মহীয়সীর কলাম
ফুটবলের মহাপুরুষ

১৯৮৬ সালে ফিফা বিশকাপ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে সতীর্থদের সাথে কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনা
দুর্দান্ত ড্রিবলিং আর গোল ফুটবল ট্যাকলিঙের ছিলো অসম্ভব প্রতিভা। ফ্রি কিক বিশেষজ্ঞ তো ছিলেনই। মাঠের প্রতিপক্ষের এগারো জন খেলোয়াড়দের ধোকা দিতে পারতেন সিরিয়াস ক্ষিপ্রতায়। ১৯৮৬ সালে ফিফা গোল্ড কাপ জেতার পর ১৯৯০ সালের ফাইনাল ম্যাচে বিতর্কিত মেক্সিকান রেফারী এডগারদো কোডেসাল মেন্ডেজ অধিনায়ক ম্যারাডোনার একজন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দিয়ে মাঠ থেকে বহিস্কার করে দেন। ম্যারাডোনা খেলতেন সাধারণত এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সেকেন্ড স্ট্রাইকার হিসেবে। কিন্তু সারা বিশ্ব দেখেছিলো দুর্দান্ত পশ্চিম জার্মানী বার বার ম্যারাডোনার দশজন খেলোয়াড়দের পরাস্ত করতে পারছিলেন না।
ম্যারাডোনার জন্মদাতা পিতার আদি বংশধরদের সংস্কৃতি(প্যারাগুইয়ান)
বিস্ময়কর এ প্রতিভা সারা মাঠ অশ্রুভরা চোখে দেশের জন্য প্রাণপণ লড়াই করে মাত্র এক গোলে হেরে যান। একজন খেলোয়াড় যখন জেতার জন্য লড়াই করে তখন ও নেশাটি পবিত্র। ম্যারাডোনাকে ২০২০ বা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলার তথা ফিফা প্লেয়ার অব দা সেঞ্চুরি ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁকে ডাকা হতো “এল পিবে দা ওরো” বা গোল্ডেন বয় হিসেবে। এ মহাপুরুষ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রাণের ভালোবাসার নাম। ম্যারাডোনাকে ট্রাবল ক্যারেক্টর মানুষ বলা হতো। বিস্ময়কর মানুষেরা যা হয় আর কি? ছোট্ট ছোট্ট মানবিক ট্রাবল গুলো জয় করে তিনি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে থাকবেন অনন্তকাল। ম্যারাডোনা জন্মায় গ্রহের মহাপরিক্রমায় আর রেখে যান মহান কীর্তি। ফুটবলের মহান যাদুকর তোমাকে জানাই অসীম শ্রদ্ধা আর সালাম।
নুরে আলম মুকতা
কবি ,সাহিত্যিক ও সহ-সম্পাদক,মহীয়সী।