Ads

বাংলাদেশে ঋণমান স্থিরকরনে ঋনের শ্রেনীকরন ও প্রভিশনিং ব্যবস্থা (প্রথম পর্ব)

।। জামান শামস ।।
ঋণ ও অগ্রিম ইংরেজিতে বললে লোন এন্ড এডভান্স বুঝি।আন্তর্যাতিকভাবে Credit বললে সবাই বুঝে।ইসলামী ব্যাংকিং এ এটি “বিনিয়োগ” নামে অভিহিত। ব্যাংকের জন্য ক্রেডিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ক্ষেত্র। মূলতঃ ব্যাংকের আয়ের মূল উৎস হিসেবে এই জায়গাটাকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তবে ঋণ বিতরণ করে ফেললেই যে তা ব্যাংককে আয় এনে দিবে তা কিন্তু নয়। এইজন্যই আমাদেরকে গুণগত ঋণ বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আমরা যে ঋণ বিতরণ করব তার যেন গুণগত মান ঠিক থাকে। কারণ মানহীন ঋণ ব্যাংকের শুধু যে ক্ষতির কারণ হয় তা কিন্তু নয় ব্যাংকের জন্য তা হয়ে যায় বোঝা স্বরূপ।

 

স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা দীর্ঘ সময়ব্যাপী একটি নির্দেশিত ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পরিচালিত হয়েছে। বিশেষভাবে চিহ্নিত অগ্রাধিকার খাতসমূহে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সুদে ব্যাংকগুলিকে ঋণদানে বাধ্য করা হতো। ফলে এ সকল নির্দেশিত ঋণের বৃহদাংশ মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনাদায়ী হয়ে পড়ে। কিন্তু ঋণসমূহ পরিশোধ কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে গণ্য করার জন্য কোনো সুসমন্বিত সময়সূচি এবং সেগুলিকে শ্রেণিবিন্যাস্ত করার মানসম্পন্ন কোনো পদ্ধতি ও নীতিমালা ছিল না। ফলে স্বাধীনতা পরবর্তী আড়াই দশকেরও বেশি সময় বাংলাদেশে ঋণ শ্রেণিবিন্যস্ত করার বিষয়টি প্রচলিত ছিল না।

 

সাধারণত কোনো একটি ঋণকে শ্রেণিবিভাজিত বলে গণ্য করার জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতো। ফলে ঋণ শ্রেণিবিন্যাস্ত করার ধারণা এদেশে ততটা গুরুত্ব পায় নি। ফলে ব্যাংকগুলির প্রদত্ত ঋণের অধিকাংশ অ-কার্যকর ও অনাদায়ী হয়ে পড়ে এবং তারা ব্যাপকভাবে মূলধন ঘাটতির সম্মুখীন হয়। কালক্রমে দেশের গোটা ব্যাংক ব্যবস্থা দায় পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়ে এবং ফলে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম চালানো অসম্ভব বলে পরিলক্ষিত হয়।

 

এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন অন মানি, ব্যাংকিং অ্যান্ড ক্রেডিট এবং বিশ্ব ব্যাংকের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার আর্থিক খাত সংস্কারের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়। এ সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাসে BCD Circular 34/1989 এ ঋণ শ্রেণিবিন্যাসকরণের একটি নতুন পদ্ধতি এবং সম্ভাব্য অনাদায়ী ও লোকসানি ঋণসমূহের ওপর ব্যাংকগুলির অর্জিত মুনাফা থেকে সঞ্চয় সংরক্ষণের নিয়ম চালু করা হয়। তদনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৯ তারিখ পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণসমূহের প্রাথমিক শ্রেণিবিন্যাসকরণ ও এইগুলি থেকে সঞ্চয় সংরক্ষণ-এর কাজ ৩১ আগস্ট ১৯৯০-এর মধ্যে সম্পন্ন হয়।

 

৩১ ডিসেম্বর ১৯৯০ তারিখের বকেয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের স্থিতির ভিত্তিতে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯১ তারিখের মধ্যে শ্রেণিবিন্যাসিত ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় সঞ্চয় এবং স্থগিত সুদের হিসাবকরণ সম্পন্ন হয়। পর্যায়ক্রমে শ্রেণিবিন্যাসকরণ, সঞ্চয়ের প্রাক্কলন এবং অনাদায়ী ঋণসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ প্রতি বৎসরের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের স্থিতির ভিত্তিতে পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নিয়ম অব্যাহত থাকে। ব্যাংকগুলির ওপর তাদের নিজ নিজ ঋণের শ্রেণিবিন্যাসকরণের দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয় এবং একজন ঋণগ্রহীতা যখনই তার গৃহীত ঋণ পরিশোধে অক্ষম বলে প্রতীয়মান হয়, তখনই ব্যাংক ওই ঋণকে নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী শ্রেণিবিন্যস্ত করে। প্রদত্ত ঋণের মানের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলি নিজেরাই শর্ত নির্ধারণ করে শ্রেণিবিন্যাস করার নিয়ম প্রণয়ন করে। অতীতে ব্যাংকগুলি দ্বারা প্রদত্ত ঋণ ৩ শ্রেণিতে বিভক্ত করা হতো:
১. নিম্নমানের যেসব ঋণ বা অগ্রিম বা তার অংশ বা সুদ এক বছর বা ততোধিক কিন্তু ৩ বৎসরের কম সময় পর্যন্ত অনাদায়ী ও মেয়াদোত্তীর্ণ;
২. সন্দেহজনক যেসব ঋণ বা অগ্রিম বা তার অংশ বা সুদ ৩ বছর বা ততোধিক কিন্তু ৫ বছরের অনধিককাল অনাদায়ি ও মেয়াদোত্তীর্ণ এবং যা আদায়ের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে; এবং
৩. খারাপ/মন্দ যেসব ঋণ বা অগ্রিম বা তার অংশ বা সুদ ৫ বছর বা ততোধিককাল অনাদায়ী রয়েছে এবং সেগুলির জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও আদালত থেকে কোনো সিদ্ধান্ত বা রায় পাওয়া যায় নি।

 

ঋণ শ্রেণিবিন্যাসকরণ প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বর মাসে BCD 20/1994 এর মাধ্যমে একটি সংশোধিত নীতিমালা চালু করে। পাঁচটি বিভিন্ন পর্যায়ে ডিসেম্বর, ১৯৯৮-এর মধ্যে নতুন শ্রেণিকরণ পদ্ধতির বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়। নতুন পদ্ধতিতে শ্রেণিকরণের জন্য ঋণের মেয়াদকাল পূর্বের তূলনায় বহুল মাত্রায় কমানো হয় এবং শ্রেণিকরণের স্তর বাড়ানো হয়। ঋণ শ্রেণিকরণের প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্দেশ্যে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে BRPD 16/1998 ব্যাংকগুলিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। অপরদিকে নতুন পদ্ধতিতে প্রদত্ত ঋণকে ৪টি বিভিন্ন নামে চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ জারি করে।

 

ঋণ শ্রেণিবিন্যাসকরণ ও প্রভিশনিং-এর মানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণের প্রয়াসে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে গৃহীত দুরদর্শিতামূলক নিয়মাচারের সময়ে সময়ে পরিবর্তন সাধন করে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০০৫ সালে BRPD 02/1995 বাংলাদেশ ব্যাংক Special mention Account বা বিশেষ চিহ্নিত হিসাব’ ব্যবস্থার প্রবর্তন করে যেখানে ৯০ দিন বা তার অধিক সময়ের জন্য অনাদায়ী ঋণ প্রদশিত হবে এবং এর ওপর আরোপিত সুদে ‘সাসপেন্স’ সুদ আয় হিসেবে না ধরে ‘সাসপেন্স সুদ হিসেবে’ জমা করতে হবে। তবে বিশেষভাবে চিহ্নিত এ সব হিসাবের ঋণকে খেলাপীঋণ হিসেবে গণ্য করা হবে না, বরং ঋণের দুর্বলতা নির্দেশপূর্বক পূর্ব সতর্কতামূলক সংকেত হিসেবে তা গণ্য হবে। এ সব ঋণের জন্য ব্যাংকসমূহকে সাধারণভাবে শতকরা ৫ ভাগ হারে অতিরিক্ত স্থিতি রাখতে হবে। ফলে পূর্বে চালুকৃত ৪ ধরনের শ্রেণি বিন্যাসিত ঋণের বিপরীতে তা ৫ ধরনের শ্রেণি বিন্যাসে উন্নীত হয়। ২০০৭ সাল হতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকসমূহের স্থিতিপত্র বহির্ভূত অবস্থানের শতকরা ১ ভাগ অতিরিক্ত রাখার বিধানও চালু করে।

 

পরবর্তীতে আরো সুনির্দিষ্টভাবে শ্রেনিকরন ও প্রভিশন সংরক্ষনের জন্য ২০০৬ সালে BRPD 05/2006 নির্দেশানুযায়ী সকল ্রধানতঃ চারটি ভাগে ভাগ করা হয় যা যথাক্রমে Continuous Loan বা চলমান ঋণ, Demand Loan বা তলবি ঋণ, Fixed term Loan বা মেয়াদি ঋণ এবং Short term Agriculture & Micro Credit স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ নামে অভিহিত করা হতে থাকে। সংশোধিত পদ্ধতিতে শ্রেণিবিন্যাসকরণ এবং প্রভিশন নির্ণয়ের জন্যও নতুন নিয়ম চালু করা হয়।

 

তদনুযায়ী, ক. ৬ মাস বা ততোধিক কিন্তু ৯ মাসের কম সময় পর্যন্ত কোনো Continuous ঋণ অনাদায়ী বা মেয়াদোত্তীর্ণ থাকলে ওই ঋণকে ‘নিম্নমান’, খ. ৯ মাস বা ততোধিক কিন্তু অনধিক ১ বছর সময় ধরে অনাদায়ী হলে ‘সন্দেহজনক’ এবং গ. এক বৎসরের অধিক সময় মেয়াদোত্তীর্ণ হলে ওই ঋণকে মন্দ বা লোকসানি শ্রেণির বিবেচনা করা হয়। Demand Loan এর ক্ষেত্রেও তা একই থাকে।Fixed term Loan কে দু’ভাগে ভাগ করা হয়।১)Payable within 5 Years & ২)more than 5 years. ৫ বৎসরের নীচে মেয়াদে নিন্মমানে ৬-১২ কিস্তি বকেয়া,সন্দেহজনকে ১২-১৮ এবং ১৮ কিস্তির উপর বকেয়া হলে ক্ষতি মানে শ্রেনিকৃত করা হয়।৫ বৎসরের বেশী মেয়াদ হলে প্রত্যেকক ক্ষেত্রে ৬ মাস যোগ হয়। কৃষি ও মাইক্রোর ক্ষেত্রে ১-৩ বৎসর বকেয়া ঋণকে নিন্মমান,৩-৫ বছর বকেয়া হলে সন্দেহজনক এবং পাঁচ বছরের বেশী বকেয়া হলে ক্ষতি মানে চিহ্নিত করা হয়।

 

একই সঙ্গে উল্লিখিত নিম্নমান, সন্দেহজনক এবং মন্দ শ্রেণিভুক্ত ঋণের জন্য যথাক্রমে ২০%, ৫০% এবং ১০০% হারে সঞ্চয় সংরক্ষণের নতুন নিয়মও চালু করা হয়। কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণে ক্ষতি মানে ১০০% এবং অন্যান্য মানে ৫% প্রভিশেন করতে বলা হয়।এ ছাড়া ব্যাংকগুলিকে প্রথম পর্যায়ে বাৎসরিক ভিত্তিতে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে যথাক্রমে ষান্মাসিক ও ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ঋণসমূহ শ্রেণিবিন্যাসকরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। আরও নির্দেশ দেওয়া হয়, ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শ্রেণিবিন্যাস করার জন্য নতুন, নবায়নকৃত ও পুনঃতফশিলীকৃত ঋণকে নতুন ঋণ হিসেবে অভিহিত করা হবে এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সঞ্চয় সংরক্ষণ করতে হবে। এটাও বলা হয় যে প্রভিশেন হিসাবের ক্ষেত্রে বর্তমান বকেয়া থেকে সাসপেন্স হিসাবে জমা হওয়া সুদ বা মুনাফা প্লাস value of eligible securities বাদ যাবে।
Eligible Securities কি কি তাও BRPD 05/2006 এ সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়।একনজর দেখি-
১.100% of deposit under lien against the loan
২.100% of the value of government bond/savings certificate under lien.
৩.100% of the value of guarantee given by Government or Bangladesh Bank
৪.100% of the market value of gold or gold ornaments pledged with the bank.
৫.50% of the market value of easily marketable commodities kept under control of the bank
৬.Maximum 50% of the market value of land and building mortgaged with the bank
৭.50% of the average market value for last 06 months or 50% of the face value, whichever is less, of the shares traded in stock exchange.

 

ঐ সার্কুলার থেকেই,বলাবাহুল্য যে ঋণ শ্রেনীকরনে Objective Criteria এর পাশাপাশি Qualitative Judgement নামে আরেকটি খড়্গ যুক্ত হয় যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিটরগণ কোন একটি ঋণ আদায়ে অনিশ্চিত আশংকা করলে তা নিন্মমান,সন্দেহজনক বা ক্ষতি মানে চিহ্নিত করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়।একবার তারা শ্রেনীকরন করলে পরিস্থিতি উন্নতি হওয়া সাপেক্ষ সেটা বিশ্রেনীকরন করতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পর্যন্ত যেতে হতো। ব্যাংকারদের জানা দরকার যে কোন কোন কারণে তারা qualitative judgement এর শিকার হতে পারেন। সার্কুলার মতে,
১.ঋণ আদায়ে অনিশ্চয়তা বা যৌক্তিক আশংকা
২.ঋণ মন্জুরী ও নবায়ন যথাযথ নয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিতও নয়
৩.ঋণ মন্জুরীপত্রের কোন গুরুত্বপূর্ণ শর্তের লংঘন
৪.ঋণগ্রহীতার দৃশ্যমান অসামর্থ
৫.ব্যবসায় ক্রমাগত ক্ষতি ও সম্পদের অব্যাহত মূল্যহ্রাস

 

ঋণ শ্রেণিবিন্যাসকরণের নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় বিদ্যমান খেলাপি ঋণের মাত্রা এবং এ সংক্রান্ত মারাত্মক সমস্যার স্বরূপ উদঘাটিত হয়। দেখা যায়, ব্যাংকগুলির ঋণ-পত্রকোষ এবং এর গুণগত মান খুবই নিম্নপর্যায়ে অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে এনে সম্পদের মান বৃদ্ধি ও আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে তৎপর হয়ে ওঠে। নতুন শ্রেণিবিন্যাসকরণ পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যাংকগুলিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের ওপর অনাদায়ী উপচিত সুদ হিসাবের মাধ্যমে কৃত্রিম মুনাফা প্রদর্শন থেকে বিরত রাখা হয়। নতুন ঋণ শ্রেণিবিন্যাসকরণ পদ্ধতি ফলাফল ভালো ইংগিতবহ ছিলো যা ব্যাংকগুলির খেলাপি ঋণ আদায়ের এবং খারাপ ঋণ প্রদানে সতর্ক করে তাদেরকে নিশ্চিত বিলুপ্তির কবল থেকে রক্ষা করতে শুরু করে।
লেখকঃ সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
আরও পড়ুন