিৎসা প্রদান। দেশের মধ্যে অন্যান্য বনাঞ্চলগুলোকে অনুরূপ ব্যবস্থার আওতায় আনা।
৫৫. সুন্দর বনের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশ জলসীমা বঙ্গোপসাগর এবং সুন্দরবনাঞ্চলকে কেন্দ্র করে পর্যাটক পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ ও দৃশ্যমান বাস্তবায়ন করা।
৫৬. হেফাজতের গণহত্যার বিচার করতে হবে আন্তর্জাতিক আদালতে।।
৫৭. নিষ্ঠুর ও নির্মম পিলখানা হত্যার বিচার করতে হবে।
৫৮. ১৯৭১-২০২৫ সাল পর্যন্ত সকল সীমান্ত হত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্ষতি পূরণ আদায় করতে হবে।
৫৯. সকল রাজনৈতিক হত্যা,গুম,খুনের বিচার করতে হবে।

আরও পড়ুন-

সেনা নায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক

৬০. ৩৬ জুড়ে -২০২৪ এর সকল শহীদ, আহত পরিবারকে ক্ষতি পূরণ দিতে হবে এবং তাদের পরিবারগুলোকে পূর্নবাসন করতে হবে। এই সকল হত্যা,গুম,খুনের বিচার করতে হবে। বিচার শেষে অপরাধীদের শহীদ পরিবার ও দেশের আপামর জনসাধারণ ফাঁসি চায়।
৬১. সরকারি চাকরিজীবীগণ এক হাতে অবসার গ্রহণ বার্তপত্রের সাথে সাথে পেনশন ভাতাও চায়। হয়রানি মূলক নীতিমালার অবশান করতে হবে।
৬২. সচিবালয়ে ঘুষ ছাড়া ফাইল চলে না, এই নীতিমালা থেকে ন্যায়নীতি সুশাসনের পন্থে ফিরে আসতে হবে।
৬৩. বাংলাদেশের নাম করণ করা হোকঃ
“ইসলামী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার”। অথবা
” ইসলামী প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ সরকার”
৬৪. বাংলাদেশ থেকে চীন বরাবর মহাসড়ক নির্মাণ।
৬৫. লাল মনিরহাট বিমান বন্দর নির্মাণ করা।
৬৬. এন্টি ফারাক্কা বাঁধা নির্মাণ করা। তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণ করণ।
৬৭. দুই বারের বেশী রাষ্ট্রে কোন ব্যক্তি- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বীকার, হতে পারবেন না।
৬৮. রাষ্ট্র পরিচালনা পর্ষদে কবিদের ও আর্কিটেকচারদের স্থায়ীভাবে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন থাকতে হবে।
৬৯. জেলার মতো- উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক সরকারি ফার্মেসী চালু করতে হবে।
৭০. জাতীয় আন্তর্জাতিক মানের একটা ছাত্র সংস্থা তৈরি করাঃ- বাংলাদেশের মধ্যে সকল ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক ছাত্র সংগঠন তৈরি করা। তার মেয়াদ কাল হবে দুই বৎসর। প্রত্যেক ছাত্র সংগঠনের একটিমাত্র ভোটাধিকার থাকবে। ভোটার হবেন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সভাপতিগণ। এই ভাবে আন্তর্জাতিক ছাত্র সংগঠন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের মোট পদের সংখ্যা ১২/১৫/২১ জন হবে। এই সংগঠনের একটি গঠনতন্ত্র ও একটি কর্মপদ্ধতি কর্মসূচি থাকবে, তবে তা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের। এই ছাত্র সংগঠন হবেন আন্তর্জাতিক ব্যক্তি। এই সংগঠনের অফিস ভবনের নাম হবে “জাতীয় সিনেট”। কেন্দ্রীয় অফিস হবে রাজধানী ঢাকা।
৭১. প্রথম শ্রেণী থেকে এমএ পর্যন্ত সকল শিক্ষা ব্যবস্থা হবে অবৈতনিক এবং সকল শ্রেণীর পাঠ্যবই পুস্তক সরকারি ভাবে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে।
৭২. সংবিধান সংশোধন এর ক্ষেত্রে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণ কমিটিতে থাকবে এবং সেইখানে ইসলামীক আইকনরাও অগ্রাধিকার পাবেন।
৭৩. জেলবন্দীদের ও সাজাপ্রাপ্তদের কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে এবং কারিগরী শিক্ষায় অধিকার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
৭৪. মসজিদের ইমামদের বেতনাদি সরকারি করণ করতে হবে।
৭৫. মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডার বিদ্যুৎ বিল মৌকুফ করতে হবে।
৭৬. বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি ইউনানী মেডিকেল কলেজ, সরকারি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ, সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে হবে।
৭৬. বাংলাদেশের পতিতো জায়গায়, সড়কের পাশ্ববর্তী জায়গায় মূল্যবান ঔষধিগাছ বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি সরকারের হাতে নিতে হবে।
৭৭. পিছিয়ে পড়া নৃগোষ্ঠীকে বৈষম্য মুক্ত করে শিক্ষা দীক্ষায় নতুন ভাবে সামনের সারিতে আনতে হবে।
৭৮. নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণের শিকার আইনে নতুনত্ব সৃজন করতে হবে অথবা ইসলামীক আইনের দৃষ্টান্ত আনতে হবে।
৭৯. সংবাদিকায় বা পেশাদার সংবাদিক হতে হলে তাকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারি হতে হবে- এই মর্মে আইন করতে হবে।
৮০. বাংলাদেশের যে সকল ইউনিয়নগুলোতে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি, পাকাপোক্ত সড়কপথ নির্মাণ করা হয়নি, সেই সকল ইউনিয়নগুলোকে উন্নয়নে সুনজর দিতে হবে।
৮১. সীমান্ত চোরাকারবারি বন্ধ করতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
৮২. আনসার বাহিনীকে আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। যারা খন্ডকালিন চাকরি করেন তাদের চাকরি স্থানী করণ এবং সরকারি করণ করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর মতো তাদের অবসর পেনশন সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
৮৩. স্কুল ঝরে পড়া শিশু কিশোরদের স্কুল গামী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং উপযোগী দক্ষ নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য কারিগরী বিষয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে বয়স ১৮ বৎসর পূর্ণ হলে তাদেরকে চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।
৮৪. বিদেশে কর্মী প্রেরণ হয়রানি মূলক সংস্থা আদম ব্যবসায়ীগুলোকে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আনতে হবে। এই অসৎ আদমব্যপারীদের কবলে পড়ে বহুপরিবার পথে বসেছে। সরকারি ভাবে বিদশে জনশক্তি প্রেরণে গ্রান্টি রক্ষাকবচ তৈরী করতে হবে।
৮৫. দেশ ব্যাপী বিভিন্ন বিষয় দক্ষ মাস্টার মাইন্ড লোকগুলোকে যাচাই বাছাই করে রাষ্ট্রে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে মেধাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।
৮৬. বাংলাদেশকে মহাকাশ গবেষণায় নতুনত্ব সৃজন আনতে হবে এবং নতুনদের জন্য জায়গায় করে দিতে হবে।
৮৭. নদী শাসনে গতপথ পরিবর্তন পরিমার্জন করে এই মহাজলরাশিকে কৃষিসংস্কার ও খালখননের মাধ্যমে দেশকে প্রতিনিধিত্বশীল উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন-

স্থবিরতার ছায়ায় মুসলিম উম্মাহঃ আত্মবিস্মৃতি ও পুনর্জাগরণের পথ

৮৮. ঘরে ঘরে পাকাপাখানার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে তাহলে জাতি বেশী মেধাবী ও উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বের মাঝে মাথা উচু করে দাঁড়াতে ইনশাল্লাহ।
৮৯. ৩৬ জুলাই-২০২৪ গণহত্যা ও গণঅভ্যুত্থান এর আলোকে দীর্ঘ ছায়াছবি সিনেমা নির্মাণ, টিভি গল্প, নাটক ছবি নির্মাণের জন্য উৎসাহ প্রদান করা।
৯০. দূর্নীতিবাজ স্বজনপ্রীতিকে কঠোর হস্তে দমন করা এবং ইউনিয়ন পরিষদের টিসিপি প্রাপ্তদের সঠিক ভাবে নতুন করে যাচাই বাছাই করে তালিকা গ্রহণ। প্রকৃত টিসিপি প্রাপ্তরা ধরা চোয়ার বাইরে তারা বরাবরি বঞ্চিত হয়েছেন।
৯১. বাংলাদেশের হতো দরিদ্র, এতিম, অসহায় জনগোষ্ঠীর খোঁজ খবর নেওয়ার নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করণ। অর্থাৎ জনবান্ধন মনের পরিচয় দান।
৯২. বাংলাদেশে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরীর জন্য বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করতে হবে এবং এই সংক্রান্ত খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে এবং গবেষণা প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।
৯৩. দমনপীড়নের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবশান ঘটানো এবং একটি সুস্থধারার রাজনীতি চর্চার পরিবেশ তৈরী করা এবং সুস্থ ভোট প্রদান ও নেতা নির্বাচন, সংস্কার জনগণের চাওয়া পাওয়া নিশ্চিত করণ।
৯৪. চোর ডাকাত বদমায়েশদের ভালো হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ প্রদান এবং কর্মবীর হিসেবে গড়ে তোলা।
৯৫. গরীবের ভাগ্য উন্নয়নে রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করে এই বুলি তারা বারংবার আওড়ায়। গরীবের ভাগ্য উন্নয়নের দায়িত্বশীলতার হাজারও উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে সরকারকে। গরীবতো গরীব থেকে যায়, ধনী আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়। এই নীতিমালার অবশান চাই।
৯৬. ঘুষবাণিজ্য মুক্ত থানা পুলিশ ফাঁড়ি হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্প দৃষ্টান্ত মূলক নজির সৃষ্টি করতে হবে। পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু তার নজির সৃষ্টি করতে হবে। পুলিশের প্রতি জনগণের কোনো আস্তা নেই, সেই আস্তাশীল দায়িত্বশীল কর্ম ফুটিয়ে তুলতে হবে।
৯৭. দেশ-বিরোধী সকল প্রকার শিল্পসংস্কৃতি সংগঠন গুলোকে আইনের আওতায় এনে তার সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
৯৮. বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে সৃজনশীল লেখক সৃষ্টির মহান চেতনায় একটি করে মাসিক শিশুকিশোর পত্রিকা চালু করতে হবে। মাসিক শিশুকিশোর পত্রিকার বড়ই অভাব।
৯৯. শিল্পকলা একাডেমি কতৃক হতদরিদ্র কবিদের ভাতা প্রদান করে থাকেন কিন্তু দুঃখের বিষয় বহু ধনী ব্যক্তিগন, অশিল্পীগণ,ভুয়াকবিগণ এই ভাতা বাগিয়ে নিয়েছেন সুতরাং প্রকৃত কবি,শিল্পীগণ যাহাতে ভাতা পায় তার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। যাচাই বাছাই করে অকবি,ভুয়াশিল্পীদের নামের তালিকা বাতিল করতে হবে।বিশেষ করে ৩৬-জুলাই-২০২৪ কলমযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করতে হবে।
১০০. সরকারি ভাবে কমখরচে হজ্জের ও কমখরচে উমরাহ কাফেলা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। হয়রানী মূলক শিরোনাম ধারি হজ্জ ও উমরাহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। হজ্জ ও উমরাহ পালনের সর্বনিম্নমূল্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।

লেখকঃ কবি, ছড়াকার, গবেষক, সংগঠক, বাণীশিল্পী,মাবাধিকার কর্মী, দার্শনিক, সম্পাদক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কুষ্টিয়া- আইন বিভাগের ছাত্র।

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল, আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ গল্প ও কবিতা পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেইজ মহীয়সী/Mohioshi-তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হ্যাঁ, মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক! আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইল-

[email protected] ও [email protected] -এ; মনে রাখবেন, “ধন দৌলত খরচ করলে কমে যায়, কিন্তু জ্ঞান বিতরণ করলে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়”। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকেই দ্বীনি জ্ঞান দান করেন।” (সহিহ বুখারী- ৭১, ৩১১৬, ৩৬৪১, ৭৩১২, ৭৪৬০; মুসলিম- ১০৩৭; ইবনে মাজাহ- ২২১) ।

মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম; আজই আপনি যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে।  আসুন, ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি। আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমীন।

আরও পড়ুন